Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

অবৈধ অটোরিকশায় ‘আয়’ মাসে ২০ কোটি, বড় অংশ পুলিশের পকেটে


৭ অক্টোবর ২০২০ ১১:১৭

ঢাকা: পরিবেশ দূষণ ও বিদ্যুতের অপচয় রোধে ব্যাটারিযুক্ত রিকশা সড়কে চলাচলে অনুমোদন নেই সরকারের পক্ষ থেকে। ফলে ব্যাটারিচালিত এসব অটোরিকশা কার্যত অবৈধ। তবুও থেমে নেই এমন অটোরিকশার ব্যবহার। বরং দিন দিন রাজধানীর সড়কগুলোতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

এদিকে, অটোরিকশার চালক ও মালিকরা বলছেন, বিধি অনুযায়ী অবৈধ হলেও রাস্তায় চলতে তাদের কোনো অসুবিধা হয় না। কারণ একদিকে যেমন এলাকার নেতাদের ‘ম্যানেজ’ করে চলেন, তেমনি সড়কে তাদের বিরুদ্ধে যাদের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা, সেই পুলিশ তাদের কাছে ‘ম্যানেজড’। অটোরিকশা চলাচল বন্ধ হলে এই দুই পক্ষ, নেতা ও পুলিশ— উভয়ে বড় অঙ্কের মাসোহারা হারাবে। সে বিবেচনায় অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করার রাস্তা সহজ নয়।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, এসব অটোরিকশার চালক ও মালিকদের কাছ থেকে মাসোহারা তোলা হয় নিয়মিত। প্রতি মাসে এর পরিমাণ ২০ থেকে ৩০ কোটি টাকা পর্যন্ত। সে হিসাবে বছরে আড়াই থেকে সাড়ে তিনশ কোটি টাকা চাঁদা দিয়ে থাকেন অটোরিকশার চালক-মালিকরা! অভিযোগ রয়েছে, এসব টাকার ভাগ স্থানীয় নামধারী কিছু নেতাকর্মী ও থানা পুলিশের মধ্যে ‘ভাগ-বাটোয়ারা’ হয়। এই বিপুল অঙ্কের অর্থের উৎস সহজে বন্ধ করতে রাজি নন কেউ। ফলে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে বিচ্ছিন্নভাবে বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হলেও রাজধানীর রাজপথে বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা।

অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণকারীরা যদি অপরাধকে প্রশ্রয় দেয়, তবে প্রতিবাদকারীদের নিরব দর্শক হওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। কারণ অপরাধ নিয়ন্ত্রণকারীরাই তখন অপরাধী বনে যান। অটোরিকশার ক্ষেত্রে ঘটছে সেটিই। সরকারপ্রধানের পক্ষ থেকে প্রত্যক্ষ নির্দেশনা না এলে এই ‘মিউচুয়াল ক্রাইম’ বন্ধ হওয়ার কোনো আশা নেই— এমনটিই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সরেজমিনে রাজধানীর মুগদা, মান্ডা, হাজারীবাগ, জিগাতলা, কামরাঙ্গীরচর, দক্ষিণখান, মোহাম্মদপুর, বাড্ডা, জুরাইন, যাত্রাবাড়ী, শনির আখড়া, ডেমরা, বাসাবো ও মাদারটেকসহ রাজধানীর ছোট বড় প্রায় ৫০টি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি এলাকাতেই ব্যাটারিচালিত রিকশার উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। বিভিন্ন এলাকার রিকশাচালক ও মালিকদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, এই সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।

চালক-মালিকরা বলছেন, অটোরিকশা চালানোর জন্য প্রতিটি এলাকাতেই সুনির্দিষ্ট ‘ব্যবস্থা’ আছে। থানা পুলিশ ও স্থানীয় নেতাদের যৌথ উদ্যোগে ‘লাইনম্যান’দের মাধ্যমে প্রতিটি রিকশার জন্য একটি করে কার্ড ইস্যু করা হয়। এই কার্ডে উল্লেখ থাকে, কোন অটোরিকশা কোন এলাকা পর্যন্ত চলতে পারবে। আর এই কার্ডের জন্য প্রতি মাসে কমপক্ষে একহাজার টাকা করে দিতে হয় লাইনম্যানকে। তবে যেসব এলাকা ভিআইপি হিসেবে পরিচিত (ধানমন্ডি, মতিঝিল, মিরপুরের মতো এলাকা), সেসব এলাকায় এই ‘লাইন খরচ’ তথা মাসিক চাঁদার পরিমাণ ২ হাজার টাকা। এই টাকা না দিলে নির্ধারিত এলাকার মধ্যে অটোরিকশা চালানো সম্ভব হয় না। অন্যদিকে কোনো অটোরিকশা কার্ডে উল্লেখ করা এলাকার বাইরে গেলে সেটি ধরা পড়লে আবার ট্রাফিক পুলিশকে ‘খুশি করে’ গাড়ি ছাড়িয়ে আনতে হয়। তাতে একেকবার খরচ সর্বনিম্ন ২০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ দুই হাজার টাকা পর্যন্ত।

মান্ডা এলাকায় অটোরিকশা চালান— এমন একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে সারাবাংলাকে বলেন, প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা করে দিচ্ছি। প্রায় আড়াই বছর ধরে গাড়ি চালাচ্ছি। কিন্তু কয়েক মাস আগে এক যাত্রী নিয়ে কমলাপুর রেল স্টেশনে গিয়ে বিপদে পড়েছিলাম। সেখানে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে ফেরার পথে এক ট্রাফিক পুলিশ রিকশা আটকায়। এরপর কার্ড দেখাই। উনি বলেন, এইটা শুধু বিশ্বরোডের মাথা পর্যন্ত চালানোর জন্য। পরে দেড় হাজার টাকা দিয়ে রিকশা ছাড়াতে হয়।

হাজারীবাগের আরেক রিকশাওয়ালাও জানালেন, মাসে ‘লাইন ভাড়া’ গুনতে হয় এক হাজার টাকা। হাজারীবাগ-জিগাতলা ‘রুটে’ গাড়ি চালানোর অনুমতি আছে তাদের। এলাকার বাইরে গেলে খরচ বেড়ে যায়। ওই রিকশাচালক বলেন, সব জায়গায় তো রিকশা চালানো যায় না। আমরা যদি ঝিগাতলা পার হয়ে ধানমন্ডি ঢুকি, তাইলে ট্রাফিক আটকালেই পাঁচশ টাকা থেকে একহাজার টাকা নিবেই। আবার ধানমন্ডির কার্ড আলাদা। তাদের দিতে হয় মাসে দুই হাজার টাকা।

রিকশাচালকরা জানালেন, প্রতিটি এলাকার জন্য কার্ডের রঙ হয় আলাদা। আবার একেক এলাকার কার্ডে চিহ্নও থাকে আলাদা আলাদা। কোনো এলাকার কার্ডে থাকে কাঁঠাল, তো কোনো এলাকার কার্ডে ইলিশ মাছের দেখা মিলবে। একইভাবে নানা ধরনের ফুল ও ফল ব্যবহার করা হয়ে থাকে বিভিন্ন এলাকার চিহ্ন হিসেবে।

‘লাইন ভাড়া’র টাকা কার কাছে জমা দেন— জানতে চাইলে রিকশাচালকরা বলেন, আমরা যতটুকু জানি এ টাকা পুলিশের কাছে যায়। তবে সরাসরি পুলিশ এ টাকা তোলে না। আমরা জমা দেই লাইনম্যানের কাছে। কিন্তু টাকা না দিলে পুলিশ রিকশা রেকার করে। কার্ড যাদের আছে, তাদের আটকাবে না।

হাজারীবাগ, কামরাঙ্গীরচর ও উত্তরার দক্ষিণখান এলাকার তিন লাইনম্যানের সঙ্গে কথা হয় সারাবাংলার। তারা কেউই নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি। তারা জানান, অটোরিকশা থেকে একসময় স্থানীয় নেতারা মাসোহারা তুলতেন। গত কয়েকবছর ধরে এই টাকার সিংহভাগ দিতে হয় স্থানীয় থানাকে। সেখানকার কর্মকর্তাদের মধ্যে এই টাকা ভাগ হয়। আর বাকি একটি অংশ যায় স্থানীয় নেতাদের পকেটে। আর পুলিশ বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারাও পুরো প্রক্রিয়া সম্পর্কে অবহিত বলে দাবি তাদের। সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তাই তাদের সাফ কথা— ‘পত্রিকায় খবর ছাপলেও কিছুই হবে না।’

রিকশা নিয়ে কাজ করে— এমন সংগঠনগুলোর তথ্য, রাজধানীতে ন্যূনতম দুই লাখ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলছে। কোনো কোনো সংগঠন বলছে, এই সংখ্যা প্রায় তিন লাখ। চালক-মালিকদের দেওয়া তথ্য বলছে, এসব রিকশাকে প্রতি মাসে এক থেকে ‍দুই হাজার টাকা দিতে হয়। সেক্ষেত্রে ন্যূনতম দুই লাখ রিকশার প্রতিটির জন্য মাসে একহাজার টাকা চাঁদা ধরলেও সেখান থেকে আসে ২০ কোটি টাকা। তিন লাখ রিকশা ধরলেই সেই অঙ্ক ৩০ কোটি! সে হিসাবে বছরে আড়াই থেকে সাড়ে তিনশ কোটি টাকার লেনদেন হচ্ছে এসব অটোরিকশাকে ঘিরে। রিকশাচালকদের মতো একটি প্রান্তিক পেশাজীবীর পকেট থেকেই এই বিপুল অঙ্কের টাকা বেরিয়ে যাচ্ছে। অথচ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হচ্ছে না একটি টাকাও। বরং এসব অটোরিকশা পরিবেশের জন্য সুখকর নয়— এমনটিই মত পরিবেশবিদসহ সংশ্লিষ্টদের।

রাজধানীর সড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচলের বিরোধী বাংলাদেশ রিকশা-ভ্যান শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইনসুর আলী। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, গত প্রায় এক দশকে রাজধানীসহ সারাদেশে ব্যাটারিচালিত রিকশার দৌরাত্ম্য বেড়েছে। কিন্তু এসব রিকশার ব্যাটারি তিন থেকে ছয় মাস পর অকেজো হয়ে যায়। সেইঅকেজো ব্যাটারি নিঃশেষ করার কোনো উপায় দেশে নেয়। যে কারণে এটি পরিবেশের জন্য চরম ক্ষতি। আবার এ রিকশার ব্যাটারি চার্জ করতে গিয়ে বিদ্যুৎ খরচ হয়। তাই আমরা চাই না, এসব অটোরিকশা চলুক। আমরা দুই সিটি করপোরেশনকে একাধিকবার লিখিতভাবে বলেওছি এসব রিকশা উচ্ছেদ করার জন্য।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শ্রমিক লীগের শীর্ষ এক নেতার অভিমত, পুলিশ চাইলে একদিনের মধ্যেই অটোরিকশা বন্ধ করে দেওয়া সম্ভব। সেটি বন্ধ না হওয়ার পেছনের কারণটা ‘ওপেন সিক্রেট’ বলে মন্তব্য তার। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, অটোরিকশা থেকে নামধারী কিছু কথিত নেতারা টাকা তোলেন— এটা সত্য। তবে এসব নেতারা প্রকৃত দলীয় নেতা নয়। তারা যখন যে সরকার ক্ষমতায় আসে, সে সরকার দলীয় নেতাদের সঙ্গে মিশে গিয়ে এসব করে। কিন্তু এর জন্য অবশ্যই থানা প্রশাসন দায়ী। কারণ থানা প্রশাসন যদি আজকেই চায়, আজকেই অটোরিকশা বন্ধ করা সম্ভব। তাহলে তারা কেন বন্ধ করছে না? আমার মনে হয়, এটার কারণ সবাই জানে।

বুয়েটের গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শামছুল হক ক্ষোভ জানিয়ে সারাবাংলাকে বলেন, দুই লাখ হোক কিংবা তিন লাখ— সংখ্যাটা কোনো বিষয় না। বিষয়টা হলো এতসংখ্যক অবৈধ রিকশা দেদারছে চলছে। অথচ যারা এটি নিয়ন্ত্রণ করবে, তারা এ বিষয়ে কিছুই বলছে না। উল্টো সাধারণ মানুষেরা প্রতিবাদ করতে গেলে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। দুঃখের বিষয় হলো— যাদেরকে এসব অনিয়ম নির্মূলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাদের দ্বারাই অনিয়ম ঘটছে। এখন প্রতিবাদী জনগণের ঐক্য কিংবা অনিয়মকারীদের ভেতরে আল্লাহর রহমত বর্ষণ ছাড়া এই সমস্যা সমাধানের কোনো আশা নেই।

একই কথা বললেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল‍্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক এবং সমাজ ও অপরাধ গবেষক তৌহিদুল হক। তিনি বলেন, অপরাধীর সঙ্গে এক হয়ে অপরাধ নিয়ন্ত্রণকারীরা যখন একই অপরাধে জড়িয়ে যায়, তখন এটাকে বলা হয় মিউচুয়াল ক্রাইম। এখানে যারা আমার সড়কের শৃঙ্খলার জায়গাটি ফিরিয়ে আনবে, মানুষকে সড়কে বিধিনিষেধ অনুযায়ী সড়কে চলার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে, কেউ নিয়ম ভঙ্গ করলে আইনি ব্যবস্থা নেবে এবং মানুষকে ও বাহনকে মানুষের জীবন ও জীবিকার সঙ্গে সম্পৃক্ত করবে— তারাই এখন মিউচুয়াল ক্রাইমে জড়িত। ফলে আমাদের আশার জায়গাটা খুবই সংকুচিত হয়ে গেছে। এখন নাগরিকরা অনিয়মের বিরুদ্ধে লড়তে পারে। কিন্তু তারা তো আইন পরিবর্তন করতে পারবে না। ফলে আইন প্রয়োগ যারা করবেন, তাদের ভূমিকাটাই জোরালো হতে হবে। সেটা করানোর জন্য প্রয়োজনে তাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে হবে।

মাসে মাসে ‘লাইন ভাড়া’র নামে চাঁদাবাজিতে অতীষ্ঠ রিকশাচালকেররাও। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা যদি অবৈধ এবং ক্ষতিকর হয়, তাহলে সরকার উদ্যোগ নিয়ে এই রিকশার চলাচল একেবারেই বন্ধ করে দিক— এমনটিও বলছেন তাদের কেউ কেউ।

অটোরিকশার ‘লাইন ভাড়া’ থানায় থানায় জমা হওয়ার বিষয়ে জানতে পুলিশের ঊর্ধ্বতন একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তাদের কেউ কথা বলতে রাজি হননি। পরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সহকারী কমিশনার পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সারাবাংলাকে বলেন, ‘বিষয়টি এখন ওপেন সিক্রেট হয়ে গেছে। সরকারের নজরে না এলে কোটি টাকার চাঁদাবাজির এ প্রক্রিয়া বন্ধ হবে না।’ এই চাঁদাবাজির জন্য কিছু ‘অসাধু’ কর্মকর্তাকে দায়ী করে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘ভাবতে কষ্ট হয় যে দুয়েকজন অসৎ কর্মকর্তার কারণে এই চাঁদাবাজির দুর্নাম পুরো বাহিনীকেই নিতে হচ্ছে।’

তিনি নিজেও অটোরিকশা নিয়ে একটি অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরলেন। বলেন, ‘দরিদ্র পরিবারের একটি ছেলে বিএসসি পড়ছে। তাকে যতটাসম্ভব সাহায্য-সহযোগিতা করে থাকি। ছেলেটি পড়ালেখার পাশাপাশি মাঝে মাঝে মোহাম্মদপুর এলাকায় অটোরিকশা চালাত। আমি বলে দেওয়ার কারণে তার কাছ থেকে মাসিক চাঁদা নিত না কেউ। একদিন যাত্রী নিয়ে ওই ছেলেটি মোহাম্মদপুরের বাইরে গিয়ে আটকা পড়ে। ওই এলাকার ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্যকে তিনশ টাকা দিয়ে তবেই রিকশা ছাড়িয়ে এনেছিল। এই হচ্ছে পরিস্থিতি।’ অটোরিকশা বন্ধ হোক বা না হোক, এই চাঁদাবাজি বন্ধ করাটা জরুরি বলে মনে করছেন তিনি।

এসব বিষয়ে জানতে ডিএমপির ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

২০ কোটি টাকা অটোরিকশা অবৈধ চাঁদা পকেট পুলিশ ব্যাটারিচালিত


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

‘আমাদের সেনাবাহিনী যেন তৈরি থাকে’
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:২৯

আগস্টে কমেছে মূল্যস্ফীতি
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:০৭

সম্পর্কিত খবর