প্রতারণার অভিযোগে অবৈধ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান গ্রেফতার
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৮:৩৭
চট্টগ্রাম ব্যুরো: প্রতারণার অভিযোগে চট্টগ্রামে একটি অবৈধ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)। গ্রেফতার নারী এনজিওর আদলে সঞ্চয় ও ক্ষুদ্র ঋণদান সংস্থা খুলে গরীব-অসহায় মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল বলে জানিয়েছে র্যাব।
শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে নগরীর পাহাড়তলী থানার ডিটি রোডে ইউনিয়ন ব্যাংক ভবনের দশম তলায় প্রতিষ্ঠানের অফিসে অভিযান চালিয়ে পারভীন আক্তার (৫০) নামে ওই নারীকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাবের চট্টগ্রাম জোনের সহকারী পরিচালক সিনিয়র এএসপি কাজী মো. তারেক আজিজ সারাবাংলাকে বলেন, ‘পারভীন আক্তার স্বীকৃতি নামে এক নারী একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেন। শুরুতে প্রতিষ্ঠানটি সমবায় অধিদফিতর থেকে নিবন্ধিত ছিল। প্রতারণার অভিযোগ ওঠার পর ২০১৪ সালে সমবায় অধিদফতর প্রতিষ্ঠানটির নিবন্ধন বাতিল করে। এরপর পারভীন মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটিতে আবেদন করলেও নিবন্ধন পায়নি। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম তিনি বন্ধ করেননি।’
পারভীনকে গ্রেফতারের বিষয়ে র্যাব কর্মকর্তা জানান, নিম্ন আয়ের কয়েকজন ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের অভিযোগ- স্বীকৃতি সংস্থার প্রতিনিধিরা বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে নিম্ন আয়ের লোকজনের কাছ থেকে দৈনিক-সাপ্তাহিক ও মাসিক কিস্তিতে টাকা জমা নেন। সেই সঞ্চয়ের বিপরীতে স্বল্প হারে ঋণ দেন। কিন্তু মূল টাকা আর লাভ কোনোভাবেই ফেরত দেন না। ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকার বিনিময়ে প্রতিষ্ঠানে কর্মচারি নিয়োগ দেন। কেউ চাকরি ছেড়ে দিতে চাইলে তাদের চুরির মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিয়ে সেই টাকা আর ফেরত দেন না।
তারেক আজিজ বলেন, ‘পারভীন আক্তারের বিরুদ্ধে আরও বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ আমরা পেয়েছি। ম্যাজিস্ট্রেট সেজে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা, বিদেশ পাঠানোর নামে টাকা আদায় করেন। নিজেকে কখনও সাংবাদিক, কখনো পরিবেশ-মানবাধিকার কর্মী, এনজিও প্রধান, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের আইনজীবী- এ ধরনের নানা ভুয়া পরিচয় তিনি দেন এবং প্রতারণা করেন। এমনকি তিনি বিভিন্ন ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে অনুদানের আবেদন করেন। কয়েকদিন আগে একটি মন্ত্রণালয়ে ৬ কোটি ৩৫ লাখ ২৯ হাজার ৪০০ টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব জমা দিয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় এবং আদালতে ১০টিরও বেশি মামলা আছে।’