Thursday 05 Dec 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘রানিং মেট’ কে এই জেডি ভান্স

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
৫ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:৫০ | আপডেট: ৫ নভেম্বর ২০২৪ ১১:১৮

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের রানিং মেট জেডি ভান্স। ছবি: অনলাইন

  • ‘একেবারেই ট্রাম্পের সমর্থক নই। আমি ওকে কখনোই পছন্দ করিনি।’
  • ‘আমার তাকে নিন্দনীয় বলে মনে হয়।’
  • ‘ওহ গড, একজন ইডিয়ট!’

ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্পর্কে ২০১৬ সালে টুইটারে (বর্তমানে এক্স হ্যান্ডেল) ও বিভিন্ন সাক্ষাৎকারের এমনই মন্তব্য করেছিলেন জেডি ভান্স। ওই সময় স্মৃতিকথা ‘হিলিবিলি এলিজি’ বই দিয়ে মাত্র বিখ্যাত হয়ে উঠেছেন তিনি। সে বছরই ফেসবুকে তার ল স্কুলের রুমমেট ও বন্ধু জন ম্যাক্লরিনের (বর্তমানে জর্জিয়ার একজন স্টেট সিনেটর) সঙ্গে কথোপকথনের সময় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘আমেরিকান হিটলার’ বলেও মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছিল তাকে।

বিজ্ঞাপন

সময় বদলেছে। এখন ৪০ বছর বয়সী ভান্স প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী সেই ডোনাল্ড ট্রাম্পেরই ‘রানিং মেট’ হিসেবে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদের জন্য ভোটের ময়দানে লড়ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইয়োর এই সিনেটরের এমন পরিবর্তন অনেককেই অবাক করেছে। ডেমোক্র্যাট পার্টির জন ম্যাক্লরিনের কথায়, ‘(জেডি ভান্সের) টেক্সট বার্তায় লেখা ওই শব্দ থেকে আজ ট্রাম্পের সবচেয়ে বড় সমর্থক হয়ে ওঠার বিষয়টা কল্পনাতীত।’

বিবিসির খবরে বলা হয়, জেডি ভান্সের নির্ভরযোগ্য রক্ষণশীল ভোটিং রেকর্ড, যুবসম্প্রদায় ও মধ্য-পশ্চিমা শেকড় ব্যালট বাক্সে রিপাবলিকানদের পক্ষে সমর্থন বাড়িয়ে তুলবে বলেই অনেকে আশা করছেন। ২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থীদের দৌড়ে তিনি প্রথম দিকে থাকবেন বলেও আগাম অনুমান করা হচ্ছে।

এককালে ট্রাম্পের ‘কড়া সমালোচক’ হিসাবে পরিচিত ভান্স প্রচারের সময় রিপাবলিকান প্রার্থী হিসাবে নিজেকে এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছেন। প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছেন বিরোধীদের ‘আক্রমণাত্মক’ সমালোচক হিসাবেও। ঐতিহ্যগতভাবে একজন ‘রানিং মেট’-এর ভূমিকা তিনি পালন করছেন। যদিও ট্রাম্পের নিজস্ব বক্তৃতার ধরনের নিরিখে সেটাকে কখনো কখনো ‘কম গুরুত্বপূর্ণ’ বলে মনে হতে পারে।

তবে প্রচারে সক্রিয় ভূমিকায় দেখা গেছে ভান্সকে। নিয়মিত টেলিভিশন শোতে অংশগ্রহণ করেছেন, বিতর্ক অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছে তাকে। নির্বাচনি সমাবেশেও সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন যা অনেকাংশেই কমলা হ্যারিসের প্রচার ও তার সতর্কভাবে পরিকল্পিত মিডিয়া কৌশলের বিপরীত।

তবে অভিবাসীদের প্রতি ভান্সের কট্টরপন্থি দৃষ্টিভঙ্গি বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করার পর থেকেই তিনি ওহাইয়োর স্প্রিংফিল্ডে হাইতিয়ান অভিবাসীরা পোষা কুকুর-বেড়াল খেয়ে ফেলছে বলে যে গুজব রটেছিল, তার সমর্থনে বারবার মন্তব্য করেছেন।

বিজ্ঞাপন

ভান্সের পুরনো সাক্ষাৎকারের বিভিন্ন মন্তব্যও আরও একবার সামনে এসেছে যেখানে তিনি গর্ভপাতের ওপর দেশব্যাপী নিষেধাজ্ঞাকে সমর্থন বা যুক্তরাজ্যকে ‘ইসলামপন্থি দেশ’ বলে অভিহিত করেছিলেন। ওই তালিকায় তার তিন বছর আগের ‘সন্তানহীন ক্যাট লেডি’ সম্পর্কিত বিতর্কিত মন্তব্যও রয়েছে, যেখানে তিনি কমলার প্রসঙ্গও টেনে এনেছিলেন। সে মন্তব্য নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। শেষ পর্যন্ত এ বিষয়ে সাফাইও দিতে হয়েছে তাকে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জেডি ভান্স। ছবি: অনলাইন

জনমত জরিপ বলছে, এই বিতর্কই জেডি ভান্সকে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে কম জনপ্রিয় ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীদের একজন করে তুলেছে। অর্থনীতি সম্পর্কে তার জনতুষ্টিমূলক বার্তাও ভোটারদের বিভ্রান্ত করেছে বলে মনে করা হয়। এটা কিন্তু এমন একটা ইস্যু যাকে ট্রাম্পের শিবির শক্তি হিসাবে দেখে এসেছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের কড়া সমালোচক থেকে তার রানিং মেট হয়ে ওঠার জেডি ভান্সের এই সফর বেশ আকর্ষণীয়। জেডি ভান্সের সেই সফরের উল্লেখযোগ্য কিছু অংশ তুলে ধরা হচ্ছে।

ব্যক্তিগত জীবন

ভান্সের জন্ম ওহাইয়োর মিডলটাউনে। তার নাম ছিল জেমস ডোনাল্ড বোম্যান। তার ছেলেবেলার অভিজ্ঞতা খুব একটা সুখকর ছিল না। তার বাবা যে সময় বাড়ি ছাড়েন, তখন জেডি ভান্সের বয়স খুবই কম, মা লড়াই করছিলেন মাদকাসক্তির সঙ্গে। পরিস্থিতির কারণে প্রায়ই দাদা-দাদির বাড়িতে আশ্রয় নিতে হতো তাকে। পরে জেডি ভান্সকে তার দাদা-দাদি দত্তক নিয়ে নেন। বর্তমানে তাদের পদবিটাই ব্যবহার করেন ভান্স।

ভান্সের ছাত্রজীবন ও কর্মজীবন বেশ উল্লেখযোগ্য। মিডলটন হাইস্কুল থেকে পাস করার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মেরিন কর্পসে যোগ দেন। পরে ইরাকে মোতায়েন করা হয় তাকে। এরপর ওহাইয়ো স্টেট ইউনিভার্সিটি ও ইয়েল ল স্কুল থেকে পড়ালেখা করেন।

ক্যালিফোর্নিয়ায় বিনিয়োগকারী হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। জেডি ভান্সের বেড়ে ওঠা এবং তার ব্যক্তিত্ব শ্রমজীবী ভোটারদের আকৃষ্ট করতে পারে ভেবেই তাকে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদের জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্প মনোনীত করেছেন বলে মনে করা হয়।

ভান্সের ভারতীয় যোগ

ভান্সের ভারতীয় যোগসূত্রও রয়েছে। তার স্ত্রী ঊষা চিলুকুরি ভারতীয় বংশোদ্ভূত। ২০১৩ সালে ইয়েল ইউনিভার্সিটিতে পড়াকালীন তাদের পরিচয় হয়। নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইয়েল ল স্কুলে পড়ার সময় ‘শ্বেতাঙ্গ-অধ্যুষিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সামাজিক অবক্ষয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রথম দেখা হয় তাদের।

২০১৪ সালে বিয়ে করেন এই যুগল। তারপর অনেকটা পথ একসঙ্গে পেরিয়ে এসেছেন তারা। বর্তমানে এই দম্পতির সন্তান তিনটি— ইভান, বিবেক ও মিরাবেল।

লেখক হিসাবে খ্যাতি

‘হিলবিলি এলিজি’ নামক স্মৃতিকথার সাফল্য ভান্সকে জনপ্রিয় করে তোলে। সর্বাধিক বিক্রি হওয়া বইয়ের তালিকায় রয়েছে তার লেখা ‘হিলিবিলি এলেজি’, যার অবলম্বনে ছায়াছবিও তৈরি হয়েছে।

ভান্সের লেখনিতে উঠে এসেছে অ্যাপেলেচিয়া অঞ্চলের কথা, যেখানে তার বর্ধিত পরিবারের সদস্যরা থাকতেন। এই বিশাল পার্বত্য অঞ্চল যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলের বিরাণ এলাকা থেকে শিল্পন্নোত মধ্য-অঞ্চল এবং উত্তর-পূর্বের প্রান্ত পর্যন্ত প্রসারিত। এই অংশে দেশের কয়েকটা দরিদ্রতম এলাকাও রয়েছে।

‘হিলবিলি এলেজি’তে ভান্সের বেড়ে ওঠা, তার চারপাশের পরিস্থিতি, বন্ধু ও পরিজনদের ভুল সিদ্ধান্ত আর অন্যান্য সমস্যা মোকাবিলা করার অভিজ্ঞতার কথা ফুটে উঠেছে। রক্ষণশীল দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই তিনি বর্ণনা করেছেন কীভাবে তার পরিচিত মানুষেরা পরিশ্রম করার বদলে সরকারি অনুদানের ওপর নির্ভর করতেন।

এই বইয়ের সাফল্য তাকে লেখক হিসেবে বিখ্যাত করে তোলার পাশাপাশি ভাষ্যকার হিসেবেও পরিচিতি দিয়েছিল। বিভিন্ন নামকরা অনুষ্ঠানে ভাষ্যকার হিসাবে তাকে আমন্ত্রণ জানানো হতো, যেখানে তিনি মূলত শ্বেতাঙ্গ শ্রমজীবী ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্যের বিষয়ে কথা বলতেন। ওই সময়, তৎকালীন রিপাবলিকান পার্টির মনোনীত প্রার্থী ট্রাম্পের সমালোচনা করার সুযোগ খুব কমই হাতছাড়া করতেন তিনি।

২০১৬ সালের অক্টোবরে এক সাক্ষাৎকারে ভান্স বলেন, ‘আমি মনে করি এই নির্বাচন সত্যিই নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে, বিশেষত শ্বেতাঙ্গ শ্রমিক শ্রেণির ওপর। এটা (তৎকালীন নির্বাচন) মানুষকে অন্যদের দিকে আঙুল তোলার অজুহাত দিচ্ছে, তা সে মেক্সিকান অভিবাসী হোক, চীনা বাণিজ্য বা অভিজাত ডেমোক্র্যাট হোক বা অন্যরা।’

ভেঞ্চার ক্যাপিটাল থেকে রাজনীতি

২০১৭ সালে ওহাইয়োতে ফিরে আর্থিক বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানে কাজ শুরু করেন জেডি ভান্স। রাজনীতিতে তার প্রবেশকে কেন্দ্র করে অনেকদিন থেকেই গুঞ্জন চলছিল। এই গুঞ্জন বাস্তবে পরিণত হয় ২০২২ সালে, যখন ওহাইয়োর রিপাবলিকান সেনেটর রব পোর্টম্যান পুনর্নির্বাচনের জন্য প্রার্থী না হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

প্রথম দিকে ভান্সের রাজনৈতিক প্রচার বেশ ধীর গতিতে চলছিল। তার সাবেক বস পিটার থিয়েল তাকে এক কোটি ডলার দিয়ে সাহায্য করলে নির্বাচনি প্রচারে গতি আসে। ক্রমে ভান্সের আলোচনার ফোকাস অন্যত্র স্থানান্তরিত হতে থাকে।

‘হিলিবিলি এলেজি’তে যাদের ব্যর্থতার বিষয়ে লিখেছিলেন, তাদের নিয়ে কথা বলার জন্য ক্রমশ কম সময় ব্যয় করতে থাকেন তিনি। পরিবর্তে ডেমোক্র্যাট ও অভিজাতদের সম্পর্কে বলার জন্য বেশি সময় ব্যয় করতে দেখা যায় তাকে। সেই সময় তার একাধিক বিতর্কিত মন্তব্যের ক্লিপিং আবার সামনে এসেছে।

নির্বাচনি মঞ্চে জেডি ভান্স। ছবি: অনলাইন

তার রাজনৈতিক ময়দানে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি তার অতীতের সমালোচনা। কারণ ওহাইয়োতে রিপাবলিকানদের সমর্থকের সংখ্যা বেশ উল্লেখযোগ্য।

ওয়াশিংটন পোস্টের কাছে থাকা টেক্সট বার্তা অনুযায়ী, ২০২০ সালের শেষের দিক পর্যন্ত ট্রাম্পের বিষয়ে সংশয় ছিল ভান্সের। চার বছর আগে তিনি লিখেছিলেন যে প্রেসিডেন্ট ‘তার অর্থনৈতিক জনপ্রিয়তা (একটা বিচ্ছিন্ন চীন সম্পর্কিত নীতি ছাড়া) বাস্তবায়িত করতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন’ এবং ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদ হারাবেন।

তবে সিনেটের জন্য প্রচারের সময় তার আগের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন ভান্স। এইভাবে তিনি ট্রাম্পের ও ক্রমশ রিপাবলিকানদের সমর্থন পেতে সক্ষম হন যা তাকে সিনেটে যেতে সাহায্য করে।

একইসঙ্গে তিনি ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ রাজনীতির একজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হয়ে ওঠেন এবং প্রায় সম্পূর্ণভাবেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতির সঙ্গে তাকে সহমত পোষণ করতেও দেখা যায়। ফলে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর হিসেবে বিবেচিত এই পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার প্রতিযোগিতায় সামিল হয়েছেন জেডি ভান্স।

গাজা-ইউক্রেনসহ অন্যন্য ইস্যুতে ভান্সের অবস্থান

সিনেটে নির্ভরযোগ্য কনজারভেটিভ (রক্ষণশীল) ভোটার হিসেবে পরিচিত ভান্স। জনপ্রিয় অর্থনৈতিক নীতিকে সমর্থন করতে দেখা যায়। ইউক্রেনকে সহায়তার ক্ষেত্রে সংশয় প্রকাশ করেছেন। ডেমোক্র্যাটিক নেতৃত্বাধীন চেম্বারে সংক্ষিপ্ত মেয়াদের কারণে তার অনুমোদন করা বিল খুব কমই এগিয়ে গেছে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নীতি পরিবর্তনের বদলে ‘বার্তা পাঠানোই’ এই বিলগুলো উপস্থাপনের পিছনে উদ্দেশ্য ছিল বলে মনে করা হয়।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে, গাজায় চলমান যুদ্ধের বিরুদ্ধে শিবির তৈরি হয়েছে বা প্রতিবাদ দেখানো হয়েছে— এমন কলেজ ও অনিবন্ধিত অভিবাসীদের নিয়োগকারী কলেজের জন্য ফেডারেল তহবিল থেকে যাওয়া টাকা আটকে দেওয়ার জন্য বিল উপস্থাপন করেছিলেন।

গত মার্চ মাসে এমন এক আইনের অনুমোদন করেছিলেন তিনি যেখানে বলা হয়েছিল, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আইন অনুসরণ না করলে চীন সরকারকে মার্কিন মূলধন বাজার থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেবে।

গত জুলাইয়ে ন্যাশনাল কনজারভেটিজম কনফারেন্সে এক বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘আমেরিকান গণতন্ত্রের জন্য আসল হুমকি হলো আমেরিকান ভোটাররা অভিবাসন কমানোর পক্ষে ভোট দিচ্ছে এবং আমাদের রাজনীতিবিদরা আমাদের আরও সংখ্যক অভিবাসীদের নিয়ে এসে আমাদের পুরস্কৃত করে চলেছেন।’

তিনি বলেছিলেন, ‘আমেরিকান ড্রিম’ ধারণার মূল কথাই হলো— ‘যে দেশকে আপনি নিজের বাড়ি বলে চেনেন, সেখানে আপনি নিজের ও আপনার পরিবারের জন্য একটা ভালো জীবন গড়ে তুলতে সক্ষম হবেন’ যা ‘বামপন্থিরা’ অবরুদ্ধ করে রেখেছে।

ইউক্রেন ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান সম্পর্কে তার অভিমত— ‘এ বিষয়ে কোনো দিশা বা উপসংহার নেই, যেদিকে আমরা যাচ্ছি বা ইতিমধ্যে অর্জন করেছি বলে দাবি করতে পারি।’

একই সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন, অভিবাসনের কারণে যুক্তরাজ্য ‘তেমন ভালো অবস্থায় নেই’ এবং দাবি করেছিলেন— লেবার পার্টির নেতৃত্বে ওই দেশ ‘প্রথম সত্যিকারের ইসলামপন্থি দেশ’ হয়ে উঠবে, যাদের হাতে পারমাণবিক বোমাও আছে।

তার মনোনয়নের পরপরই জুলাই মাসে মিলওয়াকিতে রিপাবলিকান ন্যাশনাল কনভেনশনে প্রবেশের সময় তিনি উচ্ছ্বসিত অভ্যর্থনা পেয়েছিলেন। তবে তারপর থেকে তার নাম খবরের শিরোনামে এসেছে মূলত বিতর্কের কারণেই।

সারাবাংলা/টিআর

জেডি ভান্স ডোনাল্ড ট্রাম্প ভাইস প্রেসিডেন্ট রানিং মেট রিপাবলিকান পার্টি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর