ঢাকা: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) তত্ত্বাবধানে ঈদুল আজহার প্রথম দিনেই ৪ শ পশু কোরবানি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আগামীকাল রোববার ১ হাজার ও তার পরিদিন সোমবার ৬ শ পশু কোরবানি দেওয়া হবে। কেনার পর এসব পশুর মাংস কাটা থেকে শুরু করে কোরবানিদাতার বাসায় পৌঁছে দেওয়া পর্যন্ত পুরো ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে ডিএনসিসি। ডিজিটাল পদ্ধতিতে এসব ব্যবস্থাপনা পরিচালনা করা হচ্ছে।
শনিবার (১ আগস্ট) কোরবানি কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে গিয়ে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
মোহাম্মদপুরের বসিলায় অবস্থিত সাদিক অ্যাগ্রোতে ডিএনসিসির এ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এসময় তিনি কোরবানির পুরো কার্যক্রম পরিদর্শনও করেন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিকে মাথায় রেখে আমরা এবছর ডিজিটাল পদ্ধতিতে কোরবানি দেওয়ার আয়োজন করেছি। প্রাথমিকভাবে এই আয়োজনে ২ হাজার পশু জবাই দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। যারা তার কোরবানির গুরুটি আমাদেরকে দিয়ে গেছেন আমরা তার পুরো কোরবানির ব্যবস্থাপনা করে দিচ্ছি। সে অনুযায়ী আজ (ঈদের দিন) ৪ শ গরু জবাই হয়েছে। আগামীকাল ১ হাজার গরু এবং আগামী পরশু ৬ শ গরু জবাই হবে।’
তিনি বলেন, ‘এখানে প্রতিটি পশুর বিস্তারিত ডাটা অনলাইনে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে। কোন গরুটি কখন জবাই হবে এবং কখন তার মংসা কোরবানি দাতার বাসায় পৌঁছানো হবে তার বিস্তারিত তথ্য অনলাইনেই দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি কোরবানিদাতা যদি চান তার কোরবানির মধ্যে গরীবের যে হক রয়েছে সেটাও আমরা বিতরণ করে দেওয়ার ব্যবস্থা রেখেছি। আমরা টোটাল কম্পজিট একটা প্যাকেজ দিয়ে দিয়েছি। এ জন্য আমাদেরকে কোনো টাকা দিতে হবে না।’
মেয়র আরও বলেন, ‘আমরা এখন শুরু করলাম। এই বিষয়টি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। তার পরেও চ্যালেঞ্জটা নিয়েছি। আমাদের বিশ্বাস অন্যান্য দেশের মতো আমরা ডিজিটাল পদ্ধতিতে এভাবে আগামী বছরগুলোতে কোরবানি দিতে পারবো। আমাদের বিশ্বাস পশুর মাংসগুলোকে যদি স্বাস্থ্যসম্মতভাবে কোরবানি দাতার বাসায় পৌঁছে দিতে পারি তাহলে মানুষ আস্থা পাবে। গরুর মাংস নষ্ট হচ্ছে না। ভুঁড়ি নষ্ট হচ্ছে না। গরীবদের মাঝে মাংস বিতরণ করে দিচ্ছি। আমরা এখানে কোরবানির আগে গরু রাখারও ব্যবস্থা করেছি।’
মেয়র বলেন, ‘আমি অনুরোধ করবো সবাই যাতে আগামীতে আমাদের এই উদ্যোগে এগিয়ে আসে। আগামী বছর আমরা ১০ হাজার গরু কোরবানি দেওয়ার জন্য সেই আয়োজন আমরা করবো।’