Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঠাকুরগাঁওয়ে টোলের নামে চলছে চাঁদাবাজি, নির্বিকার প্রশাসন


১৭ জুলাই ২০২০ ১৯:৫৮

ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ে টোলের নামে চলছে চাঁদাবাজি। একটি প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় সংঘবদ্ধ চক্রটি প্রকাশ্যে টোল আদায়ের নামে অটো চার্জার, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহনে অবৈধভাবে চাঁদাবাজি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। চাঁদাবাজি বন্ধে পরিবহন শ্রমিকরা স্থানীয় প্রশাসনকে দফায় দফায় অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার পাচ্ছেন না।

পরিবহন শ্রমিকরা জানান, প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত সদর উপজেলার ১০টি পয়েন্টে লাঠি হাতে ট্রাক ও অটোবাইক আটকিয়ে জবরদস্তি টোল আদায়ের নামে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। আর এই চাঁদাবাজির সাথে জড়িত ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতারা।

শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের প্রধান উপদেষ্টা মাহবুব আলম রুবেল বলেন, ‘প্রতিদিন গড়ে অটোচার্জার প্রতি রশিদ ১০ টাকা হারে ৫ হাজার চালকের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা তোলা হয়। যা মাসে ১৫ লাখ টাকা আর বছরে দাঁড়ায় ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা। অন্যদিকে প্রতিটি ট্রাক ও লরির কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে ৫০ টাকা হারে।’


ভুক্তভোগী শ্রমিক বেলাল হোসেন বলেন, ‘করোনার জন্য প্রায় দুইমাস রাস্তায় গাড়ি চালাতে পারিনি। কিন্তু তাতেও চাঁদাবাজদের হাত থেকে রেহাই নেই তাদের। সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে লাঠি হাতে জোর করে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। পুলিশ-প্রশাসন সব দেখেও নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।’

জেলা অটো চালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এসএম লাবু জানান, সড়কে লাঠি হাতে জোর করে চাাঁদা উঠানো এবং চাঁদা না পেলে শ্রমিকদের নির্যাতন করা এটা দেশের অন্য কোথাও আছে বলে জানা নেই। চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে শ্রমিকরা অনেকদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে, কিন্তু প্রশাসন এবিষয়ে তেমন ভূমিকা পালন করছে না। সম্প্রতি চাঁদা বন্ধে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও পৌর মেয়রের কুশপুতুল দাহসহ জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। কিন্তু এতেও কাজ হয়নি।

ট্রাক ও অটোরিকশা থেকে টোল আদায়কারি (চাঁদাবাজ) মোহাম্মদ বিপ্লবের কাছে বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘আমি শুধুমাত্র টোল আদায়কারি হিসেবে কাজ করি। এর বাইরে কিছু আমার জানা নাই।’


ঠাকুরগাঁও পৌরসভার মেয়র মির্জা ফয়সাল আমিন জানান, সরকারের নিয়ম অনুযায়ী টেন্ডারের মাধ্যমে পৌর টোল আদায় করা হয়। অন্য সংগঠনের নামে পৌর এলাকায় কেউ টোল আদায় করে থাকলে আইনশৃঙ্খলা সংস্থার সহায়তায় তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ কামাল হেসেন জানান, করোনা পরিস্থিতিতে সড়ক ও মহাসড়কে সরকার সব প্রকার চাঁদা আদায় বন্ধ ও অবৈধ ঘোষণা করছেন। এরপরও যদি সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে কেউ প্রভাব খাটিয়ে বা দলীয় পরিচয়ে চাঁদা উত্তোলন করে তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আইন অমান্যকারী কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

অটো চার্জার চাঁদাবাজি টোল সংঘবদ্ধ চক্র


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর