স্বাস্থ্যের গাড়িচালকের ৩ বিল্ডিংসহ শত কোটি টাকার সম্পত্তি
২০ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২৩:৩৮
ঢাকা: পেশায় তিনি একজন গাড়িচালক। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের (শিক্ষা) গাড়ি চালানোর দায়িত্ব ছিল তার। কিন্তু দীর্ঘদিন তিনি গাড়িটি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করেছেন। এছাড়াও দুটো গাড়ি অবৈধভাবে নিজের কাজে লাগাতেন মো. আবদুল মালেক ওরফে বাদল। এছাড়া ব্যক্তিগতভাবে তিনটি প্লটের মালিক এই আবদুল মালেকের রাজধানীতে রয়েছে বিভিন্ন স্থানে একাধিক বাড়ি-গাড়ি।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, গাড়িচালক আব্দুল মালেক দীর্ঘদিন ধরে অধিদফতরের বিভিন্ন বিষয় নিয়ন্ত্রণ করে আসছেন। বিশেষ করে অধিদফতরের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির নিয়োগ-বদলি বাণিজ্য তার প্রধান কাজ। কোনো কর্মকর্তা যদি আবদুল মালেকের সুপারিশ না শোনেন তাহলে তাকে ঢাকার বাইরে বদলি করাসহ শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনা ঘটিয়েছেন একাধিকবার।
কর্মকর্তারা লোকলজ্জার ভয়ে এসব বিষয় কখনও প্রকাশ করেননি। মালেক নিজে অধিদফতরের একজন গাড়িচালক হয়েও ব্যক্তিগতভাবে একটি পাজেরো জিপ ব্যবহার করেন। এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদফতরের ক্যান্টিন তিনি পরিচালনা করেন। তার রয়েছে তেল চুরির সিন্ডিকেট, স্বাস্থ্য অধিদফতরের যত গাড়িচালক তেল চুরি করে, তার একটি অংশ তাকে দিতে হয়। এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তিনি পুরো অধিদফতর নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, মো. আবদুল মালেকের বর্তমান বেতন বেসিক ২৬ হাজার ১০০ টাকা হলেও রাজধানীতে তার রয়েছে একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। পেশায় একজন গাড়ি চালক হলেও রাজধানীর হাতিরপুলে তার সাড়ে চার কাঠা জমির উপরে দশতলা ভবন নির্মানাধীন। তুরাগ থানা এলাকায় ছয় কাঠা জমির ওপর সাততলা দুটি ভবনে রয়েছে ২৪টি ফ্ল্যাট। এছাড়াও একই এলাকায় আছে প্রায় ১০ থেকে ১২ কাঠার প্লট। সেইসঙ্গে দক্ষিণ কামারপাড়ার ১৫ কাঠা জমিতে একটি ডেইরি ফার্ম আছে আবদুল মালেকের।
আবদুল মালেক স্বাস্থ্য অধিদফতরে গাড়ি চালক হিসেবে যোগ দেন ১৯৮২ সালের দিকে। বর্তমানে কাগজে-কলমে তিনি স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেনের গাড়িচালক হিসেবে কর্মরত। কিন্তু ডা. এনায়েত হোসেন যে টয়োটা ভিগো (ঢাকা মেট্রো ঘ-১৮-৩৯৫১) গাড়ি ব্যবহার করেন সেটির চালক হারুন নামে একজন। এর আগে এনায়েত হোসেন যখন অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও গবেষণা) ছিলেন তখন তার গাড়ির চালক ছিলেন আবদুল মালেক। সেই সময় ডা. এনায়েত হোসেনের জন্য বরাদ্দ ছিল একটি সাদা পাজেরো জিপ (ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-২৯৭৯)। পরবর্তী সময়ে তিনি মহাপরিচালক হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ায় নতুন গাড়ি ব্যবহার করলেও পুরনো গাড়িটি ব্যবহার করতে থাকেন আবদুল মালেক। ব্যক্তিগতভাবেই তিনি গাড়িটি বাসায় যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করতেন বলে জানা গেছে। এসব বিষয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেনকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
আর পড়ুন: ‘চিকিৎসক না হয়ে হলাম না কেন মালেক!’
স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক কর্মকর্তা না প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘পাজেরো গাড়িটি দিয়ে মালেক নিজের ডেইরি ফার্মের দুধ নিয়ে আসতো। অফিসে ঢুকানোর আগে গাড়ি থেকে মালামাল নামিয়ে পরে অফিসে আসতো সে। এই ঘটনা অফিসের প্রায় সবাই জানে। কিন্তু কেউ মুখ খোলে না। কারণ বড় কর্মকর্তাদের খুব কাছের মানুষ মালেক।’
অনুসন্ধানে জানা যায়, শুধুমাত্র মহাপরিচালকের গাড়িই নয়, আবদুল মালেক স্বাস্থ্য অধিদফতরের একটি পিকআপ (ঢাকা মেট্রো- ঠ- ১৩-৭০০১) নিজের গরুর খামারের দুধ বিক্রির কাজে ব্যবহার করে থাকেন। এই গাড়িটি চালায় মাহবুব নামে একজন চালক। এছাড়াও স্বাস্থ্য অধিদফতরের একটি মাইক্রো (ঢাকা মেট্রো-চ-৫৩-৬৭৪১) পরিবারের সদস্যদের জন্য ব্যবহার করতেন আবদুল মালেক। এই গাড়িটিও কামরুল নামে একজন চালককে দিয়ে ব্যবহার করাতেন তিনি।
রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে আবদুল মালেকের মালিকানাধীন ইমন ডেইরি ফার্মে গেলে সেখানে দেখা যায়, দেশি-বিদেশি উন্নত জাতের ৫০টি গরু। এটি ১৯৯৯ সালের ৩ মার্চ প্রতিষ্ঠিত হয়। একইদিন বাসা ভাড়ার জন্য এই প্রতিবেদক যান আবদুল মালেকের কামারপাড়ার ভবনে। সেখানে সাততলা ভাড়া দেওয়ার কথা জানানো হয় প্রতিবেদককে। এ সময় প্রতিবেদক ভবনের মালিক কী করেন জানতে চাইলে সেখানে থাকা তত্ত্বাবধায়ক জানান, বাড়ির মালিক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে কাজ করেন। পরবর্তীতে বাড়ির আরেক তত্ত্বাবধায়ক জানান, বাড়ির মালিক এই মুহূর্তে অফিসের কাজে বাইরে আছে। তার কাছে পাজেরো গাড়ির বিষয়ে জানতে চাইতে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ মাঝে মধ্যে গাড়িটি নিয়ে তিনি বাসায় আসতেন; কিন্তু সব সময়ই না।’
এর আগে শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর হাতিরপুলে আবদুল মালেকের সাড়ে চার কাঠা জায়গার উপরে নির্মানাধীন দশতলা ভবনে যান এই প্রতিবেদক। সেখানে গিয়ে জানা যায়, মামলাজনিত কারণে আদালতের নির্দেশে ভবনের কাজ আপাতত বন্ধ আছে।
আবদুল মালেকের দুই স্ত্রী। প্রথম স্ত্রী নার্গিস আক্তার গৃহিনী। এই পরিবারের আবদুল মালেকের তিন মেয়ে ও এক ছেলে আছে। বড় মেয়ে বেবির স্বামী স্বাস্থ্য অধিদফতরের ক্যান্টিনের দায়িত্বে আছেন। ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজের দ্বিতীয় মেয়ে নৌরিন সুলতানা বেলিকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অফিস সহকারী পদে চাকরি নিয়ে দেন আবদুল মালেক। একমাত্র ছেলে ইমন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। আবদুল মালেকের দ্বিতীয় স্ত্রী রাবেয়া খাতুন স্বাস্থ্য অধিদফতরের লাইব্রেরিতে বুক সর্টার পদে কর্মরত আছেন। আবদুল মালেকের পরিবারের সদস্যরা জানান, মালেক স্বাস্থ্য অধিদফতরের একজন গাড়িচালক। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মহাপরিচালকের গাড়ি চালান।
শুধুমাত্র স্বাস্থ্য অধিদফতরের গাড়ি ব্যবহারই নয় বরং প্রশাসনের নিয়োগেও ছিল আবদুল মালেক ক্ষমতা প্রয়োগ করতো। অধিদফতরে ড্রাইভার্স অ্যাসোসিয়েশন নামে একটি সংগঠন তৈরি করে নিজেই সেই সংগঠনের সভাপতি পদে দায়িত্ব নেন আবদুল মালেক। সেই ক্ষমতাবলে অধিদফতরের গাড়ি চালকদের মাঝে নিজের ক্ষমতার বলয় তৈরি করেন তিনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক কর্মকর্তা সারাবাংলাকে বলেন, ‘এই ক্ষমতা নিয়েই তিনি অধিদফতরের চিকিৎসকদের বদলি, পদোন্নতি ও তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ বাণিজ্যে জড়িত ছিল আবদুল মালেক। একজন পরিচালক তার বিরুদ্ধে অডিটের চেষ্টা করলে সেটিও তিনি করতে পারেননি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কারণে। যে কারণে আবদুল মালেক কোন গাড়ি ব্যবহার করতো, কীভাবে তেল খরচ করতো তা নিয়ে খুব একটা বেশি ভাবার অবকাশ ছিল না।’
তিনি আরও বলেন, ‘চিকিৎসকদের একটা বিশাল অংশ যারা এই স্বাস্থ্য অধিদফতরে কাজ করেন, তারা মূলত এই আবদুল মালেকদের সমীহ করেই চলে। কারণ শুধু শুধু ভেজালে পড়ার কোনো মানে হয় না। উনাদের কারো সঙ্গে যদি কোনো সমস্যা হয় তবে দেখা যায় যে, কিছুদিনের মধ্যে চিকিৎসকের বদলির আদেশ চলে আসে। এজন্যেই এই স্বাস্থ্য অধিদফতরে চিকিৎসকদের মাঝে একটা মজার গল্প প্রচলিত আছে। সেখানে আমরা বলি- চিকিৎসক না হয়ে হলাম না কেন মালেক! কারণ এখানে আসলে তাদেরই ক্ষমতাতেই সব চলে।’
এসব কথার প্রমাণ মেলে আবদুল মালেকের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিভিন্ন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে। আবদুল মালেক কোন গাড়ি ব্যবহার করতো? গত ছয় মাসে গাড়ি কোথায় ছিল? গাড়ির লগবুক কার কাছে থাকে? কত টাকার তেল ব্যবহার করেছে গত ছয় মাসে? এই সব প্রশ্নের উত্তর জানতে চাওয়া হয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের একাধিক পরিচালকের কাছে। কিন্তু কেউই উত্তর দিতে চাননি। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মিডিয়া সেলের কাছ থেকে তথ্য নিতে বলে এই প্রতিবেদককে।
পরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মিডিয়া সেল থেকে জানানো হয়, তথ্য দিতে সময় লাগতে পারে। কারণ তথ্য পরিবহন কর্মকর্তা মো.আলাউদ্দিন খানের কাছ থেকে নিয়ে দিতে হবে। এদিকে মো. আলাউদ্দিন সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমি পুলে থাকা ১৭টি গাড়ির বিষয়ে জানি, কিন্তু বাকি গাড়িগুলো বিষয়ে জানি না। এর বাইরের গাড়িগুলো প্রকল্পের হয়ে থাকলে সেগুলো তাদের কর্মকর্তারাই বলতে পারবেন। আবদুল মালেক আমার আওতাধীন পুলে থাকা কোনো গাড়ি ব্যবহার করতেন না।’
এ বিষয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান সারাবাংলাকে বলেন, ‘শুধুমাত্র একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের গাড়িচালকই না, যেকোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী, এমনকি সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারাও যদি রাজধানীতে একাধিক বাড়িসহ অঢেল সম্পদের মালিক হতে দেখা যায় তবে সেটি নিয়ে প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক। এই সম্পদ বৈধ কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠবে। স্বাভাবিকভাবেই ধরে নেওয়া যায় যে, বৈধ আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই এসব ক্ষেত্রে। এখানে দুটি বিষয় আছে। প্রথমটি হলো- বৈধ আয়ের সঙ্গে অসামঞ্জস্য সম্পদ আহরণ হলে সেটি খতিয়ে দেখতে হবে। এই কাজটি দুর্নীতি দমন কমিশন খুব সহজভাবেই করতে পারে। ব্যক্তির আয়ের সঙ্গে সম্পদের হিসেব নিলেই পরিষ্কারভাবে বের হয়ে আসবে যে, তিনি কীভাবে এই সম্পদের মালিক হয়েছেন। যদি সেক্ষেত্রে অবৈধ কিছু পাওয়া যায় তবে তাকে বিচারের আওতায় আনতে হবে ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এক্ষেত্রে আরও একটি দিক রয়েছে। একজন গাড়িচালক এই সম্পদের মালিক এককভাবে হয়েছেন এমনটা ভাবার কোনো সুযোগ নেই। এখানে তার সঙ্গে যোগসাজশকারী আরও অনেকেই রয়েছেন। যারা গাড়িগুলো ব্যবহার করেছেন তাদের কেউ কেউ থাকতে পারেন। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদার থেকে শুরু করে অন্যান্য কর্মকর্তাদের যোগসাজশ থাকতে পারে। একইভাবে বিভিন্ন প্রভাবশালী মহলের যোগসাজশ থাকতে পারে। অতএব সেটিও খতিয়ে দেখতে হবে। শুধুমাত্র কান টানলে হবে না, মাথাও টানতে হবে। চুনোপুটিরা অবশ্যই প্রচুর সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। কিন্তু রুই কাতলারা কী করেছেন সেটিও দেখার বিষয় রয়েছে। সেটি করতে পারলেই সত্যিকার অর্থে একটি নিয়ন্ত্রণের জায়গায় যাওয়া যাবে। অন্যথায় এমন অন্যায়-দুর্নীতির বিকাশ আরও ঘটতে থাকবে।’
এ বিষয়ে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল সারাবাংলাকে বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদফতরের কিছু কিছু ব্যক্তি অনেক বছর ধরে এসব দুর্নীতি করছে। আসলে দুয়েকজনকে গ্রেফতারে কী লাভ, আমি জানি না। তাদের যারা প্রশ্রয় দিয়েছে, বড় হতে দিয়েছে এদেরকে ধরা উচিত। ড্রাইভারকে ধরে আর কী লাভ? চারদিন রিমান্ডে যাবে, দশদিন রিমান্ডে যাবে, পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি করবে এর বেশি তো কিছু হবে না। কিন্তু যারা তাকে প্রশ্রয় দিয়ে এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছে তাদের খুঁজে বের করা উচিত। সে তো আর একদিনে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়নি। এই আবদুল মালেকের বিরুদ্ধে অনেক আগে থেকেই প্রশাসনিক মামলা থেকে শুরু করে অনেক অভিযোগ ছিল।’
তিনি বলেন, ‘মালেক কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদফতরের সর্বোচ্চ ব্যক্তি অর্থাৎ মহাপরিচালকের ড্রাইভার ছিলেন। আগে ছিল আরেক ডিজির ড্রাইভার আর এখন হয়েছে স্বাস্থ্য শিক্ষার ডিজির ড্রাইভার। একজন ড্রাইভারের বিরুদ্ধে যদি অসংখ্য অভিযোগ থাকে আর সেগুলো যদি আমলে নেওয়া না হয় তবে কি কিছু বলার আছে? এমন একজন মালেক, শাহেদ করিম, সাবরিনা, ধরে কী লাভ যদি তাদের পেছনের মূল হোতাদের ধরা না যায়? সাহেদকে প্রশ্রয় তো আমলারাও দিয়েছে। তাদের কেন আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না? তাদের তো জীবনেও ধরতে পারবেন না। সুতরাং মিডিয়া বা আমরা হা-হুতাশ করে কোনো লাভ নেই। এক্ষেত্রে যারা তাদের প্রশ্রয় দিচ্ছে তাদের খুঁজে বের না করলে আসলে কোনো লাভ হবে না।’
এদিকে রোববার (২০ সেপ্টম্বর) ভোরে রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে অবৈধ অস্ত্র, জালনোটের ব্যবসা ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে র্যাব-১’র একটি দল আব্দুল মালেককে গ্রেফতার করে। তৃতীয় শ্রেণির সাধারণ কর্মচারী হয়েও ঢাকার বিভিন্ন স্থানে একাধিক বিলাসবহুল বাড়ি, গাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালিক স্বাস্থ্য অধিদফতরের গাড়িচালক আব্দুল মালেক ওরফে ড্রাইভার মালেক (৬৩)। জাল টাকার ব্যবসা ছাড়াও তিনি এলাকায় চাঁদাবাজিতে জড়িত। শুধু তাই নয়, গ্রেফতারের পর বিভিন্ন ব্যাংকে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ অর্থ গচ্ছিত রয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
গাড়িচালক চিকিৎসক চিকিৎসক বদলি তিনটি প্লটের মালিক নিয়োগ বাণিজ্য পদোন্নতি মো. আবদুল মালেক স্বাস্থ্য অধিদফতর