‘জাতির জনকের আদর্শে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে বিচার বিভাগ’
১৫ আগস্ট ২০২০ ১৭:১১
ঢাকা: প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশের বিচার বিভাগ জাতির জনকের আদর্শকে ধারণ করে আইনের শাসন এবং সকলের জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে এবং যাবে।
শনিবার (১৫ আগস্ট) বঙ্গবন্ধুর ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে সকাল ১০টায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন প্রধান বিচারপতি।
এছাড়া, বাংলাদেশে সুপ্রিম কোর্ট জামে মসজিদে পবিত্র কুরআন খানি ও দোয়া করা হয় এবং দুঃস্থদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ করা হয়।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের উপস্থিতিতে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান বিচারপতি জনাব সৈয়দ মাহমুদু হোসেন বলেন, ‘বাঙালি জাতি আজ গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করছে। তিনি এমন এক মহান ব্যক্তিত্ব যাকে কোনো বিশেষণে বিশেষায়িত করা যাবে না। ভাষা আন্দোলন, বাঙালি জাতীয় মুক্তি সনদ, ছয় দফা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তি সংগ্রাম, জয় বাংলা, বাঙালি জাতীয়তাবাদ, বাঙ্গালির স্বাধিকার, বাঙ্গালির স্বাধীনতা, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ যাই বলি না কেন এ শব্দগুলোর অপর নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এই মহান নেতা আমাদের জাতীয় জীবনে এক আলোকবর্তিকা। তিনি অন্যায়ের কাছে মাথানত করেনি বলে তার জীবনের অনেকটা সময় কারাগারে কেটেছে। আদর্শ এবং মূল্যবোধ থেকে তিনি এক পা পিছু হটেননি। গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনকে সুসংহত করতে বঙ্গবন্ধু জীবনের শেষদিন পর্যন্ত প্রাণান্তকর চেষ্টা করেছেন।’
তিনি বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের কথা শুধু ১৯৭২ সালের সংবিধানেই বলেননি, তারও আগে ১৯৫৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের গণ পরিষদে আইন সভার সদস্য হিসেবে নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের জোর দাবি উত্থাপন করেন। ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর
তিনি আমাদের একটি সংবিধান উপহার দেন। দেশের মানুষ স্বল্প সময়ে ন্যায়বিচার পেলে জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে। বাংলাদেশের বিচার বিভাগ জাতির জনক এর আদর্শকে ধারণ করে আইনের শাসন এবং সকলের জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে এবং যাবে।
সভায় বক্তারা আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং চেতনাকে লালন করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিবৃন্দ অঙ্গীকারবদ্ধ।
সভা শেষে শ্রদ্ধা নিবেদন করে দাঁড়িয়ে দুই মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শহীদ হওয়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের সদস্যদের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম। এসময় আপিল বিভাগ ও হাইকোর্টের বিচারপতিরা তাতে অংশ নেন।