১৯৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে সিআইডির মামলা
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৫:০৭
ঢাকা: ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলা নম্বর ১৪। সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি মিডিয়া) জিসানুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, কাকরাইলের বাসায় অবস্থান করে অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অর্জিত ১৯৫ কোটি টাকা সহযোগীর মাধ্যমে এনামুল হক আরমানের (৫৬) সহায়তায় সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় পাচার করায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট রাজধানীর মতিঝিল, ফকিরাপুল, পল্টন ও কাকরাইল এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে অবৈধ অর্থ উপার্জন করেছেন। তার উপার্জিত অবৈধ অর্থের মধ্যে ১৯৫ কোটি টাকা তিনি তার সহযোগী আসামি আরমানের সহায়তায় সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া পাচার করেছেন।
সম্রাটের বিদেশভ্রমণের পর্যালোচনামূলক তথ্যও সিআইডি মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, ২০১১ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ৯ আগস্ট পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় তিনবার, দুবাইতে দুবার এবং হংকংয়ে একবার যাতায়াত করেছেন। আর তার অপরাধকর্মের সহযোগী আরমান ২০১১ সালের ১২ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ১৮ মে পর্যন্ত সিঙ্গাপুরের পঁচিশবার যাতায়াত করেছেন।
এদিকে ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে জ্ঞাতআয়বহির্ভূত অর্থ উপার্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলা তদন্তাধীন রয়েছে। গত বছরের ১২ নভেম্বর দুদকের করা মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আনা হয়।
ওই মামলায় গত ১৮ আগস্ট আদালতে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েশ ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের স্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন।
গত বছরের ৫ অক্টোবর ভোর ৫টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয় আত্মগোপনে থাকা সম্রাটকে। তার সঙ্গে সহযোগী আরমানকেও আটক করা হয়। পরে ঢাকায় এনে তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদও করে র্যাব।
ওইদিন দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে র্যাবের একটি দল সম্রাটকে নিয়ে কাকরাইলে ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে তালা ভেঙে তারই কার্যালয়ে ঢুকে অভিযান শুরু করে।
সম্রাটের কাকরাইলের কার্যালয় থেকে একটি পিস্তল, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ ও দুটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া জব্দ করে তারা। পরে ছয় মাসের জেল দিয়ে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।