বিনামূল্যের খাবার হোটেল ‘বিদ্যানন্দের মেহমানখানা’
৩১ জুলাই ২০২০ ১২:২৩ | আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২০ ১৫:৫৭
ঢাকা: এক টাকার আহার দিয়ে সারাদেশেই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। এবার দরিদ্র ও নিম্নবিত্ত মানুষের খাদ্যের প্রয়োজন মেটাতে রাজধানীর ওয়ারীর জোড়পুল এলাকায় বিনামূল্যে খাদ্য বিতরণ শুরু করেছেন তারা। এই কাজে তাদের সঙ্গী হয়েছে পুরনো ঢাকার জনপ্রিয় খান হোটেল।
ওয়ারীর টিপু সুলতান রোডের খান হোটেলে ১৮ জুলাই থেকে চালু হয়েছে বিদ্যানন্দের মেহমানখানা। এ মেহমানখানায় প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দেড় থেকে ২ হাজার মানুষকে বিনামূল্যে খাবার খাচ্ছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিদিন বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ এখানে খাবার খেতে আসছেন। বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবক ও হোটেল কর্মচারীরা খাবার পরিবেশন করছেন তাদের। রুটি দিয়ে ডিম ভাজি ও মুরগির মাংস দিয়ে বুটের ডালের দুই পদের খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করা হচ্ছে সবাইকে। আর এই খাবার রান্না করছে ১৫ জন বাবুর্চি।
খান হোটেলের প্রধান সালমান খান ইয়াসিন সারাবাংলাকে বলেন, ‘মানুষকে খাওয়ানোর মতো ভালো কাজ আর নেই। এ প্রকল্পটি শুরু করতে পেরে আমরা আনন্দিত। রাজধানীতে এমন আরও কয়েকটি হোটেল খোলার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।’
তিনি আরও বলেন, ‘করোনা সংকটের কারণে অনেক মানুষ চাকরি হারিয়েছেন, অনেক মানুষ দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর হয়েছেন। তাদের জন্যই আমাদের এই হোটেল। আমরা চাই, আমাদের এই দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে অন্যরাও গরিব মানুষের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করুক।’
এ বছর ঈদে যারা কোরবানি দিতে পারবেন না তাদের সবাইকেও মেহমান হিসেবে স্ব-পরিবারে দাওয়াত দিয়েছেন সালমান খান ইয়াসিন।
বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কিশোর কুমার দাশ বলেন, ‘ক্ষুধার যন্ত্রনা আমি বুঝি। বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন সেই যন্ত্রণা উপলব্ধি থেকেই শুরু। সংকটকালে মানুষের যন্ত্রণা কিছুটা হলেও লাঘব করতে চাই। কিছু মানুষ যদি পরিবার নিয়ে খেতে পারেন, তবেই আমি খুশি।’
মেহমানখানা প্রসঙ্গে কিশোর কুমার দাস বলেন, ‘একজন মানুষকে এক প্যাকেট খাবার দেওয়ার চেয়ে এক প্লেট খাবার বসে খেতে দেওয়ার মধ্যে অন্যরকম এক অনুভূতি আছে। এমন অনুভূতি দিতেই বিদ্যানন্দের এই মেহমানখানা।’