Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘ক্রাইসিস মোকাবিলায় শেখ হাসিনা’ই বিশ্বে শ্রেষ্ঠ সরকার প্রধান’


২২ আগস্ট ২০২০ ০১:২৭

ঢাকা: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেছেন, ক্রাইসিস মোকাবিলায়, সংকট মোকাবিলায় আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প বিশ্বে এখনও কোনো প্রধানমন্ত্রী, কোনো রাষ্ট্রনায়ক, কোনো সরকার প্রধান নেই। শেখ হাসিনা’ই শ্রেষ্ঠ সরকার প্রধান।

শুক্রবার (২১ শে আগস্ট) বিএনপি-জামাতের হত্যা ষড়যন্ত্র: ২১ শে আগস্টের মদদদাতা ও খুনিদের বিচার দাবিতে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভা তিনি এ সব কথা বলেন। রাত ১০.৩০ টায় (বাংলাদেশ সময়), বিকাল ৫.৩০ টায় (লন্ডন সময়) ডিজিটাল প্লার্টফর্মে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

বিজ্ঞাপন

বিএনপি জামায়াত জোট আমলের দুঃশাসনের কথা তুলে ধরে এস এম কামাল হোসেন বলেন, ‘মানুষ হত্যার বিচার হবে না, সেই আইন তারা সংসদে পাস করেছিল। সেই অন্ধকারের বিরুদ্ধে মানুষ যখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হলো তখন এই বিএনপি-জামায়াত আর তাদের আন্তর্জাতিক মোড়ল বন্ধুরা মনে করল শেখ হাসিনা বেঁচে থাকলে বাংলাদেশকে তাদের ভূমি বানানো যাবে না। শেখ হাসিনা বেঁচে বাংলাদেশকে তালেবানি রাষ্ট্র বানানো যাবে না। শেখ হাসিনা বেঁচে থাকলে বাংলাদেশকে পাকিস্তানের ধারায় আবার ফিরিয়ে নেওয়া যাবে না। শেখ হাসিনা বেঁচে থাকলে বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদের দেশ বানানো যাবে না।’

‘বিএনপি-জামায়াত যখন ক্ষমতায় ছিল তখন প্রথম আলোসহ সমস্ত পত্রিকার নিউজ ৫শ বোমায় ক্ষতবিক্ষত ৬৩টি জেলা, অস্ত্র উঁচিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বাংলা ভাই, আট মন্ত্রীর ছত্রছায়ার জঙ্গির উত্থান, বাংলা ভাইয়ের সৃষ্টি; শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিএনপির আমলে সেই অত্যাচার নির্যাতনের বিরুদ্ধে সারাদেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই অত্যাচার নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে উঠেছিল বলেই সেদিন জাতীয় আন্তর্জাতিক চাপে বিএনপি বাংলা ভাইকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়েছিল। তাই বিএনপি মনে করেছিল শেখ হাসিনা থাকলে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন হবে না। পাকিস্তানের এজেন্ডা বাস্তবায়ন হবে না। তাই তারা সেদিন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। ষড়যন্ত্র করেছিলেন। হাওয়া ভবনে বসে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘আল্লাহর রহমত সেদিন শেখ হাসিনা জীবনে বেঁচে গিয়েছিলেন। বেঁচে গিয়েছিলেন বলেই আজকে বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে মর্যাদাশীল দেশ। জননেত্রী শেখ হাসিনা বেঁচে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে। যুদ্ধাপরধীদের বিচার হচ্ছে।’

এসএম কামাল আরও বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কোনদিন নিজের কথা ভাবেননি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীত্বের কথা ভাবেননি। ভেবেছেন বাঙালির কথা এবং বাঙালির কথা ভাবতে ভাবতে তিনি বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন। তিনি বাঙালির অহংকার আমাদের অহংকার। বাঙালি একজন শেখ মুজিবকে পেয়েছিল। আর আজকে আমাদের অহংকার আমাদের গর্ব, আমরা যোগ্য পিতার যোগ্য তনয়াকে পেয়েছি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনা দিনরাত মিলে ১৯ ঘণ্টা পরিশ্রম করেন এবং বিশ্বের দরবারে বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে, ক্রাইসিস মোকাবিলায়, সংকট মোকাবিলায় জননেত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প বিশ্বে এখনও কোনো প্রধানমন্ত্রী কোনো রাষ্ট্রনায়ক, কোনো সরকার প্রধান নেই। শেখ হাসিনা’ই হচ্ছেন শ্রেষ্ঠ সরকার প্রধান। সকল ক্রাইসিস উনি মোকাবিলা করেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর ১৯৯৮ সালে বন্যা হয়েছিল। তিন মাস বন্যা ছিল, আল্লাহর রহমতে একটি লোক না খেয়ে মারা যায়নি।’

করোনাকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তার সরকারের বিভিন্ন মানবিক পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু হয়ে যাওয়ার কথা ছিল, মানুষ না খেয়ে মরে যাওয়ার কথা কিন্তু তিনি সেই নেত্রী মানবিক পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আজকে যারা জননেত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনা করেন, তারা ঘরে বসে খালি বিবৃতি দেন, ষড়যন্ত্র করেন। ওরা এটা বোঝে বলেই ওরা বারবার জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে। আসুন, ২১ শে আগস্টে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার জন্য শপথ নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সবাইকে হারিয়েছেন। শুধু আছেন ছোট বোন শেখ রেহানা। তারা আমাদের অহংকার, গর্ব। যে ডিজিটাল পদ্ধতিতে কথা বলছি, এর উদ্যোক্তা হচ্ছে শেখ হাসিনার সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয়। এটা তার কৃতিত্ব। তারা আজকে আমাদের অহংকার। বাংলাদেশে কেউ বলতে পারবে না, বঙ্গবন্ধু পরিবার কোনো ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। শেখ হাসিনার পরিবার কোনো ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।’

‘‘আমরা সবাই জননেত্রী শেখ হাসিনা যা চান সেই লক্ষ্য নিয়ে সামনে কাজ করি। শেখ হাসিনা চান আমরা দুর্নীতিমুক্ত হই, আমরা সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশ চাই, জঙ্গিবাদমুক্ত বাংলাদেশ চাই; সেইভাবে আমরা নিজেদের গড়ে তুলি। যাআমার ব্যক্তিগত কোন পরিচয় নাই। আমি আওয়ামী লীগের এস এম কামাল। আমি যেন মনে করি, আমার দায়-দায়িত্ব জননেত্রী শেখ হাসিনার উপরে না পড়ে।

‘২১ শে আগস্টে আমাদের শপথ হোক, আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চাই, বঙ্গবন্ধু তনয়া যা চায়, আমরা নিজেদেরকে সেইভাবে গড়ে তুলি; এটাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।”

যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রখ্যাত সাংবাদিক, সাহিত্যিক, অমর একুশের গানের রচয়িতা আবদুল গাফফার চৌধুরী, প্রধান আলোচক হিসাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হাসান আমু, প্রধান বক্তা হিসাবে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ, বিশেষ অতিথি হিসাবে আ.ফ.ম বাহাউদ্দীন নাছিম, ভূমিমন্ত্রী মো. সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। সভা পরিচালনা করেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক।

২১ আগস্ট আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর