‘দুর্নীতির আখড়া’ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের পে অ্যান্ড ক্যাশ অফিস
১ অক্টোবর ২০২০ ১৭:৪১
ঈশ্বরদী: পাবনার ঈশ্বরদীতে থাকা বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চল বিভাগের পে অ্যান্ড ক্যাশ অফিস বা বিভাগীয় বেতন ব্যবস্থাপকের কার্যালয় ‘দুর্নীতির আখড়া’ হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ রেলওয়ের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। এই অফিস থেকে প্রতিমাসে ২ হাজার ৪০০ এর বেশি লোক পেনশন তোলেন। তবে জীবনের শেষ সম্বল এই পেনশনের টাকা তুলতে এসে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় বয়স্ক নারী-পুরুষদের।
পেনশন উত্তোলনকারীরা জানান, পেনশন তুলে ফেরার পথে বকশিসের নামে অফিস কর্মচারীদের দিতে হয় ৫০-২০০ টাকা পর্যন্ত। না দিলে পরবর্তী মাস থেকে চরম ঝামেলায় পড়তে হয়। এসব বিষয়ে তবে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অধিকাংশ পেনশন উত্তোলনকারীদের।
গত দুইমাসে পেনশনের টাকা দেওয়ার সময় অফিসের ভেতরে ও আশেপাশে সরেজমিনে দেখা যায়, ‘পে অ্যান্ড ক্যাশ’ অফিসে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া কর্মচারী রেজাউল, মোহন ও মোহাম্মদ আলী পেনশন উত্তোলনকারীদের কাছ থেকে অনৈতিকভাবে অর্থ আদায় করছেন। পেনশনারদের কাছ থেকে এভাবে প্রতিমাসে আদায় করা হয় দুই লাখ টাকার বেশি। পরে এসব টাকা ভাগ বাটোয়ারা করে নেন অফিসের সবাই।
সম্প্রতি এসব দুর্নীতিরোধে বাংলাদেশ রেওলওয়ে পেনশনের টাকা ব্যাংকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একারণে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা নেওয়া হচ্ছে। এ বাবদেও জনপ্রতি নেওয়া হচ্ছে ৫০০ টাকা।
জানতে চাইলে বিভাগীয় বেতন ব্যবস্থাপক আনোয়ার হোসেন প্রথমে বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার অফিসে এসব হয় না।’ পরে অর্থ নেওয়ার কিছু চিত্র তাকে দেখানো হলে তিনি স্পষ্ট করে উত্তর দিতে পারেননিনি। একপর্যায়ে তিনি বলেন, ‘আমি অফিস কর্মচারীদের ডেকে বিষয়টি জিজ্ঞেস করবো। যারা এসব দুর্নীতির সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঈশ্বরদী ক্যাশ অফিস দুর্নীতির আখড়া বিভাগীয় বেতন ব্যবস্থাপকের কার্যালয় রেলওয়ে