নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ২০২০ এর মেইল ইন ভোট যথাসময়ে পৌঁছে দেওয়ার সক্ষমতা, প্রস্তুতি ও প্রতিশ্রুতি ইউএস পোস্টাল সার্ভিসের (ইউএসপিএস) রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান লুইস ডে জয়। খবর রয়টার্স।
শুক্রবার (২১ আগস্ট) মার্কিন সিনেটের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি কমিটির সামনে এক শুনানিতে ইউএসপিএস প্রধান এসব তথ্য জানিয়েছেন।
শুনানিতে পোস্টমাস্টার জেনারেল ডি জয় বলেন, সরাসরি ভোটদানের বিষয়টি সবসময় অগ্রাধিকার পাবে। এবং মেইল ইন ভোট যথাসময়ে গণনার জন্য পৌঁছে দেওয়া হবে।
এর আগে, ব্যয় সংকোচন নীতির কারণে আসন্ন নির্বাচনের মেইল ভোট সময়মতো পৌঁছানোর ব্যাপারে অনিশ্চয়তার কথা উল্লেখ করে ৪৬ অঙ্গরাজ্য ও ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়াকে সতর্ক করেছিল ইউএসপিএস।
এদিকে, ইউএস পোস্টাল সার্ভিস নতুন করে বেশ কিছু ব্যয় সংকোচন নীতি গ্রহণ করেছে। তাদের ওই নীতি আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মেইল ইন ভোটিং কার্যক্রমে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলেও ওই কর্মকর্তা দাবি করেছেন।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি অপরিবর্তীত থাকলে ৩ নভেম্বরের নির্বাচনে নিবন্ধিত ভোটারদের মধ্যে মেইল ইন ভোট দিতে ইচ্ছুক ভোটারের সংখ্যা বেড়ে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে বলে মনে করেছেন পর্যবেক্ষকরা।
এছাড়াও, মেইল ইন ভোটের সুবিধা নিশ্চিত করতে ডেমোক্রেট পার্টিসহ বিভিন্ন গোষ্ঠী ও পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠানগুলো প্রশাসনের ওপর অবিরাম চাপ তৈরি করেছে।
তবে, আর্থিকভাবে ধুঁকতে থাকা ইউএসপিএস’কে মেইল ভোট কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল দেওয়ার ব্যাপারে অনীহা দেখিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বিবিসি জানাচ্ছে, রিপাবলিকান দলের শীর্ষ দাতাদের একজন লুইস ডে জয়। ট্রাম্প প্রশাসনের সাবেক এই লজিস্টিক এক্সিকিউটিভ চলতি বছরের মে মাসে ইউএসপিএস’র প্রধানের দায়িত্ব পান।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে পুরাতন এবং বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি এই পোস্টাল সার্ভিস। সম্প্রতি তাদের চিঠিপত্র বিতরণে অনিয়ম ও বিলম্বের অভিযোগ উঠছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে, কর্মীদের ওভারটাইম ও ডেলিভারি টিপস বাতিলসহ ডেলিভারি সরঞ্জামের অপ্রতুলতাকে দায়ী করেছে ইউএসপিএস।