Wednesday 09 Apr 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রামপাল ছাড়াও ভারতের আদানি-গড্ডা তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিলের দাবি


২০ জুলাই ২০২০ ২২:১১

ঢাকা: রামপালের পাশাপাশি ভারতের ঝাড়খণ্ডে আদানি-গড্ডা কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পটিও বাতিলের দাবি উঠেছে। বলা হচ্ছে রামপালের মতো আদানি-গড্ডা প্রাণ ও প্রকৃতি বিনষ্টকারী একটি প্রকল্প। এই প্রকল্প ওই এলাকার বায়ু ও পানি দূষিত করবে, জমির উর্বরতা নষ্ট করবে। এছাড়া ওই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে আদিবাসী সাওতাঁল সম্প্রদায়কে উচ্ছেদ করা হচ্ছে, কেঁড়ে নেওয়া হচ্ছে তাদের চাষের জমি।

সোমবার (২০ জুলাই) ‘ইন্দো-বাংলা এনার্জি ডায়ালগ’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সেমিনারে বক্তারা এই দাবি তোলেন।

বিজ্ঞাপন

ভারতের বেসরকারি সংস্থা ইন্ডিয়ান সোশ্যাল অ্যাকশন ফোরাম (ইনসাফ), গ্রোথওয়াচ ও সাউথ এশিয়ান পিপলস একশন ইন ক্লাইমেট ক্রাইসিস এবং বাংলাদেশের বৈদেশিক দেনা বিষয়ক কর্মজোট এবং প্রাণ ও প্রকৃতি সুরক্ষা সম্মিলিতভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে।

ভার্চুয়াল সেমিনারে বাংলাদেশের উন্নয়ন মডেলের সমালোচনা করে গবেষক মাহা মির্জা বলেন, ‘দেশের প্রবৃদ্ধি নির্ভর অর্থনৈতিক মডেল দারিদ্র্য দূর করতে বা নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারছে না। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়ানোর যে লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে, তা বাংলাদেশকে দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক চাপে ফেলে দেবে। ভারতেও কয়লাবিদ্যুৎ অর্থনৈতিক বোঝা তৈরি করেছে।’ ভারতে নবায়নযোগ্য শক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ কমছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের উচিৎ ভারতের কয়লাবিদ্যুৎ নয়, নবায়নযোগ্য শক্তির পথ অনুসরণ করা।’

সেমিনারে ভারতের পরিবেশবিদ সৌম্য দত্ত বলেন, ‘রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র সুন্দরবনের বায়ু ও পানি ব্যাপকভাবে দূষিত করবে। বিশেষ করে কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে যে পারদ নিঃসৃত হয়, তা পানিতে মিশে মাছ ও জলজ প্রাণী মেরে ফেলবে। সুন্দরবনের ক্ষতি মানে ভবিষ্যতে আম্পানের মতো ঘূর্ণিঝড় থেকে রক্ষা করার জন্য বাংলাদেশের কেউ থাকবে না।’

বিজ্ঞাপন

বক্তারা আরও বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় আম্পান ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ১০ লাখেরও বেশি ঘরবাড়ি ধ্বংস করলেও বাংলাদেশে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তুলনামূলক কম। শতাব্দীর অন্যতম শক্তিশালী এই ঝড়কে প্রতিহত করে অসংখ্য প্রাণ রক্ষা করেছে সুন্দরবন। অথচ রামপাল কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করে এই সুন্দরবনকেই ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারের উচিত অবিলম্বে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিল করে সুন্দরবনকে রক্ষা করা।’

সেমিনারে ভারতের লেখক, সাংবাদিক ও প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা পরাণজয় গুহ ঠাকুরতা, বেসরকারি সংস্থা এনভায়রনিকস ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা ট্রাস্টি শ্রীধর রামমূর্তি, সাংবাদিক আবির দাশগুপ্ত, বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, জলবায়ুকর্মী, গবেষকসহ বিশিষ্টজনেরা ভার্চুয়াল সেমিনারে অংশ নেন।

আদানি গাড্ডা টপ নিউজ বিদ্যুৎকেন্দ্র রামপাল

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর