‘স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাব রয়েছে পুঁজিবাজারে’
১৮ জুলাই ২০২০ ১৭:৩৫
ঢাকা: মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এমসিসিআই) সভাপতি নিহাদ কবির বলেছেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাব রয়েছে। তার বলছে বাংলাদেশে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করার মতো কোম্পানির সংখ্যা খুবই কম, ৭/৮টার বেশি না। তাই পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানির সংখ্যা বাড়াতে হবে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে হবে। যাতে করে তারা বিনিয়োগে উৎসাহিত হন।
শনিবার (১৮ জুলাই) চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) আয়োজিত ‘শেয়ারবাজারে করোনাভাইরাসের প্রভাব ও পুনঃরুদ্ধারের উপায়’ শীর্ষক সেমিনারে এমসিসিআই সভাপতি নিহাদ কবির এসব কথা বলেন।
বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের উপস্থিতিতে এতে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজের (বিএপিএলসি) সভাপতি আজম জে চৌধুরী, ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি সেলিম আর এফ হুসাইন, আইসিবির এমডি মো. আবুল হোসেন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) এমডি কাজী সানাউল হক, সিএসইর চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম ও এমডি মামুন-উর-রশীদ, ডিবিএ সভাপতি শরীফ আনোয়ার হোসেন।
এমসিসিআই সভাপতি নিহাদ কবির বলেন, ‘পুঁজিবাজারে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ আনার জন্য সহায়ক পলিসির ঘাটতি রয়েছে, এটা সমাধান করা দরকার। এখানে লোকসান করা কোম্পানির শেষয়ারের দাম বাড়ে। শেয়ার বিক্রি না করার জন্য ফোন দিয়ে নির্দেশ দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটে, কিন্তু ব্রোকারেজ হাউজ গ্রাহকের নির্দেশে শেয়ার বিক্রি করতে বাধ্য। আগামিতে এসব সমস্যা কাটিয়ে তুলতে হবে।’
বিএপিএলসি সভাপতি আজম জে চৌধুরী বলেন, ‘ব্যাংকগুলোর সমস্যা নন পারফরমিং লোন (এনপিএল)। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে কোনো ব্যাংক সমস্যায় আছে এমন কোন তথ্য আমার জানা নেই। অনিয়মকারীদেরকে শাস্তির আওতায় আনলে শেয়ারবাজারের প্রতি আস্থা স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে যাবে। তাই যখনই অনিয়ম হবে, তখনই শাস্তি দিতে হবে।’
আইসিবি‘র ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল হোসেন বলেন, ‘২০১০ সালের ধস শুরুর পর থেকেই আইসিবি বিনিয়োগ করে করে আসছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ১১ হাজার কোটি টাকা এনে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে আইসিবি। কিন্তু করোনাভাইরাসের মহামারিতে ২০২০ সালে এসে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে আইসিবি। প্রধানমন্ত্রী আইসিবির বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়ানোর কথা বলেছেন। এটা এখন বাড়ানোর জন্য আইসিবির গৃহিত ঋণের সুদহার কমানো উচিত। এই মুহূর্তে শেয়ার বিক্রি করে সুদ দেওয়া সম্ভব না।’
ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হুসাইন বলেন, ‘ফ্লোর প্রাইসের কারণে পুঁজিবাজার সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয়েছে। এই পদ্ধতির কারণে ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো আস্তে আস্তে শেষ হয়ে যাচ্ছে। এটি যদি আরও কয়েক মাস থাকে, তাহলে প্রতিষ্ঠানিক স্টেকহোল্ডাররা বিলুপ্ত হয়ে যাবে।’
ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি বলেন, ‘স্টক এক্সচেঞ্জের দায়িত্ব মার্কেট স্ট্যাবল রাখা না। সূচক বাড়বে কি কমবে, সেটা নির্ভর করবে কোম্পানির পারফরমেন্সের ওপরে। আর কমিশনের দায়িত্ব হচ্ছে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা।’