Monday 09 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘অনলাইনে যৌন হয়রানি- প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে যাচ্ছেন নারীরা’


৫ অক্টোবর ২০২০ ১৩:৫৪ | আপডেট: ৫ অক্টোবর ২০২০ ১৫:৩০
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এক বৈশ্বিক গবেষণা থেকে দেখা গেছে, শতকরা ৬০ ভাগ নারী অনলাইনে যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন। ফলশ্রুতিতে, প্রতি পাঁচজন নারী ব্যবহারকারীর মধ্যে একজন সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম (ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার) ছেড়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। খবর রয়টার্স।

২২ দেশের ১৫ থেকে ২৫ বছর বয়সী ১৪ হাজার নারীর ওপর প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল এই গবেষণা চালিয়েছে। তাদের মধ্যে ব্রাজিল, ভারত, নাইজেরিয়া, স্পেন, থাইল্যান্ড এবং যুক্তরাষ্ট্রের নারীরাও রয়েছেন।

নারী অধিকার নিয়ে কাজ করা প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, কম বয়সী নারীদের লক্ষ্য করে অনলাইনের যৌন হয়রানি চলে। এমনকি গবেষণায় অংশ নেওয়া কয়েকজন নারী বলেছেন, আট বছর বয়স থেকে তারা অনলাইনে যৌন হয়রানির মুখে পড়েছেন।

বিজ্ঞাপন

এ ব্যাপারে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের প্রধান নির্বাহী অ্যান্নে বিরগিট্টে অ্যালব্রেক্টসেন বলেছেন, নারী প্রতি এমন বীভৎস আচরণ করা হচ্ছে যে তারা ভয়েই মুখ খুলছেন না।

এদিকে ওই জরিপে অংশ নেওয়া নারীদের মধ্যে ৩৯ শতাংশ বলেছেন তারা ফেসবুকে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। ইনস্টাগ্রামে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন ২৩ শতাংশ নারী। হোয়াটসঅ্যাপের ক্ষেত্রে এই পরিমাণ ১৪ শতাংশ। স্ন্যাপচ্যাটে ১০ শতাংশ, টুইটারে ৯ শতাংশ এবং টিকটকে ছয় শতাংশ নারী যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই বৈশ্বিক মহামারির মধ্যে যখন অনলাইনে যোগাযোগ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে তখন নারীরা যৌন হয়রানির শিকার হয়ে অনলাইন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। যা একইসঙ্গে উদ্বেগ এবং শঙ্কার জন্ম দিচ্ছে।

প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযগের প্লাটফর্মগুলোর কর্ণধার প্রতিষ্ঠান এবং সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষকে একীভূত করার মাধ্যমে নারীর প্রতি অনলাইনে সহিংসতা দূরীকরণে পদক্ষেপ গ্রহণ এবং কঠোর আইন প্রনয়নের দাবি তোলা হয়েছে।

অন্যদিকে, ওই গবেষণা থেকে আরও দেখা গেছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে যদি কোনো নারী যৌন হয়রানির শিকার হয়, তাহলে তার রিপোর্ট করার সুযোগ অত্যন্ত অপ্রতুল।

এছাড়াও, ওই গবেষণায় অংশ নেওয়া অর্ধেক নারী কখনো না কখনো অনলাইনে যৌন হয়রানি বা শ্লীলতাহানির হুমকি পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকের জন্যই ওই হুমকি পরবর্তীতে মানসিক পীড়ার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকেই শারীরিকভাবে নিরাপত্তাহীনিতায় ভুগতে শুরু করেছেন।

এ ব্যাপারে ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামের পক্ষ থেকে বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানানো হয়েছে, তারা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) ব্যবহারের মাধ্যমে অনলাইনে নারীর প্রতি সহিংসতা এবং যৌন হয়রানির মতো ব্যাপারগুলো নজরদারি এবং দমনের লক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন।

পাশাপাশি, ব্যবহারকারীদের তরফ থেকে অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তারা ওই ধরনের কন্টেন্ট এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছেন।

অপরদিকে, টুইটারের পক্ষ থেকেও নারীর প্রতি অনলাইন সহিংসতার বিরুদ্ধে তাদের জিরো টলারেন্স অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

অনলাইন ইনস্টাগ্রাম টুইটার নারীর প্রতি সহিংসতা ফেসবুক যৌন হয়রানি হোয়াটসঅ্যাপ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর