গ্লোবের করোনা ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল এ মাসেই
১০ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২২:০৫
ঢাকা: দেশের একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) টিকা উদ্ভাবনের দাবিদার গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের ভ্যাকসিন উৎপাদনের কাজ আরও একধাপ এগিয়েছে বলে দাবি প্রতিষ্ঠানটির। তারা বলছে, চলতি সপ্তাহের মধ্যেই তাদের দ্বিতীয় ধাপের অ্যানিম্যাল ট্রায়াল পর্ব শেষ হবে। বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের (বিএমআরসি) অনুমোদনসাপেক্ষে এ মাসেই শুরু হবে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল, তথা মানবশরীরে এই টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ।
গ্লোব বায়োটেক আশা করছে, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে সাফল্য মিললে ২০২১ সালের জানুয়ারি নাগাদ তারা করোনাভাইরাসের টিকা বাজারে আনতে পারবে। আর গবেষণা খুব দ্রুত এগোলে এ বছরের ডিসেম্বরেও বাজারে আসতে পারে এই ভ্যাকসিন।
বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সারাবাংলার সঙ্গে আলাপকালে গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের প্রধান ডা. আসিফ মাহমুদ এসব কথা বলেন।
ডা. আসিফ বলেন, আমরা এর আগে প্রথম পর্যায়ের ট্রায়ালে সাফল্যের কথা আমরা গণমাধ্যমে বলেছিলাম। ওই ট্রায়ালের সাফল্যের পর আমরা দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল করছি। প্রাণীদেহের ওপর এই পর্বের ট্রায়ালও প্রায় শেষ। এখন ডেটা কালেকশন চলছে। আগামী সপ্তাহ নাগাদ ডাটা কালেকশন শেষ হতে পারে বলে আশা করছি।
তিনি বলেন, এই ডাটা কালেকশন শেষ হলেই সেটি বিশ্লেষণ করে আমরা আগামী সপ্তাহের শেষ নাগাদ হিউম্যান ট্রায়ালের জন্য আবেদন করব বিএমআরসি’র কাছে। সেখানে অ্যানিম্যাল স্টাডির তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন শেষে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য আবেদন থাকবে। অনুমতি পেলে আমরা ক্লিনিক্যাল রিসার্চ অর্গানাইজেশনের (সিআরও) মাধ্যমে ট্রায়াল শুরু করব।
ট্রায়ালে সাফল্য মিললে কবে নাগাদ এই টিকা বাজারে আসতে পারে— এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. আসিফ বলেন, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তিনটি ধাপ রয়েছে। সেগুলো সম্পন্ন করতে সময় লাগবে। তারপরও আমরা আশা করছি ডিসেম্বর নাগাদ হয়তো ভ্যাকসিন তৈরি হয়ে যেতে পারে। তা না হলেও আমরা আগামী বছরের জানুয়ারিতেই করোনার ভ্যাকসিন বাজারে আনার বিষয়ে আশাবাদী।
এর আগে গত ১ জুলাই গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গ্লোব বায়োটেক জানায়, তারা দেশেই করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন উদ্ভাবনে জন্য কাজ করছে। ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পরই তারা এর ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের কাজ শুরু করে।
পরদিন এক সংবাদ সম্মেলনে গ্লোব ঘোষণা দেয়, প্রাণীদেহের ওপর এই ভ্যাকসিনের প্রথম ধাপের ট্রায়াল তারা সফলভাবে শেষ করেছে। পরবর্তী ধাপগুলো ঠিকঠাকমতো সম্পন্ন করতে পারলে ছয় থেকে সাত মাসের মধ্যে তারা টিকা বাজারজাত করতে পারবে।