বিদ্রোহী সেনাদের হাতে আটক অবস্থায় পদত্যাগ করেছেন পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বুবাকারা কেইটা। বুধবার (১৯ আগস্ট) এক ঘোষণায় মালির প্রেসিডেন্ট তার এ সিদ্ধান্ত জানান। এর আগে, মঙ্গলবার দেশটির বহু সেনা-সরকারি কর্মকর্তা এবং রাজনীতিবিদদের আটক করে সেনাবাহিনীর একদল বিদ্রোহী সদস্য। তারা প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীকেও আটক করে রাখে।
বিদ্রোহী সেনাদের হাতে মালির প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী আটক
বুধবার এক টেলিভিশন বার্তায় মালির প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘যদি আজ সশস্ত্র বাহিনীর কিছু লোক তাদের হস্তক্ষেপের মাধ্যমে এটি শেষ করতে চায় তবে আমার আর কি ই বা করার আছে? কারো প্রতি আমার বিদ্বেষ নেই, দেশের প্রতি আমার ভালোবাসা আমাকে বিদ্বেষ করতে শেখায়নি। ঈশ্বর সবাইকে রক্ষা করুণ। আমি নিজেকে ক্ষমতায় বহাল রাখতে কোনো রক্তপাত চাই না। তাই পদত্যাগ করলাম’।
মালির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বুবাকারা কেইটা ২০১৮ সালে দ্বিতীয়বারের মত মালির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হোন। তবে দেশটিতে দুর্নীতি ও অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার অভিযোগে গত কয়েক মাস ধরেই ব্যাপক বিক্ষোভ চলছে। এর মধ্যেই মঙ্গলবার একদল সেনা বিদ্রোহ করল।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেই খবরে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিদ্রোহী সেনারা কাটি এলাকায় একটি সেনাঘাঁটি থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করে এবং সেখান থেকে মালির সিনিয়র সেনা ও সরকারি কর্মকর্তা এবং উচ্চ পদস্থ রাজনীতিবিদদের আটক করা শুরু করে।
এ বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিচ্ছেন কর্নেল মালিক দিয়াও। সেনাবাহিনীর এই কর্মকর্তা কাটি সেনাঘাঁটির দায়িত্বে ছিলেন। এ বিদ্রোহের আরেক নেতা জেনারেল কামারা। কাটি ক্যাম্পের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর বিদ্রোহী সেনারা রাজধানী বামাকোর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়।
এ বিদ্রোহের নিন্দা জানিয়েছে আঞ্চলিক গোষ্ঠী ইকোয়াস, আফ্রিকান ইউনিয়ন ও ফ্রান্স। উল্লেখ্য, ফ্রান্সের সাবেক উপনিবেশ মালিতে এখনও দেশটির রাজনৈতিক কর্তৃত্ব রয়েছে। ফ্রান্স বিদ্রোহী সেনাদের ব্যারাকে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।