মিয়ানমার-পাকিস্তান থেকে এসেছে ১৭০ টন পেঁয়াজ
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৯:০৫
চট্টগ্রাম ব্যুরো: ভারত রফতানি বন্ধের পর মিয়ানমার ও পাকিস্তান থেকে এসেছে ১৭০ মেট্রিকটন পেঁয়াজ, যদিও প্রায় দেড় লাখ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতিপত্র নেওয়া হয়েছে গত একমাসে। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, বিকল্প দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। আরও পেঁয়াজ দ্রুততম সময়ের মধ্যে আসবে।
সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস হয়েছে মিয়ানমার থেকে আসা ৫৪ মেট্রিকটন পেঁয়াজ।
চট্টগ্রামের কায়েল এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান এসব পেঁয়াজ আমদানি করেছে। এছাড়া গ্রিন ট্রেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান পাকিস্তান থেকে এনেছে ১১৬ মেট্রিকটন পেঁয়াজ। সেগুলো চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাসের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।
দেশে কৃষিজাত পণ্য আমদানি ও আমদানির পর ছাড়ের জন্য অনুমতিপত্র নিতে হয় সামুদ্রিক বন্দর উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের কাছ থেকে। প্রতিষ্ঠানটির চট্টগ্রামের উপপরিচালক মো. আসাদুজ্জামান বুলবুল সারাবাংলাকে বলেন, ‘গত ৩ সেপ্টেম্বর থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আমাদের কাছ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতিপত্র নেওয়া শুরু করে। সেই অনুমতিপত্রের ভিত্তিতে মিয়ানমার থেকে ৫৪ মেট্রিকটন এবং পাকিস্তান থেকে ১১৬ মেট্রিকটন পেঁয়াজ চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে। খালাসের ছাড়পত্রও আমরা দিয়েছি।’
গত ১৪ সেপ্টেম্বর ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদফতর পেঁয়াজ রফতানি নিষিদ্ধের ঘোষণা দেয়। এর আগে গত বছরের (২০১৯) ২৯ সেপ্টেম্বরও ভারত সরকার পেঁয়াজ রফতানি পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছিল। এর প্রভাবে ২০১৯ সালে পেঁয়াজের কেজি ৩০০ টাকায় গিয়ে পৌঁছেছিল। এবার দেশের বাজারে পেঁয়াজের কেজিপ্রতি দামও রফতানি বন্ধের আগের চেয়ে কমপক্ষে তিনগুণ বেড়েছে
ভারত রফতানি বন্ধের আগেই অবশ্য ৩ সেপ্টেম্বর থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতিপত্র নিতে শুরু করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছোটবড় ৭৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৩২৯টি ছাড়পত্রের বিপরীতে ১ লাখ ৫০ হাজার ৯৫৫ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আসাদুজ্জামান বুলবুল। তিনি জানান, ১২টি দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতিপত্র নেওয়া হয়েছে। এসব দেশ হচ্ছে- চীন, মিয়ানমার, পাকিস্তান, তুরস্ক, মিশর, নেদারল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ভারত, ইউক্রেন, দক্ষিণ আফ্রিকা ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
২০১৯ সালে ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের পর দুইমাসে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পত্র ইস্যু হয়েছিল ১ লাখ ১ হাজার ৫২৬ মেট্রিকটনের। কিন্তু পেঁয়াজ এসেছিল ১৩৩টি ছাড়পত্রের বিনিময়ে মাত্র ১২ হাজার ১৭৩ মেট্রিকটন। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানই ছাড়পত্র নিলেও পেঁয়াজ আমদানি করেনি।