Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কুড়িগ্রামে বাড়ছে বন্যা-ভাঙন-দুর্ভোগ, শুধু ‘নেই’ ত্রাণ


১৯ জুলাই ২০২০ ১৯:২৭

কুড়িগ্রাম: ভারি বৃষ্টি ও উজানের ঢলে ফের কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। প্লাবিত হয়ে পড়ছে নতুন নতুন এলাকা। এ অবস্থায় টানা তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে পানিবন্দি অবস্থায় থাকা বানভাসি মানুষের দুর্ভোগ চরমসীমায় পৌঁছেছে। তাদের অভিযোগ সরকারি বা বেসরকারি কোনো ত্রাণ সহায়তা এখনও পাননি তারা।

এদিকে রাজারহাট উপজেলার বুড়িরহাটে তিস্তার ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। বালির বস্তা ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

বিজ্ঞাপন

জানা যায়, ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বিপদসীমার ওপরে থাকা অবস্থায় আবারও পানি বৃদ্ধিতে চরম বিপাকে পড়েছেন জেলার আড়াই শতাধিক চরের প্রায় ২ লক্ষাধিক মানুষ। বৃষ্টিতে দুর্ভোগ বেড়েছে উঁচু বাঁধ ও সড়কে পলিথিনের তাঁবু টানিয়ে বসবাসকারী বন্যা দুর্গতদেরও।

উলিপুর উপজেলার সাহেবের আলগা ইউনিয়নের চেরাগির চরের নিজাম উদ্দিন, আলী হোসেন বলেন, ‘চরের পার্শ্ববর্তী কোনো উঁচু জায়গা নেই। এজন্য নৌকার মধ্যে ২৫ দিন ধরে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করছি। রান্না করার উপায় নেই, ঘরে শুকনো খাবার নেই। এই অবস্থায় আবারও পানি বাড়ছে, খুব বিপদে আছি।’ এখনও কোনো সরকারি ত্রাণ তারা পাননি বলেও জানান।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম জানান, রোববার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৬ ঘণ্টার ব্যবধানে ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৫২ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৯ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে ১১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে, তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৪০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উজানে এবং স্থানীয়ভাবে ভারি বৃদ্ধিপাত হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার আশংকার কথা জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই কর্মকর্তা।

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. রেজাউল করিম জানান, জেলায় এখন পর্যন্ত ১৩২টি আশ্রয় কেন্দ্রে কমবেশি বন্যাকবলিত মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। আরও ৪৩৮টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত আছে। নদ-নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে থাকা অবস্থায় আবারও বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হলে চরাঞ্চলের মানুষদের এসব আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হবে।

সরকারিভাবে খাদ্য সহায়তা বিতরণ অব্যাহত রয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে আরও ২৩০ মেট্রিক টন চাল ও ৪ লাখ টাকা মজুদ আছে। বন্যা কবলিতদের জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উজানের ঢল কুড়িগ্রাম টপ নিউজ নদ-নদীর পানি প্লাবিত ভারি বৃষ্টি

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

বিএসইসি‘র চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:৫১

বাড়তে পারে তাপমাত্রা
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:৩৪

গুলশানে দুইজনের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:৫৫

সম্পর্কিত খবর