কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে মৌলভীবাজারের খাসিয়া সম্প্রদায় করোনামুক্ত
২২ আগস্ট ২০২০ ১৪:১৫
মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারের খাসিয়া সম্প্রদায়ের একজনও করোনায় আক্রান্ত হয়নি। করোনা সংক্রমণ এড়াতে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন তারা। প্রয়োজন ছাড়া এলাকার বাইরে কেউ যায় না। বাইরের কোন ব্যক্তি এলাকায় আসলেও তাকে বাধ্যতামূলক ১৪ দিন কোয়ারেনটাইনে রাখা হয়। এ ছাড়া মাস্ক পরা, বারবার হাত ধোয়ার মতো নিয়মগুলোও অনুসরণ করার কারণে এখনও এই সম্প্রদায়ের কোন ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হননি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
মার্চে দেশে করোনা রোগী শনাক্তের পর নিজেদের উদ্যোগে লকডাউন শুরু করে মৌলভীবাজারের সকল খাসিয়া পল্লীর মানুষ। এ সময় পুঞ্জিতে জনপ্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়া হয়। জোর দেয়া হয় স্বাস্থবিধির ওপর। খুব জরুরী প্রয়োজন ছাড়া পুঞ্জির বাইরে কেউ বের হন না। কেনাকাটা, হাট-বাজারের জন্য রাখা হয়েছে নির্ধারিত লোক। শুধু তাই নয়, খাসিয়া পল্লীর প্রতিটি প্রবেশ পথে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা ও নির্ধারিত স্থানে ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে বাগানে উৎপাদিত পান। স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী নির্ধারিত দুরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করাসহ নেয়া হয়েছে বিভিন্ন পদক্ষেপ। নিজস্ব কৌশল ও কড়া নির্দেশনায় মিলেছে সুফল।
বৃহত্তর সিলেট আদিবাসী ফোরামের সদস্য সচিব ফিলা পতমী বলেন, লকডাউনের আগে কেউ যদি এলাকার বাইরে থেকে আসে তাহলে আমরা তাকে দশদিন আলাদা একটা ঘরে রাখার ব্যবস্থা করেছি। এ কারণেই এখন পর্যন্ত আমাদের খাসিয়া পল্লীতে করোনায় কেউ সংক্রমিত হয়নি।
মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান সারাবাংলাকে বলেন, খাসিয়া পল্লীতে করোনা সংক্রমণের হার একেবারে শূন্য। আমরা যদি তাদের এসব নিয়মকানুন অনুসরণ করি তাহলে সুফল ভোগ করবো বলে আমি মনে করি।
মৌলভীবাজার ৬৫টি খাসিয়া পুঞ্জিতে প্রায় ২৫ হাজার মানুষের বসবাস। মূলত পান চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করেন তারা।