নাইজারে বন্দুকধারীর গুলিতে ফ্রান্সের ৬ নাগরিকসহ নিহত ৮
১০ আগস্ট ২০২০ ০৩:৫৮
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারে এক বন্দুকধারীর গুলিতে আট জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ছয় জন ফ্রান্সের নাগরিক। একটি আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থার কর্মী হিসেবে নাইজারে কাজ করতেন তারা। বাকি দু’জনের মধ্যে একজন তাদের স্থানীয় গাইড, একজন গাড়িচালক।
রয়টার্স ও এএফপির খবরে বলা হয়েছে, নাইজারের রাজধানী নিয়ামে’র ৬৫ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত কৌরে শহরে রোববার (৯ আগস্ট) এ ঘটনাটি ঘটেছে। ওই এলাকাটি জিরাফের অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিত। জিরাফই ওই এলাকায় যাওয়া পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ।
নাইজারের তিলাবেরি অঞ্চলের গভর্নর তিজানি ইব্রাহিম বলেন, ওই বন্দুকধারী মোটরসাইকেলে চড়ে দলটির ওপর হামলা চালায়। তাতে আট জন মারা গেছেন।
শুরুতে জানানো হয়েছিল, হামলায় নিহত ছয় ফরাসি নাগরিক পর্যটক ছিলেন। পরে নাইজারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, তারা একটি আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থার হয়ে কাজ করছিলেন। পরে এক বিবৃতিতে সহায়তা সংস্থা অ্যাক্টেড (ACTED) জানিয়েছে, তাদের কর্মীরা এই হামলার শিকার হয়েছে।
অন্যদিকে কৌরে জিরাফ সংরক্ষণ গাইড সমিতির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, বন্দুকধারীর হামলায় স্থানীয় যে গাইড নিহত হয়েছেন, তার নাম কাদরি আবদু। ‘সন্ত্রাসী হামলা’য় নিহত এই ব্যক্তি ওই সমিতির প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
এদিকে, ফ্রান্স সরকারের পক্ষ থেকেও হামলায় ছয় ফরাসি নাগরিকের মৃত্যুর তথ্য স্বীকার করা হয়েছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো এ ঘটনায় নাইজারের প্রেসিডেন্ট মাহমাদো ইসোউফু’র সঙ্গে ফোনে কথাও বলেছেন। এ ঘটনায় নাইজারের বড় একটি অংশজুড়ে ফরাসি নাগরিকদে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়েছে।
এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো সংগঠন কোনো দায় স্বীকার করেনি, যদিও কোনো ধরনের ‘জিহাদি’ গোষ্ঠীর জড়িত থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না কেউই। কারণ দেশটিতে এ ধরনের উগ্রপন্থি সংগঠনের কার্যক্রম ক্রমেই সম্প্রসারিত হচ্ছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে উঠে এসেছে। বিশেষ করে সাহেল অঞ্চলে বোকো হারাম ছাড়াও আল-কায়েদা ও আইএসের তৎপরতা লক্ষ্যণীয়।
ফ্রান্স সরকারও বলছে, তাদের সাবেক এই উপনিবেশ দেশের রাজধানী নিয়ামে’র বাইরে এবং সীমান্তবর্তী এলাকায় সন্ত্রাসী হামলার ঝুঁকি অনেক বেশি।
৬ ফরাসি নাগরিক জিরাফে অভয়ারণ্য নাইজার ফরাসি নাগরিক বন্দুকধারীর গুলি