Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

স্যার, রিমান্ডটা কি কনসিডার করা যায় না: আদালতকে সাহেদ


১০ আগস্ট ২০২০ ২১:১৩

ফাইল ছবি

ঢাকা: ফারমার্স ব্যাংক থেকে অর্থ আত্মসাৎ মামলায় রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান ও রিজেন্ট হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার (১০ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন।

সাহেদের আইনজীবী আদালতে না আসায় তিনি নিজেই নিজের শুনানিতে অংশ নেন। শুনানি শেষে রিমান্ড আদেশ দিলে সাহেদ আদালতকে বলেন, ‘আমি অসুস্থ, নিঃশ্বাস নিতে পারছি না। স্যার রিমান্ডটা কি কনসিডার করা যায় না?’

তখন দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল তাকে অভয় দিয়ে বলেন, ‘দুদক রিমান্ডে নিয়ে কারও ওপর খারাপ আচরণ করে না।’ এরপর সাহেদকে আদালত থেকে নিয়ে যাওয়া হয়।

এর আগে সোমবার সাহেদকে আদালতে তোলা হয়। গত ৬ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ আসামি সাহেদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিলেন। আদালত সাহেদের উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানির জন্য আজ সোমবার দিন ধার্য করেন। এদিন রিমান্ড শুনানিকালে সাহেদকে বেলা ১২টার দিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তাকে সরাসরি এজলাসে নেওয়া হয়।

এরপরই রিমান্ড শুনানি শুরু হয়। তখন সাহেদ বিচারকের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমার আইনজীবী আসছিলেন। এখন তাকে দেখছি না। তার জন্য একটু অপেক্ষা করি। বিচারক ১৫ মিনিট পর শুনানির সময় দেন। এরপর এক আইনজীবী সাহেদের কাছ থেকে তার আইনজীবীর মোবাইল নম্বার নিয়ে ফোন দেন। কিন্তু আইনজীবী ফোন ধরেননি।’

পরে ১৫ মিনিট পর আবার শুনানি শুরু হয়। তখন সাহেদ আদালতের উদ্দেশে বলেন, ‘তাহলে আমি নিজেই বলি।’

নুমতি পাওয়ার পর সাহেদ বলেন, ‘আমি ২০ দিনের রিমান্ডে ছিলাম। সামনে আরও ২৮ দিন রিমান্ড পেন্ডিং রয়েছে। আমি অসুস্থ, নিঃশ্বাস নিতে পারছি না। এখন আপনার ইচ্ছা।’

অন্যদিকে দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, ‘রিজেন্ট হাসপাতালের এমআইআর মেশিন কিনতে আসামি ২ কোটি টাকা ঋণ নেন। কিন্তু তিনি মেশিন না কিনে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। জানতে পেরেছি, এই দুই কোটি টাকা ঋণ নিতে বিভিন্নজনকে তিনি ৩৫ লাখ টাকা বকশিস দিয়েছেন। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে কারা এই বকশিস নিয়েছেন তাদের নামও চলে আসবে। এ জন্য তার রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করছি।’

তখন সাহেদ বলেন, ‘ব্যাংক থেকে টাকা নিয়েছি। আমার এমডি দীর্ঘদিন ধরে সিঙ্গাপুর আছে। তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না। এখন আপনার বিবেচনা।’

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত সাহেদের সাত দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। এরপর সাহেদ বিচারকের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘স্যার, রিমান্ডটা কনসিডার করা যায় না?’

তখন দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল তাকে অভয় দিয়ে বলেন, দুদক রিমান্ডে নিয়ে কারো ওপর খারাপ আচরণ করে না। এরপর সাহেদকে আদালত থেকে নিয়ে যাওয়া হয়।

গত ২৭ জুলাই দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ বাদী হয়ে সাহেদ, ফারমার্স ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাহী কমিটির সভাপতি মো. মাহবুবুল হক চিশতীসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।

আরও পড়ুন
সাহেদ-পাপিয়ার আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি নানকের
রিজেন্ট চেয়ারম্যান সাহেদকে নিয়ে সেই লাবণ্যবতী খালে র‌্যাব
সাহেদের অস্ত্র মামলার চার্জশিট দিল ডিবি
ফারমার্স ব্যাংকের অর্থ আত্মসাৎ, সাহেদসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা
ফারমার্স ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ, সাহেদের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন
সাহেদ ২৮ দিনের রিমান্ডে
‘সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছাড়ানোর নামে মোটা অঙ্কের টাকা মেরেছেন সাহেদ’

টপ নিউজ প্রতারণা রিজেন্ট হাসপাতাল রিমান্ড সাহেদ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর