ঢাকা: রূপপুর পারমাণবিক বিদুৎকেন্দ্র প্রকল্পে বালিশ, আসবাবপত্র ও অন্যান্য সামগ্রী ক্রয়-সংক্রান্ত দুর্নীতির তিন মামলায় উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলামকে কেন জামিন দেওয়া হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদেরকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার (১৭ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। দুদকের পক্ষে ছিলেন মো. খুরশিদ আলম খান, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) এ কে এম আমিন উদ্দিন (মানিক) ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহজাবিন রাব্বানী দীপা।
পরে খুরশীদ আলম খান জানান, রূপপুর বালিশ কাণ্ডের ঘটনায় উপসহকারী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামের তিন মামলায় কেন জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদেরকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক আইনজীবীর তথ্যমতে, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে পাবনার রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের আবাসিক ভবনের আসবাব, বালিশসহ অন্যান্য সামগ্রী অস্বাভাবিক দামে কেনা দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর দুদকের পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে পৃথক মামলা করে দুদক। সেদিন থেকে আসিফ কারাগারে। দুই মামলায় ৭ কোটি ৪৯ লাখ ৪২ হাজার এবং ৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকার দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়। এরপর থেকে কারাগারেই আছেন।