এইচএসসি পরীক্ষা গ্রহণে বোর্ডের তিন প্রস্তাব
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৯:০৪
ঢাকা: করোনাভাইরাস মহামারিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এ বছর জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) এবং প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা হচ্ছে না। আর তাই শিক্ষা প্রশাসনের সবচেয়ে বড় চিন্তা এখন উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষা গ্রহণ নিয়ে। তবে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এইচএসসি পরীক্ষা আয়োজনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে তিনটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবগুলোর মধ্যে পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি, সিলেবাস ও নম্বর সংক্ষিপ্ত করা।
জানা গেছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কিছু কমে এলে চলতি বছরেই পরীক্ষা নেওয়ার চিন্তা করা হচ্ছে। আর সে প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। মন্ত্রণালয়ে যে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে, তার পেছনের কারণও ব্যাখা করা হয়েছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়াতে বলা হয়েছে। আর সময় কম থাকার কারনে সিলেবাস ও নম্বর কমাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও মানবিক বিভাগের মূল বিষয়গুলোর পরীক্ষা নিয়ে মূল্যায়নের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনই কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি, প্রস্তাব পর্যলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক সারাবাংলাকে বলেন, ‘জেএসসি, জেডেসি পরীক্ষার বিকল্প মূল্যায়ন করা গেলেও এইচএসসি ও সমমানের বিকল্প মূল্যায়ন সম্ভব নয়। সেজন্য আমরা চলতি শিক্ষাবর্ষে যতটুকু সময় পাবো তারমধ্যেই এইচএসসি পরীক্ষা আয়োজনের চিন্তা করছি। দেশের সব শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে নিয়ে বৈঠকে করানোভাইরাসের সংক্রমণ মাথায় রেখেই আমরা কিছু প্রস্তাব তৈরি করে পাঠিয়েছি। এখন সিদ্ধান্ত নেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে সবকিছু নির্ভর করবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমে আসার ওপরে।’
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বিপাকে রয়েছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নিয়ে। ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি পরীক্ষা গ্রহণ করা গেলেও ১ এপ্রিল এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়ার কথা ছিলো। যা করোনাভাইরাসের কারনে স্থগিত করা হয়। ফলে গত ছয় মাসেও এই পরীক্ষা গ্রহণ সম্ভব হয়নি। এদিকে চলতি শিক্ষাবর্ষও শেষের দিকে। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে, সে করনীয় ঠিক করতে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয়ক বোর্ডকে পরিকল্পনা করে প্রস্তাব তৈরি করতে বলা হয়। সে অনুযায়ী গত ২৪ সেপ্টেম্বর বৈঠক করে তিনটি প্রস্তাব পাঠানো হয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে।
এদিকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে চলমান শিক্ষা পরিস্থিতি নিয়ে আগামীকাল ৩০ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলন করবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সেখানে তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়ে এবং এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা গ্রহণসহ সার্বিক বিষয়ে জানাবেন বলে জানানো হয়েছে।