‘আমদানি করা পেঁয়াজ দেশে পৌঁছাতে শুরু করেছে’
৬ অক্টোবর ২০২০ ২০:১৯
ঢাকা: সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আমদানি করা পেঁয়াজ দেশে পৌঁছাতে শুরু করেছে। এছাড়া দেশীয় পেঁয়াজের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। উৎপাদনকারী কৃষকরা এসব পেঁয়াজ বাজারে বিক্রি করছেন। ফলে পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। দেশে পেঁয়াজের কোনো ঘাটতি নেই। আমদানিকৃত পেঁয়াজ পুরোপুরি বাজারে এলে দাম আরও কমে আসবে।
মঙ্গলবার(৬ অক্টোবর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আব্দুল লতিফ বকসীর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ক্রেতাদের সাশ্রয়ী মূল্যে পেঁয়াজ সরবরাহের উদ্দেশ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) দেশব্যাপী ট্রাক সেলের পাশাপাশি ই-কমার্সের মাধ্যমেও পেঁয়াজ বিক্রি করছে। এতে ক্রেতাদের ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। ক্রেতাদের চাহিদা পূরণে প্রতিকেজি ৩০ টাকা মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রির পরিধি আরও বাড়ানো হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, চাহিদা মোতাবেক বাজারে পেঁয়াজের মজুদ, সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রাখতে গত বছরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরসহ দেশব্যাপী স্থানীয় প্রশাসনের নেতৃত্বে অভিযান জোরদার করা হয়েছে। সরকার পেঁয়াজ আমদানির ওপর শুল্ক প্রত্যাহার করেছে। আমদানিকারকদের চাহিদা মোতাবেক সবধরনের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ, পরিবহনসহ সবক্ষেত্রে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। সরকারের নানামুখী পদক্ষেপের ফলে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। শিগগিরই বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ দেশে পৌঁছাবে।
পেঁয়াজ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। পেঁয়াজের অবৈধ মজুদ বা কৃত্তিম সংকট সৃষ্টি করে মূল্য বাড়ানোর চেষ্টা করা হলে সরকার প্রচলিত আইনে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।