‘বিকল্প পদ্ধতিতে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার কথা ভাবছে সরকার’
৩০ আগস্ট ২০২০ ০২:৩৩
ঢাকা: করোনা সংক্রমণের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষা বিকল্প পদ্ধতিতে নেওয়ার কথা ভাবছে সরকার।
রোববার (২৯ আগস্ট) সারাবাংলা ফোকাস অনুষ্ঠানে এই কথা জানান ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক গাজী হাসান কামাল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সারাবাংলা ডটনেটের স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট এমএকে জিলানী।
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক গাজী হাসান কামাল বলেন, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি আমরা নিয়ে রেখেছি। করোনা সারাপৃথিবীর মানুষের জন্যই নতুন অভিজ্ঞতা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই পরীক্ষা নেওয়া হবে। না হলে বিকল্প পদ্ধতিতে পরীক্ষা নিতেও আমরা প্রস্তুত।
তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যেনো কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেটি বিবেচনা করেই বিকল্প পদ্ধতি ভাবা হচ্ছে।’
একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অনলাইনে শতভাগ বলা যাবে না, কোনো কোনো শিক্ষার্থী হয়তো অনলাইন ভর্তি প্রক্রিয়ায় বাদ পড়তে পারে, এটা করোনার কারণে হতে পারে। প্রযুক্তি প্রতিবন্ধকতার কারণেও হতে পারে।’
বন্ধের এই সময়টি দক্ষতা উন্নয়নে কাজে লাগানোর পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন কিন্তু শিক্ষার্থীদের হাতে অফুরন্ত সময়। তারা চাইলেই নতুন নতুন ভাষা শিখতে পারে। প্রযুক্তি জ্ঞানেও নিজেদেরকে ঝালিয়ে নিতে পারে। আমি তাদের বসে না থেকে পড়াশোনার সঙ্গে থাকার পরামর্শ দেবো।’
এদিকে এইচএসসি পরীক্ষার তারিখ প্রসঙ্গে মাউশির পরিচালক শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, ‘একাদশের ভর্তি প্রক্রিয়া বেশ ভালোভাবেই চলছে। তাদের দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। আমি এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বলতে চাই, তারা যেন কোনো প্রকার গুজবে কান না দেন। চারপাশ থেকে প্রচুর গুজব ছড়ানো হচ্ছে। পরীক্ষা শুরুর ঘোষণা এলে হলে তাদের যথেষ্ট সময় দেওয়া হবে। এখনই পরীক্ষা শুরুর কোনো সম্ভাবনা নেই।’
অভিবাবকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মনোবল দৃঢ় করতে হলে তাদের সাহস দিতে হবে। এই সময়ে অভিভাবকরা যেন নিজেদের সন্তানের মানসিক দিকটি খেয়াল রাখেন।’
নটরডেম কলেজের সহকারী অধ্যাপক মারলিন ক্লারা পিনেরু বলেন, ‘আমরা অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছি, পরীক্ষা নিচ্ছি। এবছর নটরডেম কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষাও অনলাইনে হয়েছে।’
গ্রিন জেমস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় আমাদের বাধ্য হয়েই অনলাইনে ক্লাস নিতে হচ্ছে। পরীক্ষা হচ্ছে অনলাইনে। শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা যদি সৎ থাকেন তাহলে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়া খুব একটা কঠিন না।’