অবশেষে পানিবন্দি দশা থেকে মুক্তি মিললো ২০০ পরিবারের
৭ আগস্ট ২০২০ ১৮:৪৭
জয়পুরহাট: অবশেষে পানিবন্দি দশা থেকে মুক্তি মিলেছে জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার দুই গ্রামের ২০০ পরিবারের সহস্রাধিক মানুষের। গত বুধবার (৫ আগস্ট) ‘বৃষ্টি হলেই পানিবন্দি কালাইয়ের ২ গ্রাম, নিস্কাশনের ব্যবস্থা নেই’ শিরোনামে সারাবাংলায় সংবাদ প্রকাশের পর হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন’র নির্দেশে কালাই উপজেলা চেয়ারম্যান কালাই ও ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওইদিনই গ্রামবাসিদের সাথে নিয়ে ভরাট জমি কেটে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করেন।
ফলে ৫ বছর ধরে পানির বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়েছে পশ্চিম কুজাইল ও চক নয়াপাড়া গ্রামের ২০০ পরিবার।
কালাই উপজেলা চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান মিলন, নির্বাহী অফিসার মোবারক হোসেন ও ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার এএসএম আবু সুফিয়ান সরেজমিনে উপস্থিত থেকে ক্ষেতলাল সীমানার ভরাট হওয়া জায়গা কেটে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। পরে গ্রামবাসিরা জয়পুরহাট-বগুড়া ভায়া মোলামগাড়ি সড়কের ক্ষেতলাল সীমানার প্রায় একশ ফিট ভরাট জায়গা কেটে বর্ষার পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করেন।
দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান হওয়ায় প্রচণ্ড খুশি গ্রামের প্রাণি চিকিৎসক নবীর উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘গত ৫ বছর ধরে আমরা এ সমস্যায় ছিলাম। দেরিতে হলেও সমাধান হওয়ায় আমরা গ্রামবাসি খুবই উপকৃত। এজন্য আমরা সবার প্রতি কৃতজ্ঞ।’
বৃষ্টি হলেই পানিবন্দি কালাইয়ের ২ গ্রাম, নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই
কালাই উপজেলা চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান মিলন বলেন, ‘সারাবাংলায় দুই গ্রামের পানিবন্দির প্রতিবেদন দেখার পর হুইপ মহোদয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিলে তাৎক্ষণিকভাবে পানি নিষ্কাশনের উদ্যোগ নেওয়া হয়।’ এছাড়া শুষ্ক মৌসুমে পানি নিষ্কাশনের স্থায়ী বন্দোবস্তের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। যা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে বলেও জানান তিনি।
এ সময় কালাইয়ের জিন্দারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান, ক্ষেতলাল পৌরসভার কাউন্সিলর জুলফিকার আলী চৌধুরীসহ শতাধিক গ্রামবাসি উপস্থিত ছিলেন।