কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত, দুর্ভোগ বাড়ছে বানভাসিদের
১৭ জুলাই ২০২০ ১৮:৩৪
কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি এখনও বিপদসীমার অনেক ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের ঘর-বাড়ি পানিতে তলিয়ে থাকায় দুর্ভোগ বেড়েই চেলেছে নৌকায় বসবাসকারী বন্যা কবলিত পরিবারগুলোর।
এ অবস্থায় জেলার ৯ উপজেলার ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার অববাহিকার প্রায় আড়াই শতাধিক চরাঞ্চলের ২ লাখ মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছে। এসব মানুষের মাঝে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও শুকনো খাবারের সংকট তীব্র হয়ে উঠছে। গবাদি পশুর খাবারের সংকটে পড়েছে বন্যা দুর্গতরা।
উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মশালের চরের বাসিন্দা জমর উদ্দিন বলেন, ‘সবকিছুই পানিতে তলিয়ে আছে। ৩ সপ্তাহ ধরে নৌকায় পানির উপর ভাসছি। ঘরে খাবার নাই, নলকূপের পানিও নাই। সীমাহীন কষ্টে রয়েছি আমরা।’
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশরী মো. আরিফুল ইসলাম জানান, চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ৮৪ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে ৭২ সেন্টিমিটার ও সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি বিপদসীমার ৫৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ২য় দফা বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে রৌমারী, রাজিবপুর, চিলমারী, উলিপুর, সদর ও নাগেশ্বরী উপজেলা।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. রেজাউল করিম জানান, জেলার ৯ উপজেলায় বন্যা কবলিতদের জন্য নতুন করে আরও ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, বন্যা কবলিত এলাকার জনপ্রতিনিধিরা জানান, সরকারিভাবে বন্যা দুর্গতদের মাঝে এ পর্যন্ত যে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। প্রায় ২ লাখ বন্যা কবলিত মানুষের জন্য ৫ লাখ টাকা দিলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।