জলাবদ্ধতা নিরসনে ওয়াসা ও পাউবো চরমভাবে ব্যর্থ: ডিএসসিসি মেয়র
২২ জুলাই ২০২০ ২২:২৪
ঢাকা: রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ওয়াসাকে দায়ী করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ তাপস বলেন, ‘ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনের দায়িত্ব ওয়াসা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তারা সে দায়িত্ব পালনে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। দায়িত্ব পালন করতে না পারলে আমাদেরকে দিন, আমরা দীর্ঘমেয়াদী মহাপরিকল্পনার মাধ্যমে ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন করবো।’
বুধবার (২২ জুলাই) দুপুরে জলাবদ্ধতা নিরসনে করণীয় নির্ধারণ করতে ওয়েবিনারে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস স্থানীয় সরকার বিভাগের মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলামকে এই অনুরোধ করেন।
স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন-২০০৯ এর ২য় তফসিল ও ৩য় তফসিলের বিভিন্ন বিধি, ধারা ও উপধারা উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত এলাকায় পানি নিষ্কাশন, জলাধার সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে দায়বদ্ধ। কিন্তু দীর্ঘদিন ঢাকা ওয়াসা ও পানি উন্নয়ন বোর্ড জলাবদ্ধতা নিরসনের এই দায়িত্বগুলো তাদের আওতায় রেখে দিয়েছে। আইন অনুযায়ী তারা আমাদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করছে না। কিন্তু তারা সেই দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনও করছে না। ওয়াসা ও পানি উন্নয়ন বোর্ড দায়সারাভাবে দায়িত্ব পালন করছে বলেই বছরের পর বছর এই ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা একটি প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই আইন অনুযায়ী দায়িত্ব আমাদের কাছে হস্তান্তর করুন, আমরা দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত। দায়িত্ব নিয়ে আমরা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে ঢাকা শহরকে, ঢাকাবাসীকে জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্তি দেব।’
আরও পড়ুন: বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা, খাল পুনরুদ্ধারে শত কোটি টাকা জলে
মেয়র আরও বলেন, ‘আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত। তাই আমাদের প্রতি জনগণের প্রত্যাশা অনেক বেশি। করপোরেশন এলাকায় বর্তমান এই জলাবদ্ধতার জন্য দায়ী সংস্থাগুলোর সংস্থা-প্রধান ও প্রতিনিধিবর্গ যে সকল তথ্য দিয়েছেন, সেই তথ্যগুলো পুরোপুরি সঠিক নয়। আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি, উপস্থাপিত তথ্যগুলো সঠিক নয়। সেটি আমরা সরেজমিনে স্পটে গিয়ে প্রমাণ করতে পারবো।’
ডিএসসিসি মেয়র এ সময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রীকে পাউবো ও ওয়াসার হয়ে উপস্থাপিত উন্নয়ন কার্যক্রমগুলো সরেজমিনে পরিদর্শনের জন্য অনুরোধ করলে মন্ত্রী তাতে সায় দেন। এরপর বিকেলে মেয়র ডিএসসিসি’র ১৪ নম্বর, ২২ নম্বর ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের খাল ও পাম্প স্টেশনে পরিদর্শনে যান। খালগুলো ময়লা-আবর্জনা জমে নিশ্চল-নিথর হয়ে পড়ে থাকায় ও পাম্প হাউজের নিশ্চলতা দেখে উপস্থিত সকলেই হতাশা প্রকাশ করেন। এরপর সোনারগাঁ হোটেলের পাশে হাতিরঝিল স্লুইস গেইট পরিদর্শনে যান মেয়র।