চট্টগ্রাম ব্যুরো: নোয়াখালীতে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনসহ সারাদেশে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের দাবিতে চট্টগ্রামে মশাল মিছিল করেছে ছাত্র ও যুব ইউনিয়ন। মিছিলপূর্ব সমাবেশ থেকে বক্তারা ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন বন্ধে বিচারহীনতার সংস্কৃতির অবসানের দাবি জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নগরীর চেরাগির মোড়ে সমাবেশ শেষে মশাল মিছিল বের হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘দেশের প্রতিটি প্রান্তে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। নারীর প্রতি সহিংসতার যেন উৎসব শুরু হয়েছে। অতীতেও একের পর এক ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনার দৃশ্যমান প্রতিকার না হওয়ায় অথবা আইনের ফাঁক গলে অপরাধীরা দায়মুক্তি পাওয়ায় দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। এই বিচারহীনতার সংস্কৃতিই দেশে ক্রমবর্ধমান ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের মূল কারণ।’
তারা বলেন, ‘যেকোনো ঘটনার পর গ্রেফতারই বড় কথা নয়। বিশেষ ট্রাইব্যুনালে দ্রুত বিচার করতে হবে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। আমরা দেখেছি, রাজনৈতিক অপশক্তির পৃষ্ঠপোষকতা অপরাধীদের বেপরোয়া করে তুলেছে। এই ধর্ষক-নির্যাতনকারীদের আশ্রয়দাতা কথিত বড় ভাইদের তাদের খুঁজে বের করে শাস্তি দিতে হবে। রাজনৈতিক প্রশ্রয় না পেলে এমন সীমাহীন অপরাধ প্রবণতার সৃষ্টি হতো না।’
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন যুব ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল শিকদার, ছাত্র ইউনিয়ন জেলার সভাপতি এ্যানি সেন, যুবনেতা শ্যামল লোধ, জাবেদ চৌধুরী, রাশিদুল সামির, ইমরান চৌধুরী, গৌরচাঁদ ঠাকুর অপু, মাহবুবা জাহান রুমি, আশরাফি নিতু, টিকলু কুমার দাশ।
সমাবেশ শেষে মশাল মিছিল শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এতে ছাত্র ইউনিয়ন ও যুব ইউনিয়নের পাশাপাশি উদীচী কর্মীরাও অংশ নেন।