Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মারামারির পর চমেক হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতিতে


১৪ আগস্ট ২০২০ ১২:৫৮

চট্টগ্রাম ব্যুরো: দুই পক্ষে মারামারিতে তিন জন আহতের পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন শুরু করেছেন।

শুক্রবার (১৪ আগস্ট) সকাল থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা হাসপাতালে কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। এছাড়া সকাল থেকে তারা ক্যাম্পাসে মিছিল-সমাবেশ শুরু করেন। ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকে বাঁশ দিয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেন। চমেক হাসপাতালের বিভিন্ন ফটকেও তারা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেন।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন- চমেক ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে মারামারি

বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে নগরীর চকবাজার থানার চট্টেশ্বরী সড়কে চমেকে প্রধান ছাত্রাবাসে আধিপত্য নিয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত ইন্টার্ন চিকিৎসক এবং কলেজে বিভিন্ন বর্ষের ছাত্রদের দুই গ্রুপে মারামারি হয়। এ ঘটনার জের ধরে রাতে ছাত্রাবাস সংলগ্ন গুলজার মোড়ে আরেক দফা মারামারিতে আহত হন ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের (আইডিএ) আহ্বায়ক ওসমান গণিসহ তিন জন। এর মধ্যে ওসমান চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী। আর বিবদমান ছাত্রলীগের আরেক গ্রুপ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী। মারামারি-হামলার জন্য উভয়পক্ষ একে-অন্যকে দোষারোপ করছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর থেকেই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে দেন ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা। কিন্তু চমেকের ছাত্রাবাসে তাদের কয়েকজন অবস্থান করছিলেন। চমেকে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত আরেক গ্রুপের নেতাকর্মীরা হলে উঠতে গেলে সংঘাত দেখা দেয়।অ

বিজ্ঞাপন

আইডিএ’র যুগ্ম আহ্বায়ক আবিদুর রহমান জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে হোস্টেলে ঢুকে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। রাতে আরেকদফা হামলা হয়। এর প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট আহ্বান করা হয়েছে। ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা কেউ কাজে যোগ দেননি।

চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ূন কবীর বলেন, ‘জুলাই মাসে কিছু কিছু ইন্টার্ন চিকিৎসক কাজে যোগ দিয়েছেন। এতদিন ইন্টার্ন চিকিৎসক ছাড়াই সেবা দিয়েছি। তারা নিজেরা-নিজেরা মারামারি করে ধর্মঘট ডেকেছে। তাদের বলেছি, আন্দোলনটা যেন নিয়মতান্ত্রিক হয়। রোগীদের যেন কোনো দুর্ভোগ না হয়।’

চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রুহুল আমীন সারাবাংলাকে বলেন, ‘বিকেলে একদফা এবং রাতে আরও একদফা মারামারি হয়েছে। ক্যাম্পাসে এবং ছাত্রাবাসে পুলিশ মোতায়েন আছে। কেউ মামলা করেনি।’

এর আগে গত ১২ জুলাই চমেক ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে মারামারিতে কমপক্ষে ১৩ জন আহত হন। এরপর নওফেলের অনুসারী চমেক ছাত্রলীগের নেতা খোরশেদুল আলম বাদী হয়ে ১১ চিকিৎসকসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।

ইন্টার্ন চিকিৎসক কর্মবিরতি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ চমেক হাসপাতাল দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর