র্যাপিড টেস্ট অনুমোদন বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে মঙ্গলবার!
১৭ আগস্ট ২০২০ ১১:৩৬
ঢাকা: নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে র্যাপিড টেস্ট কিটের অনুমোদন নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার। ১৮ আগস্ট এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতরের একাধিক সূত্র। এরইমধ্যে এ বিষয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটির মাধ্যমে অ্যান্টিবডি-অ্যান্টিজেন ভিত্তিক র্যাপিড টেস্টের অনুমোদনের জন্য একটি প্রস্তাবনা স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে যাচাই বাছাইয়ের জন্য পাঠানো হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে। সুনির্দিষ্ট নীতিমালা তৈরি করে সেরো সার্ভিলেন্স, প্লাজমা থেরাপি ও গবেষণার জন্য এই কিট ব্যবহার হতে পারে। এক্ষেত্রে কিটের ব্যবহারের জন্য মান নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি নিতে হবে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমতিপত্র।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এরইমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে র্যাপিড টেস্ট বিষয়ে একটি খসড়া নীতিমালা তৈরি করে ৯ জুলাই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দেশের প্রখ্যাত চিকিৎসাবিজ্ঞানী অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলীকে সভাপতি করে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়। এই বিশেষজ্ঞ কমিটি ৪ আগস্ট নমুনা পরীক্ষা সম্প্রসারণ নীতিমালা তৈরি করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগে পাঠান।
অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলী সারাবাংলাকে বলেন, ‘র্যাপিড টেস্টের অনুমোদনের বিষয়টি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে বিবেচনাধীন রয়েছে। সাধারণত আরটি পিসিআর টেস্ট বাদে কোভিড-১৯ শনাক্তের জন্য অ্যান্টিজেন বেইস নমুনা পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। সেরো সার্ভিলেন্সের জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে অ্যান্টিবডি টেস্ট। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিবেন। এক্ষেত্রে যদি বাইরে থেকে কিছু ইমপোর্ট করতে হয় তবে সেক্ষেত্রে অ্যান্টিবডি ও অ্যান্টিজেনের ক্ষেত্রে কী ধরণের কোয়ালিটি থাকতে হবে সেগুলো নিয়েও সিদ্ধান্ত হতে পারে। এগুলো নিয়ে কিছু নীতিমালা ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর করে রেখেছিল। কিন্তু আগে র্যাপিড টেস্ট যে বাংলাদেশে চালু হবে সেটার অনুমতি দিতে হবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে। র্যাপিড টেস্ট বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পরে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর নীতিমালা এপ্রুভ করবে।’
তিনি বলেন, আরটি পিসিআর টেস্ট বাদে জিন এক্সপার্ট মেশিনে কোভিড-১৯ শনাক্তকরণের জন্য নমুনা পরীক্ষা করা যায়। তবে তুলনামূলকভাবে অ্যান্টিজেন ডায়াগনস্টিকের টেস্টের ক্ষেত্রে দেখা যায় কিছুটা দ্রুত নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব। এই ক্ষেত্রে ৩০ মিনিটের মধ্যে অ্যান্টিজেন টেস্টের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল দেওয়া সম্ভব হতে পারে। তবে এগুলো কিন্তু সংখ্যায় খুবই কম যেগুলো উন্নত দেশগুলোতে ব্যবহার করা হচ্ছে। যদি অনুমোদন পায় তবে এগুলো যেসব দেশ ডেভেলপ করেছে সেসব দেশ থেকে আনতে গেলেও হয়তোবা কূটনৈতিকভাবে যোগাযোগ স্থাপন প্রয়োজন হতে পারে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে। এমনকি ভারতে যেটা তৈরি করেছে সেটাও কিন্তু ব্লক করে রেখেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘অ্যান্টিবডি টেস্টটা হলো সেরো সার্ভিলেন্সের জন্য, এটা কখনোই ডায়াগনস্টিকের জন্য না। অর্থাৎ কারো অতীতে কোভিড-১৯ সংক্রমণ হয়েছে কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য অ্যান্টিবডি টেস্ট করা হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে অবশ্য আমরা এখনো জানি না যে কোভিড-১৯ এর ক্ষেত্রে কতদিন অ্যান্টিবডি থাকতে পারে। হয়তবা শুরু হলে তখন বলা যাবে। কারণ একেক দেশের আবার ভ্যারিয়েশন আছে। কোনো দেশে দেখা যাচ্ছে তিন মাস রিপোর্টেড হচ্ছে, তারপরে সেই গ্রাফ পড়তে থাকে। আর তাই আমাদের দেশের অ্যান্টিবডি কতদিন থাকবে, কারও দ্বিতীয় সংক্রমণ হচ্ছে কি না এগুলো হয়ত তখন জানা যাবে।’
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনির্ণয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ড. মুশতাক হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে র্যাপিড টেস্ট অনুমোদন দেওয়া প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে আসলে সেরো সার্ভিলেন্সের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবডি টেস্ট শুরু করা যেতে পারে। বিভিন্ন এলাকায় সংক্রমণের মাত্রা নির্ণয় করার ক্ষেত্রে ক্লাস্টারভিত্তিক ভাবে অ্যান্টিবডি টেস্ট করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে এটি ইমিউনিটি দেখার ক্ষেত্রেও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।’
কোভিড-১৯ মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘র্যাপিড টেস্ট অনুমোদন বিষয়ে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহেই সুপারিশ দিয়েছে। এক্ষেত্রে এটা নিয়ে আসলে নতুনভাবে কিছু বলার নেই। দেশে সংক্রমণের প্রকৃত চিত্র জানা জন্য ও কত সংখ্যক মানুষ নমুনা পরীক্ষা ছাড়াই আক্রান্ত হয়েছে তা জানার জন্য অ্যান্টিবডি টেস্ট কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। তবে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্তকরণের জন্য অ্যান্টিবডি টেস্টের উপরে নির্ভরশীল হওয়া যাবে না। শুধু যারা আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে গেছে, তাদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে কি না, সেটা দেখার জন্য গবেষণা বা পর্যবেক্ষণ কার্যক্রমের আওতায় এই টেস্ট করা দরকার। বর্তমান পরিস্থিতিতে এটা যত দ্রুত অনুমোদন হবে ততই ভালো সবার জন্য। এক্ষেত্রে যদি অ্যান্টিজেন টেস্টের অনুমোদন দেওয়া হয় তবে সেটা কিছুটা সময়সাশ্রয়ী হবে আরটি পিসিআর টেস্টের তুলনায়। অ্যান্টিজেন টেস্ট করা আরটি-পিসিআর টেস্টের চেয়ে অনেক সহজ ও কার্যকর। মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যেই অ্যান্টিজেন টেস্টের ফল পাওয়া যায়। কেউ চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে গেলে দ্রুত সময়ে তার অ্যান্টিজেন টেস্ট করে সে অনুযায়ী চিকিৎসার জায়গা নির্দিষ্ট করে দেওয়া যাবে। এতে রোগীর যেমন সঠিক চিকিৎসা হবে, চিকিৎসাকর্মীদের সুরক্ষাও নিশ্চিত হবে।তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই এগুলোর মান নিশ্চিত করাও প্রয়োজন।’
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. সানিয়া তহমিনা সারাবাংলাকে বলেন, ‘বাংলাদেশের সকল এলাকায় পিসিআর ল্যাবরেটরি স্থাপন করা সময়সাপেক্ষ বিষয়। আমাদের মতো দেশের প্রেক্ষাপটে কিছুটা কঠিনও তেমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া। কিন্তু যদি দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের জনগণকে কোভিড-১৯ নমুনা পরীক্ষার আওতায় আনতে হয় তবে র্যাপিড টেস্ট অবশ্যই বিকল্প হতে পারে। ১৮ আগস্ট এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রীর উপস্থিতিতে মন্ত্রণালয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হবে।’
তিনি বলেন, ‘র্যাপিড টেস্টের মধ্যে অ্যান্টিজেন টেস্ট হচ্ছে পিসিআর টেস্টের প্রায় কাছাকাছি একটা টেস্ট। যেটা একদম শতভাগ পিসিআরের মতো না কিন্তু একটু তাড়াতাড়ি হবে।ওটার জন্যেও একটা ছোট যন্ত্র লাগে। সারা পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত যতগুলো র্যাপিড কিট ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে সেগুলোর ক্ষেত্রে এই যন্ত্র লাগে। সুইডেন, যুক্তরাষ্ট্র সহ বেশ কিছু দেশে এই পদ্ধতিতে টেস্ট অনুমোদন পেয়েছে। ভারতেও এই টেস্টের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।আরেকটি টেস্ট প্রক্রিয়া হলো এন্টিবডি টেস্ট। এটার বিষয়েও আমরা ভাবছি কারণ বাংলাদেশে এখন প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ হচ্ছে ক্লিনিকাল ট্রায়াল হিসেবে। এক্ষেত্রে কিছু প্রাসঙ্গিক বিষয়ে সহায়তার জন্য এই টেস্ট প্রয়োজন হতে পারে। সার্ভিলেন্সের ক্ষেত্রেও এটা ব্যবহার হতে পারে। এক্ষেত্রে আবার IgM ও IgG দুইটা বিষয়ে খেয়াল রাখতে হয়। এগুলোর ক্ষেত্রে আবার একটা সময়সীমা লাগে অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়ার জন্য। এর পরে এই কিটের কার্যকারিতা আসে। তাই বলা যায় এ সব কিছু নিয়েই সরকার চিন্তা ভাবনা করছে।’
ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের পরিচালক আইয়ুব হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘র্যাপিড টেস্ট অনুমোদন বিষয়টি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষজ্ঞ কমিটির সিদ্ধান্তের উপরে নির্ভর করবে। ইতোমধ্যেই বিশেষজ্ঞ কমিটি এই কিট ব্যবহার নিয়ে নীতিমালা চূড়ান্ত করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। আমরা সেই সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।’
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আব্দুল মান্নান সারাবাংলাকে বলেন, র্যাপিড টেস্ট বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনা তো আছেই। এই ক্ষেত্রে হয়তোবা খুব দ্রুতই কমিটির মিটিং শেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এ দিকে র্যাপিড টেস্ট অনুমোদন বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক সারাবাংলাকে বলেন, ‘বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে কাজ করছেন। আমরা আশা করছি খুব দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি ইতোমধ্যেই নীতিমালা তৈরি করেছে। সেই নীতিমালা মেনে ইউএসএফডিএ’র আমব্রেলা গাইডলাইন অন সেরোলজিক্যাল টেস্ট এবং আন্তর্জাতিক স্টান্ডার্ডের এর আলোকে র্যায়পিড অ্যান্টিবডি টেস্ট কিটের জন্য কমবাইন্ড (IgG+IgM) এর জন্য ন্যুনতম সেনসিভিটি ৯০ শতাংশ ও স্পেসিফিটি ৯৫ শতাংশ হতে হবে। এ ছাড়াও আলাদা আলাদাভাবে IgG এর ক্ষেত্রে ন্যুনতম ৯০ শতাংশ ও স্পেসিফিটি ৯৫ শতাংশ নির্ধারিত হবে। এলিসা মেথডের ক্ষেত্রে র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট কিটের মতোই সেনসিভিটি ও স্পেসিফিটি নির্ধারিত হবে। তবে ডায়াগনস্টিক কিট হিসেবে নয়, শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট সময় পরে অ্যান্টিবডি শনাক্তকরণের জন্য র্যাডপিড টেস্ট কিট অনুমোদন পেতে পারে। দেশের বিভিন্ন স্থানে সংক্রমণের মাত্রা বিবেচনা করে এবং প্লাজমা থেরাপির সহায়তার জন্যেও র্যাপিড টেস্ট কিট অনুমোদন পেতে পারে।
উল্লেখ্য, সিঙ্গাপুরে প্রথম র্যাপিড টেস্ট করা হয়। এর পরে দক্ষিণ কোরিয়াতেও র্যাপিড টেস্ট প্রয়োগ করা হয়। সেখানে সংক্রমণ সংখ্যা কমানোর জন্য ব্যাপকহারে জন পরীক্ষা করা হয়, তার মধ্যে ছিল সেরোলজিকাল টেস্টও।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তারা সার্স ও মার্সের অভিজ্ঞতা থেকে দ্রুত ও সিদ্ধান্তমূলক অ্যাকশন নিয়েছেন। সারা পৃথিবীতেই এই টেস্ট ব্যাপক প্রশংসিত, দক্ষিণ কোরিয়ার সাফল্যের পিছনে হাসপাতাল পরিকাঠামোর সঙ্গে এই কিটকেও সাফল্যের ভাগ দেওয়া হচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অবশ্য র্যাপিড টেস্টিং নিয়ে সাবধানী পা ফেলেছে। ৮ এপ্রিল তাদের তরফ থেকে বলা হয়, এই টেস্টের সুপারিশ করবার আগে তা যেন যথাযথ জনসংখ্যা ও পরিস্থিতির মধ্যে যাচাই করে নেওয়া হয়। যথাযথ পরীক্ষা না হলে সংক্রমিতরা বাদ পড়ে যেতে পারেন বা অসংক্রমিতরা রোগী হিসেবে চিহ্নিত হতে পারেন, যার জেরে নিয়ন্ত্রণ প্রচেষ্টা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বর্তমানে সাম্প্রতিক প্রমাণাদির ওপর ভিত্তি করে, বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থার সুপারিশ এগুলি কেবলমাত্র গবেষণার কাজে ব্যবহার করা হোক। এগুলি ক্লিনিকাল সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে এই মুহূর্তে ব্যবহার করা উচিত নয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই বক্তব্যে ভাইরাস ও অ্যান্টিবডি চিহ্নিতকরণ, উভয় র্যাপিড টেস্টের সম্পর্কেই বলা হয়।
পৃথিবীতে অ্যান্টিজেন ডিটেক্ট করার জন্য মাত্র কয়েকটি নির্ভরযোগ্য কিট রয়েছে। আমেরিকায় ৯ মে আমেরিকান সংস্থা কুইডেলের অ্যান্টিজেন কিট সোফিয়া ২ সার্স অ্যান্টিজেন কিটের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ১৪ মে জাপান সরকার টোকিওর সংস্থা অ্যান্টিজেন টেস্ট কিট অনুমোদন করেছে। ভারতে এস ডি বায়োসেন্সর সংস্থার কিট আইসিএমআর এবং এইমসে পরীক্ষা করা হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ান এই অ্যান্টিজেন কিটের নমুনা পরীক্ষার রেজাল্টে দেখা গিয়েছে এই কিটের ৯৯.৩ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশ ক্ষেত্রে সঠিক নেগেটিভ ফল দিচ্ছে। পজিটিভের ক্ষেত্রে এর সাফল্য ৫০.৬ থেকে ৮৪ শতাংশ, যা ভাইরাল লোডের ওপর নির্ভরশীল।