সিএমএসডির ৬ কর্মকর্তাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৯:২৩
ঢাকা: করোনার জন্য ডাক্তার ও নার্সদের সুরক্ষা সামগ্রী হিসেবে নকল এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহের অভিযোগে কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের (সিএমএসডি) ৬ কর্মকর্তা ও জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এর উপপরিচালক মো. নূরুল হুদা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন বলে দুদক সূত্রে জানা গেছে।
মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন- সিএমএসডি’র উপপরিচালক ডা. জাকির হোসেন, সহকারী পরিচালক (স্টোরেজ অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন) ডা. শাহজাহান সরকার, চিফ কো-অর্ডিনেটর ও ডেস্ক অফিসার জিয়াউল হক, ডেস্ক অফিসার (বর্তমানে মেডিক্যাল অফিসার, জামালপুর) সাব্বির আহমেদ, স্টোর অফিসার (পিআরএল ভোগরত) কবির আহমেদ, সিনিয়র স্টোর কিপার ইউসুফ ফকির এবং জেএমআই গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক।
এদিকে মামলা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে দুদক পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে একটি টিম জেএমআই’র চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাককে গ্রেফতার করে।
এর আগে গত ১০ জুন কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জাম ক্রয়সহ বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদফতর এবং বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ওষুধাগারের (সিএমএসডি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে। অবশেষে দুর্নীতি পাওয়ায় মামলা করল কমিশন।
এদিকে মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত অথবা সন্দেহভাজন রোগীদের চিকিৎসা করার জন্য ডাক্তার-নার্স এবং অন্যান্যদের সুরক্ষায় এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহের জন্য জেএমআই গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি করেছিল সরকার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জেএমআই গ্রুপ এন-৯৫ মাস্কের নামে ২০ হাজার ৬১০টি মাস্ক সরবরাহ করে। পরবর্তীতে দেখা যায় যে ওই মাস্কগুলো প্রকৃতপক্ষে এন-৯৫ মাস্ক নয়। সেগুলো ১০টি প্রতিষ্ঠানে বিতরণ করা হয়।
এন-৯৫ মাস্ক এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক এমডির বিরুদ্ধে দুদকের মামলা কেলেঙ্কারি মামলা সিএমএসডি