গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো বুরসার হায়া সোফিয়া
৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০২:২৮
তুরস্কে প্রাচীন এক গ্রিক অর্থোডক্স চার্চ টানা সাত বছর সংস্কারের অভাবে জীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাওয়ায় গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তুরস্কের পশ্চিমাঞ্চলের বুরসা এলাকায় অবস্থিত প্রাচীন এ স্থাপনাটি বুরসার হায়া সোফিয়া নামে পরিচিত। বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) ভবনটিকে ভেঙে ফেলা হয় বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
সাত বছর আগে এ স্থাপনার মালিকানা মসজিদ কর্তৃপক্ষের হাতে যাওয়ার পর কোনো ধরনের সংস্কার কাজ হয়নি— ফলে ভবনটি এভাবে জীর্ণ হয়ে যায় বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। তুরস্কের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে এ খবর প্রকাশ হয়েছে।
গুঁড়িয়ে দেওয়া প্রাচীন সেইন্ট জর্জিওস গ্রিক অর্থোডক্স চার্চ ১৮৯৬ সালে নির্মিত। বিংশ শতাব্দীর শুরুতে, এটিকে মসজিদে রূপান্তরিত করা হয় এবং এর নামকরণ করা হয় ইয়েজিনি মসজিদ। তবে এর কয়েক বছর পর পাশেই আরেকটি মসজিদ নির্মিত হওয়ায় এটি আর ব্যবহার করা হয়নি।
২০০৬ সালে নীলফের পৌরসভা এ স্থাপনাটিকে পুনরুদ্ধার ও সংস্কারকাজ শুরু করে। এর দুই বছর পর ২০০৯ সালে ভবনটিকে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে পুনরায় চালু করা হয়। তবে স্থানীয় ভবন কর্তৃপক্ষ ২০১৩ সালে এক মামলার মাধ্যমে স্থাপনাটিকে নিজের আওতায় নিয়ে স্থানীয় মসজিদ ফাউন্ডেশনের অধীনে নিবন্ধন করে। এর পর থেকেই স্থাপনাটিতে চলমান সংস্কার কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
নীলফের পৌরসভার মেয়র তুরগে এরদেন বলেন, ভবনটিকে পরিত্যাগ করে এর ভাগ্যের উপর সপে দেওয়া হয়েছিলো। তিনি বলেন, ভবনটিকে ২০১৬ ও ২০১৯ সালে দুই বার উদ্ধারের চেষ্টা করেছিলাম। একবার চেয়েছিলাম এটির সংস্কার করতে আরেকবার চেয়েছিলাম এটি ভাড়া দিয়ে দিতে। তবে এটি শুধু প্রার্থনার কাজেই ব্যবহার করার জন্য তৈরি হয়েছে বলে দু’বারের চেষ্টাই থামিয়ে দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, পৌরসভা যখন ভবনটির সংস্কার করে তখন আমরা দুই মিলিয়ন লিরা খরচ করেছিলাম তবে ভবন কর্তৃপক্ষ এটি তাদের নিজেদের আওতায় নিয়ে নেয়।
মেয়র বলেন, এ ভবনের মালিকানা নিতে আবারও আদালতে আবেদন করবে পৌরসভা। আমাদের কাছে এটির অবকাঠামোগত সংস্কারের সকল পরিকল্পনা রয়েছে। এটি আমাদের হাতে ছেড়ে দিন।
আরও পড়ুন- হায়া সোফিয়ার মসজিদে রূপান্তর: ধর্মীয় নয়, রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত