দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমিত ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৪৮৫ জন। আর শনাক্তের দেড় গুণেরও বেশি, ৩ হাজার ৭৮৪ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন এই সময়ে।
গত ২৪ ঘণ্টার এই পরিসংখ্যান মিলিয়ে দেশে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ৩ হাজার ৯৮৩ জন। এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত হলেন ২ লাখ ৯৭ হাজার ৮৩ জন। আর এর মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ লাখ ৮২ হাজার ৮৭৫ জন।
সোমবার (২৪ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, করোনা আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থতার হার ৬১ দশমিক ৫৬ শতাংশ। গত কয়েকদিন ধরে এই হার ক্রমেই বাড়ছে। এর আগে ৪ আগস্ট থেকেই সুস্থতার হার ছিল ৫৭ শতাংশের ঘরে। সবশেষ ১৮ আগস্ট এই হার ছিল ৫৭ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এরপর গত ছয় দিনে সুস্থতার হার প্রায় ৪ শতাংশ বেড়েছে। এই সময়ে প্রতিদিনই নতুন শনাক্ত ব্যক্তির তুলনায় সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির সংখ্যা বেশি ছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৯১টি পরীক্ষাগারে ১৩ হাজার ৬৭৫টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। একই সময়ে মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৩ হাজার ৩৮২টি। আগের নমুনা মিলিয়ে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হলো ১৪ লাখ ৫৬ হাজার ০৩৮টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় যেসব নমুনা পরীক্ষা হয়েছে, তার মধ্যে ২ হাজার ৪৮৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ। আর এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৪০ শতাংশ।
এদিকে, করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত বিবেচনায় এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে পুরুষ ৩১ জন, বাকি ১১ জন নারী। এখন পর্যন্ত করোনা মৃত্যুবরণ করা মোট মানুষের মধ্যে ৩ হাজার ১৩৭ জন পুরুষ, ৮৪৬ জন নারী। শতাংশের হারে মৃতদের মধ্যে পুরুষ ৭৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ, নারী ২১ দশমিক ২৪ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃতদের তথ্য বিশ্লেষণ করে আরও দেখা যায়, ৩৮ জন হাসপাতালে ও চার জন বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেছেন। তাদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব ১৯ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী ১২ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ৯ জন এবং ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী দুই জন।
বয়সের হিসাবে এখন পর্যন্ত মারা যাওয়াদের মধ্যে শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে রয়েছে ১৯ জন, (দশমিক ৪৮ শতাংশ), ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ৩৫ জন (দশমিক ৮৮ শতাংশ), ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৯৫ জন (২ দশমিক ৩৯ শতাংশ), ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ২৪৯ জন (৬ দশমিক ২৫ শতাংশ), ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৫৩৩ জন (১৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ), ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১ হাজার ১০৫ জন (২৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ) এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সী ১ হাজার ৯৪৭ জন (৪৮ দশমিক ৮৮ শতাংশ)।