Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে ৩০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে ওরিক্স বায়োটেক


১১ আগস্ট ২০২০ ১৮:৫০

ঢাকা: বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে ৩০০ মিলিয়ন বা ৩০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে ওরিক্স বায়ো-টেক লিমিটেড। এজন্য প্রতিষ্ঠানটিকে ২৫ একর জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সেখানে তারা বায়োটেকনোলজি নিয়ে কাজ করবে।

মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁও-এ আইসিটি টাওয়ার অডিটোরিয়ামে এ-লক্ষ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এমপি উক্ত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি।

এছাড়া বক্তব্য রাখেন সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব) হোসনে আরা বেগম এনডিসি, আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম ও ওরিক্স বায়ো-টেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডেভিড বো প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘আইসিটি বিভাগ করোনা মোকাবিলায় যে ভূমিকা রেখেছে তা দেশের সর্বস্তরে প্রশংসিত হয়েছে।‘ তিনি বলেন, ‘লাইভ করোনা টেস্ট, কোভিড-১৯ ট্র্যাকার, টেলি-মেডিসিন ও টেলিহেলথ ও সহযোদ্ধা-প্লাজমা প্লাটফর্ম ইত্যাদি বহু উদ্যোগের সুফল পেয়েছে দেশবাসী। এর থেকেই একটি দেশের আইসিটি খাতের অগ্রগতির চিত্র সুস্পষ্ট।’

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি বলেন, ‘কালিয়াকৈরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি দেশের প্রথম ও বৃহত্তম হাইটেক পার্ক। ২০১৪ সালে আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ সরেজমিনে এই পার্কটি পরিদর্শন করে পার্কের উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। ৩৫৫ একর জমিতে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে বর্তমানে ৩৭টি কোম্পানিকে জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে ইতোমধ্যে পাঁচটি কোম্পানি উৎপাদন শুরু করেছে। কোম্পানিগুলো এই পার্কে মোবাইল ফোন অ্যাসিম্বিং ও উৎপাদন, অপটিকাল কেবল, হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, ডাটা-সেন্টার প্রভৃতি উচ্চ প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করবে। এসব কোম্পানিতে ৩২৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে এবং প্রায় ১৩ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে হাইটেক পার্কগুলোতে ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে বলে আমরা আশাবাদী।’

মুহাম্মদ আজিজ খান বলেন, ‘সামিট টেকনোপলিসের বরাদ্দকৃত ২০ একর জমি এবং ভবনে দেশের প্রথম এবং বৃহত্তম বায়ো-টেক শিল্প খাতে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের এই বিনিয়োগ কার্যকর করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষির্কী উদযাপনের বর্ণিল বছরে এটি অত্যন্ত সন্তোষজনক ব্যাপার যে এই প্লাজমা ফ্রাকশানেশন প্ল্যান্টটি বাংলাদেশের উন্নয়নে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।‘

আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব বলেন, ‘আইসিটি বিভাগ ২০২৫ সালের মধ্যে ৫ বিলিয়ন ডলার রফতানি ও ২ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে তা পূরণে হাইটেক পার্ক অগ্রণী ভূমিকা রাখছে।’

উল্লেখ্য, এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ ৩ শ মিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক বিনিয়োগ হবে। যেখানে প্রায় ২ হাজার লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ বায়ো-প্রযুক্তিতে অনেক দূর এগিয়ে যাবে। ওরিক্স বায়ো-টেক এখন ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে। উন্নত বিশ্বে এখন বায়ো-টেকনোলজির ব্যাপক ব্যবহার হচ্ছে। মূলত হিউম্যান প্লাজমা থেকে বায়ো-টেক পণ্য উৎপাদিত হয়। এইচআইভি এইডস এবং ক্যানসার রোগের চিকিৎসায় এসব বায়ো-টেক ঔষধ এখন ব্যবহার হচ্ছে। ওরিক্স বায়ো-টেক লিমিটেড বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে বছরে ১ হাজার ২০০ টন প্লাজমা বিশ্লেষণে সক্ষম প্ল্যান্ট নির্মাণ করতে চায় যার সাথে ২০টি প্লাজমা সংগ্রহ স্টেশন সংযুক্ত থাকবে। প্রতিষ্ঠানটি এক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ অন্যান্য উন্নত বিশ্বের মান বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের বাজারে বায়ো-টেক পণ্য সহজলভ্য হবে।

বিজ্ঞাপন

পার্ক বঙ্গবন্ধু বায়োটেক হাইটেক

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর