জোড়া খুনের মামলায় একজনের যাবজ্জীবন, ২ জন খালাস
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৯:৪০
ঢাকা: জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ফরিদপুরের চর টেপাখোলা মুন্সীডাঙ্গী গ্রামের শামসুল হক মীর দম্পতি হত্যা মামলায় তিন আসামির মধ্যে একজনকে ফাঁসি থেকে যাবজ্জীবন এবং দুই জনকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সুজন ব্যাপারীকে যাবজ্জীবন অপর আসামি নজরুল ইসলাম খালাস দিয়েছেন আদালত। এছাড়া নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মীর মো. তানভীর ওরফে খসরুকেও খালাস দিয়েছেন আদালত।
রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ ও বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিন এ রায় দেন। আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন সৈয়দ মিজানুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান।
পরে শাহীন আহমেদ খান জানান, এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে। আপিলের জন্য নোট দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।
২০১৫ সালের ১২ মে জোড়া খুনের জন্য ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবিএম নিজামুল হক দুইজনকে ফাঁসি এবং একজনের যাবজ্জীবন রায় ঘোষণা করেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের আপিল এবং ডেথ রেফারেন্সের অনুমোদনের জন্য হাইকোর্টে আসে। দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ এ রায় ঘোষণা করেন আদালত।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৬ অক্টোবর দুপুর ফরিদপুর শহরতলীর চর টেপাখোলার মুন্সীডাঙ্গী গ্রামের মালত পাড়ায় শামসুল হক মীর (৭০) ও তার স্ত্রী নারগিছ নাহার বেগম ওরফে শেলী (৬০) নামের এক বৃদ্ধ দম্পতিকে জবাই করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নিহতের একমাত্র ছেলে কামরুল আহসান মাসুদ বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই বছরের ১৭ নভেম্বর আসামিদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
মৃত শামসুল হক মীর অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন সংস্থার (বিআইডাব্লিওটিএ) অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলেন।