ঢাকা: দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে নানামুখী রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের বিরুদ্ধে নেতাকর্মীদের সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। নেতারা বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। দুর্নীতিবাজ ও দুর্বৃত্তায়নের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়ন যারা করে এবং পৃষ্ঠপোষকতা দেয় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক অনির্ধারিত বৈঠক থেকে এ আহ্বান জানানো হয় বলে উপস্থিত সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বৈঠকে বগুড়া-১ ও যশোর-৬ আসনের উপ-নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ও সার্বিক খোঁজ-খবর নেন নেতারা। এ সময় প্রতিকূল আবহাওয়া ও করোনাজনিত নানা সমস্যাকে জয় করে নির্বাচনে ভোট দেওয়ায় ভোটার এবং সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট সকলকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানানো হয়।
বৈঠকে ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎবার্ষিকী উপলেক্ষে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়া ৫ আগস্ট শহীদ শেখ কামালের জন্মদিন ও ৮ আগস্ট বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের জন্মদিনের কর্মসূচি সম্পর্কেও আলাপ-আলোচনা হয়।
১/১১ সরকারের মাইনাস টু ফর্মুলা বাস্তবায়নে ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হয়। শেখ হাসিনার কারাবন্ধি দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে সীমিত পরিসরে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে আলোচনা অনুষ্ঠানের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ. ফ. ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম এমপি, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।