ড. এমাজউদ্দীন গণতন্ত্রকামী মানুষের অভিভাবক ছিলেন: ফখরুল
১৭ জুলাই ২০২০ ১৭:১৯
ঢাকা: খ্যাতিমান রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ গণতন্ত্রীকামী মানুষের অভিভাবক ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার (১৭ জুলাই) রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের বাসায় তার মরদেহে দলের পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পণ শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন। এ সময় তিনি কিছুক্ষণ তার মরদেহের সামনে নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
আরও পড়ুন- ড. এমাজউদ্দীন আহমদ আর নেই
ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ এভাবে হঠাৎ করে চলে যাবেন—এটা আমরা কেউ বিশ্বাস করতে পারছি না। কারণ, কয়েকদিন আগে পর্যন্ত আমরা তার সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি ভার্চুয়ালে প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকীর আলোচনায় এসেছিলেন। তার এই চলে যাওয়া আমাদের জন্য একটি বিশাল শূন্যতার সৃষ্টি করলো এবং এই শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়।’
‘প্রফেসর এমাজউদ্দীন আহমদ বাংলাদেশের অভিভাবক ছিলেন। স্বাধীনতাকামী, গণতন্ত্রকামী মানুষের অভিভাবক ছিলেন। তিনি সত্যিকার অর্থেই একজন নির্লোভ নিবেদিত প্রাণ দেশপ্রেমিক, একজন শিক্ষাবিদ ছিলেন’— বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আরও পড়ুন- ড. এমাজউদ্দীন আহমদের মৃত্যুতে বিশিষ্টজনদের শোক
তিনি বলেন, ‘আমাদের চরম দুর্ভাগ্য আমরা এই রকম একজন অভিভাবক হারালাম। তিনি সবসময় চেয়েছেন বাংলাদেশে একটা সত্যিকার অর্থে উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মিত হোক, বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থে একটা উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হোক, জনগণের মুক্তি হোক। তিনি সারাজীবন বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্রের জন্য লিখেছেন। তার জীবনের সমস্ত কর্মই ছিল এই বাংলাদেশের জন্য।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ একজন তারকা ছিলেন। তার আলো আমরা সবাই আলোকিত হতাম। তার অসংখ্য লেখা রয়েছে। তার লেখাগুলো রাষ্ট্র বিজ্ঞানের অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখা।’
এর আগে, এমাজউদ্দীন আহমদের এলিফ্যান্ট রোডের বাসায় গিয়ে তার ছেলে জিয়া হাসানের সঙ্গে কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান।
এ সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সদরুল আমিন, কবি আবদুল হাই শিকদার, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, সাবেক ছাত্র নেতা সুরঞ্জন ঘোষসহ বিশ্ববদ্যালয়ের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী হিসেবে পরিচিত অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদের মৃত্যু সংবাদের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। তার বাসায় ছুটে যান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবীব-উন-নবী খান সোহেল, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ইকবালুর রহমান রোকন, সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব প্রমুখ। তারা এমাজউদ্দীন আহমদের মরদেহে শেষ শ্রদ্ধা জানান।