Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নতজানু নন বলেই শেখ হাসিনা বিশ্বনেতা— মির্জা ফখরুলকে নানক


২৬ আগস্ট ২০২০ ১৬:৫৮

ঢাকা: সরকার নতজানু পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করছে বলেই রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান হচ্ছে না— বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন মন্তব্যকে উড়িয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। বরং নতজানু পররাষ্ট্রনীতি মানেন না বলেই শেখ হাসিনা বিশ্বনেতায় পরিণত হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

নানক বলেছেন, যারা বলেন— নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো যায়নি, তারা আহাম্মকের স্বর্গে বাস করছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার নতজানু পররাষ্ট্রনীতি মানে না বলেই শেখ হাসিনা আজ বিশ্বনেতায় পরিণত হয়েছে।

আরও পড়ুন- নতজানু পররাষ্ট্র নীতির কারণে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হচ্ছে না: মির্জা ফখরুল

বুধবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে ধানমন্ডিতে একটি কমিউনিটি সেন্টারে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর আয়োজিত এক বর্ধিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

১৫ আগস্ট পরবর্তী বিভিন্ন ঘটনার কথা তুলে ধরে নানক বলেন, সে সময় আমরা প্রতিবাদের ডাক পাইনি। আমরা প্রতিরোধের ডাক পাইনি। আমরা যুদ্ধের ঘোষণা পাইনি একটি নেতার অভাবে। সেদিন নেতৃত্বের মধ্যে ভীরুতা, কাপুরুষতা, দোদল্যুমানতা এবং আপসকামীতার কারণে লাখ লাখ আওয়ামী লীগ যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকার্মীরা হতাশার সাগরে নিমজ্জিত হয়েছে,আহাজারি করেছে। শেখ মুজিবের আদর্শের সেই কর্মীরা এক-এগারোর সময় দেখিয়ে দিয়েছে, তারা কতটা নিবেদিত। এই নগর আওয়ামী লীগ প্রতিবাদ করেছিল, প্রতিরোধ করেছিল। নেত্রীকে (শেখ হাসিনা) গ্রেফতারের সঙ্গে সঙ্গে আপনারা হুংকার দিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন। তাই সেই শক্তি, এক-এগারোর অপশক্তি, তারা শেখ হাসিনাকে কারারুদ্ধ করে রাখতে পারেনি।

মহানগর নেতাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে নানক বলেন, সংগঠনের কোনো বিকল্প নেই। মনে রাখতে হবে, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট যারা ঘটিয়েছিল, একাত্তরে যারা পরাজিত হয়েছিল, আন্তর্জাতিক সাম্রাজ্যবাদী ও পাকিস্তানী গোষ্ঠী যারা, তারা চুপ করে বসে নেই। একাত্তরে পরাজিত হলেও এরপর রাজাকার, আলবদর, আলশামস চুপ করে বসে ছিল না। আমরা সেদিন তাদের সেই ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্নভিন্ন করে দিতে পারিনি। তার জন্য জাতিকে অনেক মাশুল দিতে হয়েছে। সেই ভুল আর করা যাবে না।

নানক বলেন, দুঃসাহসী নেত্রী শেখ হাসিনা। অনেকের সন্দেহ ছিল, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা যাবে কি না। অনেক দেশের নাম উল্লেখ করে বলা হতো, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা হলে নাকি সবকিছু উল্টে-পাল্টে যাবে। কিন্তু শেখ হাসিনা এমন এক নেত্রী, তিনি জনগণের ভিত্তির ওপর রাজনীতি করেন। বঙ্গবন্ধুর রক্ত কোনোদিন পরাভব মানে না।

‘তাই যারা বলেন, নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে আজ রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো যায়নি, তারা আহাম্মকের স্বর্গে বাস করছেন। মির্জা ফখরুল সাহেব, আওয়ামী লীগ সরকার, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার নতজানু পররাষ্ট্রনীতি মানে না বলেই শেখ হাসিনা আজ কেবল এই বাংলাদেশের নয়, সারাবিশ্বের নেতায় পরিণত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে শেখ হাসিনা এখন মধ্যমণিতে পরিণত হয়েছেন।’

মির্জা ফখরুল ইসলামের উদ্দেশে নানক আরও বলেন, আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। মানবতার নেত্রী শেখ হাসিনা ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছেন। এই মানুষগুলোকে সেদিন আশ্রয় দেওয়া না হলে তাদের নাফ নদীতে আত্মাহুতি দিতে হতো। সেদিন তাই শেখ হাসিনা মানবতার এক উদার নজির স্থাপন করেছেন। তার চৌকষ ও বিচক্ষণ পররাষ্ট্রনীতির কারণে এই রোহিঙ্গারা ফেরতও যাবে। কোনো রাজনীতি করার সুযোগ আপনাদের দেওয়া হবে না।

দলের নেতাকর্মীদের প্রতি এই সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বলেন, আমাদের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে— ১৫ আগস্টের ষড়যন্ত্রে জড়িত যেই জিয়াউর রহমান গং, তাদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে। অবিলম্বে একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিশন গঠন করে সব তথ্য উদঘাটন করে জাতিকে জানাতে হবে।

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন ও মির্জা আজম, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। সভা পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি এসএম মান্নান কচি।

৫ আগস্ট জাহাঙ্গীর কবির নানক টপ নিউজ নতজানু পররাষ্ট্রনীতি পররাষ্ট্রনীতি বিশ্বনেতা মির্জা ফখরুল শেখ হাসিনা


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

এখনো সালমানকে মিস করেন মৌসুমী
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৩৩

সম্পর্কিত খবর