‘কিনোয়া’র নতুন জাত উদ্ভাবন করলেন শেকৃবি অধ্যাপক
৯ অক্টোবর ২০২০ ১০:৩৭
শর্করা, প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজে ভরপুর দানাদার সুপারফুড ‘কিনোয়া’র নতুন জাত সাউ কিনোয়া-১ (SAU-Quinoa-1) উদ্ভাবন করেছে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. পরিমল কান্তি বিশ্বাস। তিনি বলছেন, কিনোয়া ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী। ফসলটির যে জাত তিনি উদ্ভাবন করেছেন, সেটি খরা ও লবণাক্ত অঞ্চলসহ সারাদেশে রবি মৌসুমে চাষ করা সম্ভব।
অনিয়ন্ত্রিত ফসলের জাত নিবন্ধনের আওতায় নতুন উদ্ভাবিত এ জাতটি নিবন্ধন দিয়েছে জাতীয় বীজ বোর্ড (এনএসবি)। সাউ কিনোয়া-১ নামে জাতটির নিবন্ধ নম্বর ০৫(৪৬)-০১/২০২০।
কিনোয়া দানার পুষ্টিমান বিবেচনায় এরই মধ্যে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) স্বীকৃতি দিয়েছে ফসলটিতে। দানাজাতীয় এই শস্যের বৈজ্ঞানিক নাম Chenopodium quinoa। ফসলটি Amaranthaceae পরিবারভুক্ত। এতে রয়েছে ১৪ থেকে ১৮ শতাংশ প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন, জিংক, কপার, ফসফরাস, পটাশিয়াম ও ম্যাংগানিজ। সব ধরনের প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো এসিডও রয়েছে এতে।
কিনোয়া অত্যন্ত প্রাচীন একটি ফসল। জানা যায়, পাঁচ থেকে সাত হাজার বছর আগে ল্যাটিন আমেরিকা, বিশেষত পেরু ও বলিভিয়ার সীমান্তবর্তী টিটিকাকা হৃদ এলাকায় গবাদি পশুর খাবার হিসেবে ব্যবহৃত হতো কিনোয়া। তিন থেকে চার হাজার বছর আগে মানুষের খাবার হিসেবে ব্যবহৃত হতে থাকে এটি। পাস্তা, রুটি, বিস্কুট, বেভারেজসহ বিভিন্ন ধরনের খাবারে কিনোয়ার ব্যবহার রয়েছে।
বর্তমানে বিশ্বের ৭০টিরও বেশি দেশে কিনোয়া চাষ হয়ে থাকে। উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ ও অস্ট্রেলিয়া অঞ্চলে কিনোয়ার ক্রমবর্ধমান ব্যবহার ও জপ্রিয়তার কারণে ২০০৬ সাল থেকে ২০১৩ সালের মধ্যবর্তী সময়ে এর দাম বেড়ে তিন গুণ হয়েছে।
অধ্যাপক ড. পরিমল কান্তি বিশ্বাস কিনোয়া কৃষিতত্ত্ব বিভাগ শেকৃবি শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সাউ কিনোয়া-১