শরতের কাশফুলে অপরূপ ‘বশেমুরবিপ্রবি’ ক্যাম্পাস
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৬:০২
বশেমুরবিপ্রবি: প্রতিটি ঋতুর রয়েছে আলাদা রূপ-বৈচিত্র্য। তাই প্রকৃতির ধারাবাহিকতায় শরৎ আসে অপরূপ নিজস্বতা নিয়ে। বৈশ্বিক উষ্ণতা আর জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে প্রকৃতি যখন তার চিরায়ত রূপ হারাচ্ছে,তখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তাকালেই দেখা যাবে বাতাসে দোল খায় সাদা কাশবন। সেই কাশবন যেন হয়ে উঠেছে শিল্পীর রং তুলিতে আঁকা কোনো ছবি।
ঋতুবদলে ক্যাম্পাসে শিউলি ফুল ফুটতে শুরু করেছে। গাছে গাছে শিউলি ফুলের সুবাস ও আকাশে গুচ্ছ গুচ্ছ কাশফুলের মতো সাদা মেঘের ভেলা যে কারও মন কেড়ে নেবে। শরতের সবচেয়ে বড় বিষয় কাশফুল। আর সেই কাশফুলে প্রাণমুগ্ধ হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) ক্যাম্পাস। শহরে গড়ে ওঠা ক্যাম্পাস যেন যান্ত্রিক নগরে এক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি।
এবার করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আনাগোনা নেই বললেই চলে। তবে এখন শরতের আগমনে ক্যাম্পাসটি কাশফুলে ভরে গেছে। প্রাণহীন ক্যাম্পাসকে প্রাণবন্ত করে তুলতে কাশফুল। ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরীণ রাস্তার দুই ধারে, খেলার মাঠে, লেকপাড়ে, আইন চত্বর, কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণ, বাঁধন চত্বর, ক্যাম্পাসের হলগুলোর আশেপাশে কাশফুলের দেখা মিলবে।
ক্যাম্পাসের কাশবনে ঘুরতে আসা লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী শাকিল মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের সময় করোনাকালীন পরিস্থিতিতে থমকে গেলেও প্রকৃতি তো থেমে নেই, এসেছে নতুন সাজে নতুন বার্তা নিয়ে। দিনশেষে শরতের সাদা মেঘ আর কাশফুলের শুভ্রতায় নিজেদের মনকে শুভ্র করি।’
ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রুমানা ইসলাম বর্ষা বলেন, ‘করোনার এ সময়ে প্রকৃতি যে রূপ ধারণ করেছে তা প্রকৃতিকে আমাদের কাছে নতুন করে আনন্দিত করেছে। শরতের এই কাশফুল আমার শৈশবের স্মৃতিগুলোকে বারবার স্মরণ করিয়ে দেয়। প্রাণের ক্যাম্পাসে এ দৃশ্য আমাকে মুগ্ধ করে।’