Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘নতুন মহামারি মোকাবিলার জন্যও প্রস্তুত হতে হবে’


৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৫:৪১

আমাদেরই কোনো শহর থেকে কয়েক মাইল দূরে অথবা চীনের গুয়াংডং প্রদেশের গভীর অন্ধকার কোনো গুহায় তারা হয়তো ঘাপটি মেরে আছে। হয়তো মালয়েশিয়ার কিনাবাতাং নদী তীরের কোনো সুউচ্চ বৃক্ষের শামিয়ানায় বসে চুপিসারে কথা বলে চলেছে কিংবা আমাজন জঙ্গলের আদিমতম কোনো প্রাণীর শরীরে সুপ্ত অবস্থায় রয়েছে ‘ডিজিস-এক্স’ ভাইরাস। যা করোনাভাইরাসের মতোই যেকোনো সময় মানুষ জাতির জন্য মহামারি আকারে ধেয়ে আসতে পারে।

বিজ্ঞাপন

অনাগত এই মহামারিকেই ডিজিস-এক্স নামে নামকরণ করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণা তালিকায় ‘টপ প্রায়োরিটি’ লিস্টে সার্স ও ইবোলার পাশাপাশি রয়েছে ডিজিস-এক্স ভাইরাস।

ইকো হেলথ অ্যালাইয়েন্স-এর তথ্য অনুসারে, বিশ্বে ১ দশমিক ৬৭ মিলিয়ন অপরিচিত ভাইরাস রয়েছে। তার মধ্যে ৬ লাখ ৩১ হাজার থেকে ৮ লাখ ২৭ হাজার প্রকারের ভাইরাসের মানুষকে আক্রান্ত করার ক্ষমতা রয়েছে। তবে বিজ্ঞানীদের কাছে এখন পর্যন্ত মাত্র ২৬৩ প্রকার ভাইরাসের বিষয়ে সুস্পষ্ট তথ্য আছে, যা মানুষকে আক্রান্ত করতে পারে। অর্থাৎ ৯৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ ভাইরাসের বিষয়ে মানুষের কাছে কোনো তথ্য নেই।

এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ডা. টেড্রস অ্যাডহ্যানম গ্রেব্রেইয়েসুস জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯-ই বিশ্বের শেষ মহামারি নয়। তাই পরবর্তী মহামারির জন্যও বিশ্বকে আগাম প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

ডা. টেড্রস অ্যাডহ্যানম বলেন, ‘পরবর্তী মহামারি আসার আগেই বিশ্বকে এতটা প্রস্তুত থাকতে হবে, যতটা করোনাভাইরাসের সময় আমরা ছিলাম না।’

বিশ্বের রাষ্ট্রপ্রধানদের স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে ডা. টেড্রস বলেন, ‘বিশ্বের অনেক দেশই এতদিন তাদের স্বাস্থ্যখাতকে অবহেলা করে এসেছে, এর ফলে তাদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাটুকুও ভেঙে পড়েছে। একটি দেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার প্রধান ভিত্তি জনগণের সুস্বাস্থ্য। এর জন্য রোগপ্রতিরোধ, শনাক্ত ও প্রতিকারের জন্য বিনিয়োগ বাড়ানো প্রয়োজন।’

এখন পর্যন্ত সারাবিশ্বে ১০ লাখেরও বেশি মানুষের মুত্যু হয়েছে মহামারি করোনাভাইরাসে।

বিজ্ঞাপন

করোনা কোভিড ডিজিস-এক্স মহামারি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর