Monday 02 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

করোনার ৬ মাসেও বাস্তবায়ন হয়নি ফোনের জন্য শিক্ষাঋণ


৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২১:৩৮ | আপডেট: ৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৮:১২
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঢাকা: করোনা সংক্রমণের কারণে বন্ধ থাকায় দেশের বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই অনলাইনে নিজেদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তবে শিক্ষার্থীদের আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় শুরুতে এই কার্যক্রমে যুক্ত হতে পারেনি দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। পরে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ক্লাস শুরু করতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। তবে সিদ্ধান্তটি এখনও বাস্তবায়ন হয়নি।

শিক্ষাঋণ হিসেবে একজন শিক্ষার্থী পাবেন ১০ হাজার টাকা। এই টাকায় ভার্চুয়াল ক্লাসে যুক্ত হওয়ার জন্য ডিভাইস কিনতে হবে তাদের। তবে প্রায় একমাস আগে সিদ্ধান্ত হলেও এখন পর্যন্ত এটি বাস্তবায়ন হয়নি। ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ জানিয়েছেন, তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেপ্টেম্বরের ১৫ তারিখের মধ্যে স্মার্টফোন কেনার জন্য ঋণের ব্যবস্থা করার চেষ্টা হচ্ছে। তবে এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ইউজিসি সূত্রে জানা গেছে, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষার্থীর স্মার্টফোন কেনার সামর্থ্য নেই তাদের তালিকা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আরও আগেই পাঠানো হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন কিনে দিতে প্রায় ৫০-৬০ কোটি টাকা লাগবে, যা নিয়ে ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আলোচনা চলছে। ঋণ পেলে শিক্ষাবর্ষ শেষ হওয়া পর্যন্ত মাসিক ৫০০ টাকা করে পরিশোধ করার সুযোগ পাবেন শিক্ষার্থীরা। কোনো শিক্ষার্থী ইচ্ছাকৃতভাবে লোন পরিশোধ না করলে তাকে সার্টিফিকেট দেওয়া হবে না।

ইউজিসি চেয়ারম্যান কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের তালিকা দিতে বলেছিলাম। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় তালিকা পাঠিয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও এ ব্যাপারে আলোচনা চলছে। সবকিছুই নির্ভর করছে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের ওপর।’

১০ হাজার টাকা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন মোবাইল ফোন শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষাঋণ