নানকপুত্র সায়েমের মৃত্যুবার্ষিকীতে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০২:৩৮
ঢাকা: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক ও সৈয়দা আরজুমান নার্গিস দম্পতির একমাত্র ছেলে সায়াম-উর-রহমান সায়েমের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) বাদ আছর প্রয়াত সায়েমের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কোরআন খতম ও বাদ মাগরিব দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে ধানমন্ডিতে জাহাঙ্গীর কবির নানকের বাসভবনে সীমিত পরিসরে পারিবারের সদস্যরাই কেবল সীমিত পরিসরে কোরখান খতম ও দোয়া-মোনাজাতে অংশ নেন।
এছাড়া বনানী কবরস্থান মসজিদে বাদ আসর মিলাদ ও দোয়া পাঠ হয় এবং তবারক বিতরণ করা হয়। এরপর মোহাম্মদপুর আদাবর শেরেবাংলা নগর বিভিন্ন মসজিদে দোয়ার আয়োজন করেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। সায়েমের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ বরিশালে বাদ জোহর ভার্চুয়াল আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। সায়েমে মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকেও জাহাঙ্গীর কবির নানক ও সৈয়দা আরজুমান নার্গিসের একমাত্র পুত্র সন্তানের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়।
২০১১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাতে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের কাছে এক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন সায়েম। ওই সময় আওয়ামী লীগ নেতা নানকের ছেলের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকারের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতারা শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে ছুটি গিয়েছিলেন মোহাম্মদপুরে নানকের বাসায়। এরপর থেকে প্রতিবছর এই দিনে সন্তানের স্মরণে কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল আয়োজন করা হয়, দরিদ্র-অসহায়দের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়। এ বছরই কেবল করোনাভাইরাসের কারণে সব কর্মসূচিই সীমিত পরিসরে পালন করা হয়েছে।
এর আগে, গত বছর (২০১৯) ৬ সেপ্টেম্বর সন্তানের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকীর দিনে বাদ আসর ধানমন্ডির বাসায় কোরানে খতম মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠানে পরিবারের পক্ষ থেকে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে নানক বলেছিলেন, মা-বাবা হিসেবে এ যে কত বড় কষ্ট! আমার মতো যেন আর কাউকে এমন কষ্ট পেতে না হয়।
বিয়ের মাত্র দু’বছরের মাথায় স্বামীকে হারান সায়েমের স্ত্রী আনিকা রহমান। সায়েম-আনিকা দম্পতির একমাত্র মেয়ে মেহরিশ রহমানের তখনো বাবার আদর কী, সেটুকু বোঝার মতো বয়সও হয়নি। স্বামী হারানোর শোক-ব্যথা বুকে নিয়ে সন্তানকে আকঁড়ে শ্বশুর-শাশুড়ির আদর-স্নেহে জীবনের পথ বেয়ে চলছেন আনিকা। আর ১০ বছরে পা দেওয়া শিশু মেহরিশ হয়তো এখন দেয়ালে টাঙানো ছবির ফ্রেমেই খুঁজে বেড়ায় বাবাকে। দাদার হাত ধরে বাবার কবরের পাশে গিয়ে চোখের জলে হয়তো খুঁজে ফেরে বাবার মুখটা।
৯ম মৃত্যুবার্ষিকী কোরআন খতম জাহাঙ্গীর কবির নানক দেয়া মাহফিল মিলাদ মাহফিল মৃত্যুবার্ষিকী সায়েম-উর-রহমান