ডিআইজি মিজান ও বাছিরের বিচার শুরু
১৯ আগস্ট ২০২০ ১৩:৩৯
ঢাকা: ৪০ লাখ টাকা ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে পুলিশ বাহিনী থেকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ডিআইজি মিজানুর রহমান ও দুদক থেকে সাময়িক বরখাস্ত হন পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির। তাদের বিরুদ্ধে করা মামলায় বাদী দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যার সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। এরই মধ্যদিয়ে মামলার অনুষ্ঠানিকভাবে বিচার কাজ শুরু হলো।
বুধবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
এ সাক্ষীর জবানবন্দি শেষে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা শুরু করেন। এদিন জেরা শেষ না হওয়ায় পরবর্তী জেরা ও সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য পরবর্তী ২ সেপ্টেম্বর দিন নির্ধারণ করেন আদালত।
গত ১৮ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
এরআগে গত ১৯ জানুয়ারি ডিআইজি মিজান ও এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা। এরপর গত ৯ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ।
২০১৯ সালের ১৬ জুলাই ডিআইজি মিজান ও বাছিরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা। ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ পাওয়ার পর দুই প্রতিষ্ঠান থেকেই ডিআইজি মিজান ও এনামুল বাছিরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।
২০১৮ সালের জানুয়ারিতে এক নারী ব্যাংক কর্মকর্তাকে জোর করে বিয়ে এবং সম্পর্ক গোপনের অভিযোগে পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমানকে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়। পরে মিজানের শত কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে বলে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ আসে। সেই অভিযোগ যাচাই-বাছাইয়ের অংশ হিসেবে ওই বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেয় দুদক।
এরপর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন পুলিশের বিতর্কিত এই কর্মকর্তা। ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের ঘটনা তদন্ত করছিলেন এনামুল বাছির। মিজান এ সম্পর্কিত অডিও রেকর্ড বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে সরবরাহ করেন। এরপরই দুদক তিন সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করে। সেই কমিটির তদন্তের ভিত্তিতে কমিশন খন্দকার এনামুল বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করে। পরে দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোরশেদকে নতুন অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।