‘বান্ধবীর’ পাহারায় তরুণী ধর্ষণ: মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৮:২৬
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে কথিত বান্ধবীর পাহারায় তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার (২৮ নভেম্বর) গভীর রাতে নগরীর পতেঙ্গা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ নিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় এক তরুণীসহ মোট চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডবলমুরিং থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল ইসলাম মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতারের বিষয়টি সারাবাংলাকে জানিয়েছেন। মূল অভিযুক্ত চান্দু মিয়ার (৩৫) বাসা নগরীর ডবলমুরিং থানার সুপারিওয়ালাপাড়া এক নম্বর গলিতে। সে ওই থানায় কর্মরত অবস্থায় বরখাস্ত হওয়া উপ-পরিদর্শক (এসআই) হেলালের সোর্স হিসেবে এলাকায় পরিচিত ছিল বলে জানা গেছে।
রোববার রাতে চান্দু মিয়ার বাসায় আনুমানিক ২০ বছরের এক তরুণী ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগে ডবলমুরিং থানায় মামলা হয়। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করে। এরা হল- নুরী আক্তার (২০) ও তার স্বামী মো. অন্তর (২২) এবং রবিন হোসেন (২২) নামে আরেক যুবক।
পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ী, চান্দু মিয়ার চারতলা বাড়িতে ভাড়া থাকেন নুরী ও তার স্বামী। নুরী আগে থেকে চান্দুকে অসামাজিক কাজে সহযোগিতা করে আসছিল। আক্রান্ত তরুণী সপ্তাহখানেক আগে ফেনী থেকে নগরীর আগ্রাবাদে সিডিএ আবাসিক এলাকায় চাচার বাসায় বেড়াতে আসেন। তার চাচাতো বোনের বান্ধবী হল নুরী। সেই সুবাদে নুরীর সঙ্গেও ওই তরুণীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হয়। রোববার সন্ধ্যায় নুরী ওই তরুণীকে তার বাসায় বেড়াতে নিয়ে যায়। রাত সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে নুরী কৌশলে তাকে চান্দুর বাসায় পৌঁছে দেয়। বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে পাহারায় ছিল নুরী। চান্দু মেয়েটিকে ধর্ষণ করে।
ঘটনার পর নুরী ওই তরুণীকে তার চাচার বাসায় পৌঁছে দেয়। কিন্তু বিধ্বস্ত অবস্থা দেখে তরুণীকে বাসার লোকজন জিজ্ঞেস করলে তিনি সবকিছু খুলে বলেন। তখন তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ডবলমুরিং থানায় খবর দেওয়া হয়।
এসআই নুরুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘খবর পাওয়ার পর আমরা তিন জনকে গ্রেফতার করি। মূল অভিযুক্ত চান্দু পলাতক ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে চান্দুকে পতেঙ্গায় নিজামউদ্দিন আউলিয়া মার্কেটের পাশে একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করি। ঘটনার পর সে খালার বাসায় আত্মগোপনে ছিল।’