Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘২১ আগস্ট শেখ হাসিনা মারা গেলে বাংলাদেশ হতো কান্ট্রি অব ডেথ’


২২ আগস্ট ২০২০ ১১:২৮

ঢাকা: প্রখ্যাত সাংবাদিক, সাহিত্যিক, অমর একুশের গানের রচয়িতা আবদুল গাফফার চৌধুরী বলেছেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় সেদিন শেখ হাসিনা মারা যাননি, এটি বাংলাদেশের জন্য সৌভাগ্য। যদি মারা যেতেন তাহলে বাংলাদেশ এখন একটি তালেবানিস্তান, আফগানিস্তান, ইরাকে পরিণত হতো। এটা একটা মৃত্যুর দেশ হতো, কান্ট্রি অফ ডেথ। রক্তাক্ত পরিস্থিতি চলত এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার নামে মার্কিন সৈন্যরা এসে তারা যেমন ঘাঁটি গেড়েছে আফগানিস্তানে ইরাকে এরকম এসে ঘাঁটি গাড়ত এবং মার্কিনরা ঘাঁটি গাড়লে সেখানে রাশিয়া-চীন তারাও নিষ্ক্রিয় থাকত না। বাংলাদেশ একটা আন্তর্জাতিক চক্রান্তের রণক্ষেত্রে পরিণত হত।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (২১ শে আগস্ট) বিএনপি-জামাতের হত্যা ষড়যন্ত্র: ২১ আগস্টের মদদদাতা ও খুনিদের বিচার দাবিতে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভা তিনি এ সব কথা বলেন। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১০টায় ডিজিটাল প্লার্টফর্মে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

গাফফার চৌধুরী বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা সেদিন দৈবক্রমে বেঁচে গিয়েছিলেন। তার শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দীর্ঘদিন চিকিৎসা করতে হয়েছে। এখনও তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ হননি। এ অবস্থায় ২১ আগস্ট আমাদের জাতীয় জীবনে ১৫ আগস্টের পরে আরেকটি বিরাট কলঙ্কের ছাপ এঁকেছে। এসময় বিএনপি-জামায়াতরা ক্ষমতায় ছিলেন। এই ২১ আগস্ট কোনো নতুন ষড়যন্ত্র নয়। এটা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ৩রা নভেম্বর হত্যাকাণ্ডের ধারাবাহিকতায় এই ২১ আগস্ট; এটি আমাদের বুঝতে হবে। ১৫ আগস্ট যে জন্য নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড হয়েছিল, একই কারণে ২১ আগস্ট হত্যাকাণ্ড হয়েছে। সেদিনও উদ্দেশ্য ছিল বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়ে, তার পরিবারকে ধ্বংস করে দিয়ে, আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের বিশিষ্ঠ নেতাদের হত্যা করে বাংলার স্বাধীনতার লক্ষ্যটাকে নষ্ট করে দেওয়া, এর ভিত্তিটাকে নষ্ট করে দেওয়া।’

‘৭৫ এ ষড়যন্ত্রের পেছনে পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দারা ছিলেন, আমেরকিার ষড়যন্ত্র ছিল এবং আরও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সামরিক সহচর, বেসামরিক সহচর, আওয়ামী লীগের একটি অংশ খন্দকার মোশতাকের নেতৃত্বে এই ষড়যন্ত্রে ছিল। এই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় ২১ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ করা যায়নি। এই লন্ডনে গুটি কয়েক ব্যক্তি, আমরা প্রথমে এই সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করি। এই আন্দোলনে একজন প্রাণপুরুষ ছিলেন আমার বন্ধু সুলতান মাহমুদ শরীফ। তার ভাঙা গাড়িটা নিয়ে আমরা ইংল্যান্ডের সমস্ত শহর ঘুরেছি এই সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন তৈরি করার জন্য এবং জিয়াউর রহমান যে লন্ডনে এসেছিলেন তখনও তাকে রাসেল স্কয়ারের এক সভায় এই আওয়ামী লীগের জঙ্গি কর্মীরাই জুতা মেরেছিলেন।’

বিজ্ঞাপন

‘মনে হয়েছিল আওয়ামী লীগকে বুঝি ধ্বংস করা হয়েছে; বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর নাম, স্বাধীনতার নাম, স্বাধীনতার চার নীতির নাম বলার কার কোনো ….আওয়ামী লীগেও নেতৃত্ব নিয়ে দেখা দিয়েছিল অন্তঃদ্বন্দ্ব। জিয়াউর রহমানের দরখাস্তের রাজনীতি শুরু করার পর প্রথমে ন্যাপ গিয়ে দরখাস্ত করে অনুমোদিত হয়। তারপর আস্তে আস্তে সবাই গেছে। বাকশাল তখন ভেঙে গেছে।’

৭৫ পরবর্তী আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্যে জোহরা তাজউদ্দীনের ভূমিকার কথা তুলে ধরে বলেন, ‘তিনি দলের ভিতরে নেতৃত্বের যে দ্বন্দ্ব; তার সামাল দিতে পারেননি। তিনি ভালো নেতৃতই দিয়েছেন, কিন্তু দলের অন্তঃদ্বন্দ্ব মেটাতে পারেননি। মনে হয়েছিল, আওয়ামী লীগ শক্ত হয়ে দাঁড়াবে না। এই সময়ে শেখ হাসিনার আবির্ভাব; বলতে গেলে এটা আমাদের রাজনীতিতে একটা মহা আশীর্বাদ।’

তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা ভয় না পেয়ে, সংসারের কথা না ভেবে, ছেলেমেয়ের কথা না ভেবে, নির্ভয়ে এসে নেতৃত্বদানের জন্য এসেছিলেন। শেখ হাসিনা আসায় আওয়ামী লীগ রক্ষা পায়। আওয়ামী লীগের ঐক্য আবার রক্ষা পায়। তাতে ঘাতকের দল ভয় পায়। শেখ হাসিনাকে কী করে ধ্বংস করা যায় সে জন্য শুরু হয় প্রসাদ ষড়যন্ত্র এবং নানা ধরনের শয়তানি। ২১ আগস্টের জনসভায় দিবালোকে হয়েছে, তখন বিএনপি এবং জামায়াত ক্ষমতায় আছে। তারা আবারও গোয়েন্দা চক্র, সামরিক চক্রের কিছু লোকের সহায়তা নিয়ে এই ঘটনা ঘটায়। এর পেছনে যে খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান ছিল, জামায়াতের মোস্তাফিজুর রহমান ছিল, হারিস আলী বলে (চৌধুরী) খালেদা জিয়ার এক উপদেষ্টা ছিল তার তো প্রমাণ পাওয়া গেছে, মামলাও চলছে।

গাফফার চৌধুরী আরও বলেন, ‘এ কারণে তারেক রহমান দেশে যেতে ভয় পায়। অন্যান্য কারণ ছাড়াও এটাও কারণ। কারণ সে জানে শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টার অপরাধে তাকে যে সাজা দেওয়া হবে তা থেকে তিনি রেহাই পাবেন না।’

এক/এগারো ষড়যন্ত্রের প্রধান হোতা ড. কামাল হোসেন: প্রবীণ এই সাংবাদিক বলেন, এক/এগারোর সময় একটা ষড়যন্ত্র হয়। এই ষড়যন্ত্রের পিছনে আমার ধারণা একজন প্রধান হোতা ড. কামাল হোসেন। আওয়ামী লীগে খন্দকার মোশতাক যে ষড়যন্ত্র করেছিলেন তার চেয়েও ভয়াবহ ষড়যন্ত্র করেছে ড. কামাল হোসেন। মোশতাক ধরা পড়েছেন, কামাল হোসেন দীর্ঘকাল ধরা পড়েননি। তিনি বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকেই বঙ্গবন্ধুকে ধ্বংস করার চেষ্টা করলেন। যখন বাকশাল হলো তিনি অক্সফোর্ডে গেলেন। তিনি মন্ত্রীপদে শপথ নেননি। দীর্ঘকাল পরে যখন দেখলেন বাকশাল গুছিয়ে উঠেছে; বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রপ্রধান হয়েছে, তিনি সেই সময় গিয়ে আবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে শপথ নেন এবং মোশতাকের যে গ্রুপ ছিল সেই গ্রুপটিকেই তিনি আবার …। শেষ পর্যন্ত ড. কামালের চেহারা বেরিয়ে এসেছে। এখন তিনি খালেদা জিয়ার তথাকথিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বা বিএনপির জাতীয় ফ্রন্টের নেতা, তাকে তারা ব্যবহার করে। এই যে দলের ভিতরে, দলের বাইরে ষড়যন্ত্র এটা অত্যন্ত সফলভাবে প্রতিহত করেছেন শেখ হাসিনা। এ জন্য আমি তাকে আমার বয়সে অনেক ছোট; আমি তাকে স্নেহ করি, আবার শ্রদ্ধাও করি। বঙ্গবন্ধু যে ষড়যন্ত্রে শহীদ হয়েছেন তার পত্মী, পুত্র, ভাগ্নে, ভগ্নিপতিসহ সেই ষড়যন্ত্র যখন আরও ডালপালা বেড়ে ২১ আগস্ট ২০০৪ সালে শেখ হাসিনার ওপর আঘাত হানে সেই আঘাত শেখ হাসিনা এই দুটি কারণে ব্যর্থ করতে সফল হন।’

‘একটি কারণ, ঐশ্বরিক। আমি বলব, তাকে আল্লাহ রক্ষা করেছে। তা না হলে সেদিন বৃষ্টির মতো গ্রেনেড ছোড়া হয়েছে। তার দেহরক্ষী মারা গেছেন। অনেকে মারা গেছে। এটি চট্টগ্রামেও দেখা গেছে। এরশাদের বাহিনী যখন তাকে নির্দিষ্ট করে গুলি করে তখন চারদিক থেকে কর্মীরা তাকে ঘিরে রেখেছিল এবং ২১ শে আগস্টও দেখা গেছে, শেখ হাসিনাকে দলের নেতাকর্মীরা ঘিরে রেখেছিল।’

শেখ হাসিনাকে সরিয়ে দিতে ত্রি-ষড়যন্ত্র তত্ত্ব: গাফফার চৌধুরী বলেন, একটা ষড়যন্ত্র হয়েছিল ১৯৮৬ সালে। তখন এরশাদের পাতানো খেলায় আওয়ামী লীগ নির্বাচনে হেরে যায়। এই নির্বাচনে যোগ দেওয়ার জন্য শেখ হাসিনাকে বাধ্য করেছিল ড. কামাল হোসেন। নির্বাচনে পরাজয়ের পর তিনিও পরাজিত হন। শুধু তাই নয় এই পরাজয়ের দায়িত্ব শেখ হাসিনার ওপর চাপিয়ে তিনি আওয়ামী লীগের সকল সদস্যের কাছে একটা প্রচারপত্র পাঠান যে শেখ হাসিনাকে সভাপতির পদ থেকে অপসারণ হতে হবে। আরও একটি মজার ঘটনা ড. মোশাররফ হোসেন তিনি মারা গেছেন, তিনি শেখ হাসিনার শিক্ষক ছিলেন। কামাল হোসেনের বন্ধু ছিলেন। এটা আমার নির্ভরযোগ্য সূত্রে শোনা। তিনি একদিন গিয়ে শেখ হাসিনাকে বলেছেন, মা তোমার তো বয়স আছে, পরে প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে। এইবার তুমি কামালকে প্রধানমন্ত্রীকে হওয়ার সুযোগ দাও। কিন্তু পার্টির কর্মীরা, নেতারা; এমনকি বেগম সুফিয়া কামাল এর বিরোধিতা করেন। ফলে নির্বাচনে জেতার পর শেখ হাসিনাই দলীয় নেত্রী হয়েছেন এবং ড. কামাল হোসেন সরে গিয়ে গণফোরাম নামে এক দল গঠন করেন। তিনি আশা করেছিলেন, আওয়ামী লীগের ডানপন্থি নেতারা আছেন, তারা সম্ভবত তার সঙ্গে যাবেন। কিন্তু কেউ’ই যায়নি। আওয়ামী লীগের কাউকে নিতে না পেরে তিনি ওই ভাঙা কমিউনিস্ট পার্টির কিছু সদস্য নিয়ে দল গঠন করেন, তারাও তার সঙ্গে এখন নেই, এই একটি ষড়যন্ত্র।

দ্বিতীয় ষড়যন্ত্র; এক /এগারোর সময়। এর পিছনেও কামাল হোসেনের মাইনাস টু থিউরি কাজ করেছে। মাইনাস টু থিউরির উদ্যোক্তা কামাল হোসেন। মিলিটারি, আধা মিলিটারি একটা সরকার সামনে এলে আওয়ামী লীগকে প্রথম মনে হয়েছিল সামরিক সরকার বুঝি নিরপেক্ষ? তারা বিএনপি-জামায়াতে অপশাসনে অস্থির হয়ে তাদেরকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা পালন করেনি। এ জন্য তারা বাহানা করে দেখালো আমরা দুজনকেই গ্রেফতার করেছিল। খালেদা জিয়ার পিছনে তাদের কোন আক্রোশ নেই। আক্রোশটা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। তিনি চিকিৎসার জন্য ভারতে গেছেন, তাকে পলাতক আসামি ডিক্লেয়ার করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে অকারেণ। এমনকি তিনি দেশে ফেরার জন্য যখন ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের টিকিট কেনেন, সেই টিকিট বাতিল করার জন্য ওই করপোরেশনকে বাধ্য করেন। এটা ছিল তাকে ক্ষমতায় না আসতে দেয়ার জন্য দ্বিতীয় ষড়যন্ত্র।

তৃতীয় ষড়যন্ত্র; ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা। তাকে নেতৃত্ব থেকে সরাতে না পেরে শারীরিকভাবে অপসারণের জন্য এ ২১ আগস্ট। এর পেছনে যে বিদেশি হাত ছিল না, তাও না। এর একটি তদন্ত হওয়া উচিত। যেটা কেউ কেউ এখন প্রস্তাব করেছে, ১৯৭৫ সালে যারা বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারে হত্যাযজ্ঞ ছিল তাদের সামনের কিছু লোককে বিচার করা হয়েছে, পেছনের লোকদের বিচারটা করা হয়নি। তাদেরকে ধরার জন্য একটা কমিশন করা হোক। আমার ধারণা ১৫ আগস্ট এবং ২১ আগস্ট একই সূত্রে বাঁধা এবং এই দুই হত্যাকাণ্ডের পিছনে যারা ছিল; খালি যারা সামনে এসে আক্রমণ চালিয়েছে, তাদেরকে ধরা হয়েছে, বিচারও হয়েছে, ফাঁসি হয়েছে কিন্তু যারা পিছনে বসে আরও বড় ষড়যন্ত্র করেছে এবং এখনও ষড়যন্ত্র করছে, তাদেরকে ধরার জন্য একটা কমিশন; যেমন দক্ষিণ আফ্রিকায় একটা ট্রুথ কমিশন হয়েছে এমন কমিশন আমি সমর্থন করি। তাতে যদি আমাদেরও এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়, আমাদেরও সরকারের উচিৎ হবে শাস্তি দেয়া। তাতে বাংলাদেশে যে বারবার ষড়যন্ত্র, আওয়ামী লীগের ভেতরে ষড়যন্ত্রকারী, বাইরের ষড়যন্ত্রকারীরা নির্মূল হবে। তা না হলে এই ষড়যন্ত্রকারীরা আজকে শেখ হাসিনা ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার পরও আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার জন্য আওয়ামী লীগের নেতৃত্বকে ধ্বংস করার জন্য চেষ্টা চালাবে।

নিজের দীর্ঘ বক্তৃতার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে তিনি বলেন, ‘আমার কথা, ২১ আগস্ট শুধু পালন করলেই চলবে না। ২১ আগস্টের ষড়যন্ত্রকারীদেরকে; যেখানেই থাকুক মূলোৎপাঠনের ব্যবস্থা করতে হবে। এ গণতন্ত্রে নাকি শেখ হাসিনা তৃতীয়বারের পর আর প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না এ কথা বলা অন্যায়। আমেরিকায় রুজভেল্টকে তৃতীয়বারের জন্য প্রেসিডেন্ট করার জন্য সংবিধান সংশোধন করে প্রেসিডেন্ট করা হয়েছিল। কারণ মানুষ তাকে চাচ্ছে। শেখ হাসিনাকেও মানুষ চায়। হয়ত তার দলের বিরুদ্ধে মানুষের অনেক অভিযোগ আছে। কিন্তু শেখ হাসিনা এলোন (একাকি), আজকে বাংলাদেশের সবচাইতে বড় ডিফেন্স। বাংলাদেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ; এইসব কিছুর বড় ডিফেন্স হিমালয়ের প্রাচীর হচ্ছে শেখ হাসিনা। তাকে কী করে আরও ক্ষমতায় রাখা যায়, ষড়যন্ত্রকারীদেরকে দমন করা যায়; এমনকি আওয়ামী লীগে যে হাইব্রিড; এদেরকে কী করে বের করে দেওয়া যায়, এই ব্যাপারে যদি একটা সার্বিক প্রচেষ্টা শুরু হয়। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগও যদি দাবি তোলে এবং বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের সঙ্গে একত্র হয়ে, ইউরোপীয়ান আওয়ামী লীগের সঙ্গে একত্র হয়ে কাজ করে আমার মনে হয় তাহলে সুফল পাওয়া যাবে।’

২১ আগস্ট শুধু শোক প্রকাশ করলেই হবে না। তার কাছ থেকে শক্তি ধারণ করে ষড়যন্ত্রকারীদেরকে প্রচণ্ড আঘাত দিতে হবে। যাতে তারা নির্মূল হয় বলেও উল্লেখ করেন আব্দুল গাফফার চৌধুরী।

যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রখ্যাত সাংবাদিক, সাহিত্যিক, অমর একুশের গানের রচয়িতা আবদুল গাফফার চৌধুরী, প্রধান আলোচক হিসাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হাসান আমু, প্রধান বক্তা হিসাবে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ, বিশেষ অতিথি হিসাবে আ. ফ. ম বাহাউদ্দীন নাছিম, ভূমিমন্ত্রী মো. সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। সভা পরিচালনা করেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক।

২১ আগস্ট আওয়ামী লীগ গ্রেনেড হামলা টপ নিউজ বিএনপি

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে তরুণের মৃত্যু
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২২:১০

উর্মিলার সংসার ভেঙে যাওয়ার কারণ
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:০২

নতুন পরিচয়ে কুসুম সিকদার
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:৫৭

সম্পর্কিত খবর