আশুলিয়ায় চাঁদাবাজি: পুলিশ কনস্টেবলসহ ৪ জন রিমান্ডে
২৮ জুলাই ২০২০ ০০:২৫
ঢাকা: আশুলিয়ায় চাঁদাবাজির সময় গ্রেফতার পুলিশের এক কনস্টেবলসহ চার জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (২৭ জুলাই) আশুলিয়া থানায় দায়ের করা পৃথক চার মামলা তদন্তের স্বার্থে আসামিদের প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রট মনিরুজ্জামান শিকদার একেকজনকে প্রত্যেক মামলায় এক দিন করে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন- চাঁদাবাজির সময় পুলিশ কনস্টেবলসহ আটক ৪
অভিযুক্তরা হলেন— আশুলিয়া থানায় কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল মো. মমিনুর রহমান, আবদুল হামিদ (মাইক্রোবাস চালক), ওয়াহেদ ও ওয়াজেদ শেখ।
রোববার (২৬ জুলাই) দিবাগত গভীর রাতে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাসও জব্দ করা হয়। গাড়ি তল্লাশি করে দেশীয় অস্ত্র ও মাদক জব্দ করা হয়েছে।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত বুধবার (২২ জুলাই) রাতে জামগড়ায় নুর মেডিকেল হল নামে ওষুধের দোকানে নিষিদ্ধ ওষুধ রয়েছে দাবি করে ভয়-ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করে এই চার জন। তাৎক্ষণিকভাবে কিছু টাকা নিয়ে গভীর রাতে বাকি টাকা নিতে আসার কথা জানায় তারা। বিষয়টি ওই দোকান মালিক আশুলিয়ার নবীনগর র্যাব-৪-এর সিপিসি-২-এ অবহিত করেন। পরে র্যাব ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদের অপেক্ষা করতে থাকে। চাঁদা নিতে এলে র্যাব তাদের হাতেনাতে আটক করে।
এ বিষয়ে র্যাব ৪ (সিপিসি-২)-এর কমান্ডার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জমির উদ্দিন বলেন, আগে থেকেই অবস্থান নিয়ে তাদের হাতেনাতে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে আশুলিয়ার থানার একজন পুলিশ সদস্য রয়েছেন। তল্লাশি করে বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র , জাল টাকা, ইয়াবা ও গাঁজাসহ বিভিন্ন মানুষের জাতীয় পরিচয়পত্র ও ব্যাংকের ১৬ এটিএম কার্ড পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় চাঁদাবাজি, অস্ত্র, মাদক ও ডাকাতির প্রস্তুতি বিষয়ে মোট চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।