‘বিতর্কিত ওয়েব সিরিজ সরাতে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ নয়’
৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৩:২৫
ঢাকা: ইন্টারনেট ও বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে (ওটিটি প্লাটফর্ম) ছড়িয়ে পড়া ওয়েব সিরিজের অনৈতিক, নিন্দনীয় ও আইন বহির্ভূত ভিডিও’র অংশগুলো সরিয়ে ফেলতে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা প্রণয়নে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না রুলে সেটিও জানতে চাওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ।
তানভীর আহমেদ বলেন, ‘আদালত আজ আমাদের আবেদনের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছেন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সচিব, তথ্য মন্ত্রণালয় সচিব, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সচিব, বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান, পুলিশের আইজি, শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক, পরিচালক (লিগ্যাল) বিটিআরসি, সাইবার পুলিশ ব্যুরোর ডিআইজিকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।’
তিনি জানান, এর আগে গত ১৫ জুলাই ইন্টারনেট ও বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে (ওটিটি প্লাটফর্ম) ছড়িয়ে পড়া ওয়েব সিরিজের অনৈতিক, নিন্দনীয় ও আইন বহির্ভূত ভিডিও’র অংশগুলো সরিয়ে ফেলতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি এসবের সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে অনুসন্ধান করে একটি প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই নির্দেশ দেন।
এছাড়াও নেটফ্লিক্সের মতো অন্যান্য ওটিটি প্লাটফর্মগুলো থেকে কীভাবে সরকারি রেভিনিউ সংগ্রহ করেন তা এক মাসের মধ্যে বিটিআরসিকে জানাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। কিন্তু সংশ্লিষ্টরা এসব বিষয়ে আদালতে কোনো প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এদিকে দীর্ঘদিন পর মামলাটি হাইকোর্টের নতুন বেঞ্চে শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসে। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার শুনানি হয়েছে। আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে ওয়েব সিরিজ বিতর্কের অগ্রগতি জানাতে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর সময় বেঁধে দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
গত ১৪ জুন বাংলাদেশি ওয়েব সিরিজের বিতর্কিত অংশ বাদ দিতে সংশ্লিষ্টদের একটি আইনি নোটিশ দেন আইনজীবী তানভীর আহমেদ। তবে সে নোটিশের কোন জবাব না পেয়ে তিনি গত ১২ জুলাই হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। সেই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত এ আদেশ দিলেন।